ময়ূরাক্ষীকে বাড়ি আনতেই কোজাগরীকে সরিয়ে দেবার চেষ্টা উদ্যলোকের!আদর্শ বর থেকে ক্রমশ ছোট হয়ে যাচ্ছে চরিত্রটা দর্শকের চোখে!
স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘জল থৈথৈ ভালোবাসা’তে দেখা যাচ্ছে যে দীর্ঘদিনের পর আবার আসমানকে দেখানো হলো এই সিরিয়ালে।
এই ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে যে তোতা রাস্তা দিয়ে যেতে গেলে তার সাথে আসমানের দেখা হয়, আসমান শার্ট প্যান্ট পরে হাতে ফাইল নিয়ে বেরিয়েছে তোতা তখন তাকে দেখে বলে তুমি যে নিজেকে পুরো পাল্টে ফেলেছো! সেখানে আসমান এবং তোতার মধ্যে কিছু কথাবার্তা হয় এবং তাদের সেই কথার মধ্যে তোতা বলে ফেলে যে সে জানে আসমান তাকে ছাড়ার জন্য রূপের থেকে টাকা নিয়েছে। আসমান এই কথা শুনলেও সে তোতার মনের ভুল ধারণা ভাঙিয়ে দেয় না।
বরং নিজের সম্পর্কে কোন স্পষ্ট ধারনা না দিয়েই সে এগিয়ে যায়। অন্যদিকে ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে উদ্যলোক বাবু কোজাগরীর ভালোর জন্য তাকে ট্রেনিংয়ে পাঠানোর কথা ভাবছেন কিন্তু অপরদিকে তিনি অপরাজিতার সাথে কথাবার্তা বলছেন ময়ূরাক্ষীর বিষয়ে।
ময়ূরাক্ষী উদ্যলোকবাবুর শুধু প্রেমিকা নন, তিনি উদ্যলোক বাবুর সন্তানের মা! সেই ময়ূরাক্ষীর ক্যান্সার হয়েছে জেনে অপরাজিতা তাকে কলকাতায় নিয়ে আসছে ট্রিটমেন্ট করার জন্য এবং কলকাতায় নিয়ে এসে উদ্যলোক বাবুর ঘরেই তাকে তুলবে। দর্শক মনে করছেন উদ্যলোক বাবুর এই উদারতা আসলে উদারতা নয় সবটাই ভন্ডামো!
দর্শকের ধারণা কোজাগরী না থাকাকালীন যাতে ময়ূরাক্ষীর সাথে কথাবার্তা হতে পারে সেই কারণেই কোজাগরীকে দূরে পাঠাতে চাইছেন উদ্যলোক আর এইভাবেই গল্প অনুযায়ী উদ্যলোক চরিত্রটা দর্শকের চোখে নিচে নেমে যাচ্ছে প্রত্যেকটা মুহূর্তে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“আচ্ছা টিটো,টিনটিন,আর শাশুড়ী মা কতোটা কটুকথা বলতে পারে তা আমরা জানি,কিন্তু উদ্দ্যালক বাবুর ব্যাপার টা ঠিক বোধগম্য হলো না।
সত্যি ই কি কোজাগরী র ভালোর কথা ভেবে এই ট্রেনিং টার কথা বললেন,নাকি অপরাজিতা ময়ূরাক্ষী কে বাড়িতে আনবে তাই কোজাগরী কে সরিয়ে দেবার চেষ্টা করছেন
আচ্ছা যেই ভাবে শাশুড়ী মা কোজাগরী কে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করছেন,প্রতিনিয়ত অপমান করছেন,ওর হোটেল টা দাঁড়িয়ে গেলে কোজাগরী কি পারবে ওনাকে আগের মতন ভালোবাসতে,সন্মান করতে
আমার মনে হচ্ছে কোজাগরী কে যে ৩৫০জনের অর্ডার টা দিয়েছেন আমার মনে হচ্ছে উনি আর কেউ নন,উনি হলেন টিটোর বশ।এটা যদি হয় কেমন লাগবে বলুন তো।দারুণ হবে না”
