পুতুল চরিত্রটা অন্যান্য নাকা পাগল গুলোর মত নয়! কার কাছে কই মনের কথা দেখে চোখে জল আসছে!
জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো কার কাছে কই মনের কথা। এই ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে যে, শিমুলকে তার বর পরাগ ও তার দেওর পলাশ বিষ মিশিয়ে খাওয়ানোর চেষ্টা করে, এই ঘটনার পর যখন পুলিশে কমপ্লেন করা হয় তখন শিমুলের বন্ধুরা পরাগ, পলাশের দিকে আঙুল তোলে, কিন্তু শিমুল তার বয়ানে পরাগ আর পলাশকে দায়ী করে না। তার এইভাবে বর দেওরকে আড়াল করার মানসিকতা দেখে সিংহভাগ দর্শক যেমন চটে যান তেমনি এইভাবে নিজের ছেলের অন্যায়কে ঢাকার বিষয়টা মধুবালা দেবী ও মানতে পারেন নি।
এরপর যখন এই ঘটনার ভিত্তিতে পরাগকে ব্ল্যাকমেইল করে শিমুল ৫ লাখ টাকা চায় ও প্রতি মাসে পরাগের মাইনের অর্ধেক টাকা চায়,তখন শিমুলের শাশুড়ি মধুবালা দেবী আবার শিমুলের বিপক্ষে চলে যান।
শিমুলের বন্ধু বান্ধবীরা ও তাকে ভুল বোঝে, শিমুল কিন্তু কাউকে তার আসল উদ্দেশ্য জানায় নি, বরং কেউ যাতে তার আসল উদ্দেশ্য জানতে না পারে সেই কারণে টাকা নেওয়ার আগে পর্যন্ত সে তার বন্ধুদের সাথে পর্যন্ত খারাপ ব্যবহার করেছে। মধুবালা দেবী তার বাড়ির লোককে জানালে তার বাড়ির লোকের সামনে ও মুখ খোলে নি শিমুল।
আরও পড়ুন : মিতুল হয়ে পারিনি রাই হয়ে অনুরাগের স্লট নিয়ে নেব!-মিতুল খ্যাত আরাত্রিকাকে নিয়ে কী বলছেন দর্শক?
সকলের মুখ সহ্য করে সে নীরবে। এরপর যখন শিমুল পুতুলকে নিয়ে বেরোয়, তখন তার আসল উদ্দেশ্য প্রকাশ পায়। নিজের জন্য নয়, বরং পুতুল দির জন্য এই টাকা সে নিয়েছে। পাঁচ লাখ টাকা পুতুলদির নামে জমা করার সাথে সাথে পুতুল দির নামে একটা ব্যাংক একাউন্টে করে দিয়েছে, যাতে পরবর্তীতে পুতুলদির চিকিৎসায় কোন বাধা না আসে। এরপর যখন পুতুলকে নিয়ে শিমুল বাড়ি যায় তখন শাশুড়ি নানান রকম খারাপ কথা বলতে থাকে শিমুলকে, পুতুল তখন সব সত্যি কথা মধুবালা দেবীকে বলে দেন।
সব সত্যি জেনে মধুবালা দেবী কাঁদতে থাকেন আর এইরকম একটি এপিসোড দেখে দর্শক মুগ্ধ হয়ে যান। সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“কার কাছে কই মনের কথা-র আজকের পর্বের প্রথম আট মিনিট দেখে চোখের জল ধরে রাখা যাবে না ,আর ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকগুলো এত মনমুগ্ধকর।আবারো পুতুল ই সব সত্যিকথা বলে দিল যে শিমূল টাকা গুলো ওর নামে রেখেছে।পুতুল চরিত্রটা অন্যান্য নেকা পাগল গুলোর মত নয়।”
