বাংলা সিরিয়াল

সব জেনেও মহান সাজার জন্য বর আর দেওরকে বাঁচিয়ে দিচ্ছে শিমুল! কার কাছে কই মনের কথা দেখে বিরক্ত নেটিজেন!

জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথাতে দেখা যাচ্ছে যে, শিমুল বিয়ে হয়ে আসার পর থেকে তার শ্বশুরবাড়িতে রীতিমত অত্যাচারিত হচ্ছে। শিমুলের বর পরাগ প্রতি রাতে তাকে অত্যাচার করতো, এক সময় এই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আইনের দ্বারস্থ হয় শিমুল।

অন্যদিকে শিমুলের সাথে অন্যায় হচ্ছে এটা বুঝতে পেরে তার শাশুড়ি মধুবালা দেবী ও তার পাশে দাঁড়ায়। মায়ের এইভাবে সন্তানদের বিপক্ষে চলে যাওয়া মানতে পারে না শিমুলের বর পরাগ ও পলাশ, তারা শিমুলকে মেরে ফেলার ফন্দি আটে। দুর্গা পূজার দশমীতে মায়ের ভাসানের সময় তৈরি করা সিদ্ধিতে বিষ মিশিয়ে দেয় শিমুলের বর আর দেওর।

প্রথমবার শিমুলকে শরবত দিতে গেলে তারা ব্যর্থ হয়, এরপর শিমুলের হবু ছোট জা, অর্থাৎ পলাশের হবু বউ প্রতীক্ষা বিষ ভর্তি সরবতটা শিমুলের মুখের সামনে এনে ধরে, বিষ মেশানো সেই সিদ্ধি খেয়েই অসুস্থ হয়ে পড়ে শিমুল,তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

অন্যদিকে ফেঁসে যেতে পারে এই বুঝে পরাগ মরা কান্না কাঁদতে শুরু করে এবং যাবতীয় ঘটনার দায় চাপিয়ে দিতে চায় পাড়ার অন্যান্য বউ বিপাশা, সুচরিতাদের উপর। বিপাশা, সুচরিতারাও শীর্ষাকে সাথে নিয়ে পুলিশের কাছে যায়, পরাগ ও পলাশের নামে কমপ্লেন করে তারা, তাদের সন্দেহের কথা বলার পাশাপাশি তারা জানায় যে, ঘটনার মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্যই তাদের দিকে সন্দেহের আঙুল তুলে দেওয়া হচ্ছে।

অন্যদিকে পলাশ বলে, দাদা বৌদির মধ্যে সামান্য একটু ভুল বোঝাবুঝি ছিলো, তা বলে কি দাদা বৌদিকে মেরে ফেলবে?

আরও পড়ুন : সব চক্রান্ত ভেস্তে যাওয়ার পর ময়ূরীর নতুন অস্ত্র! মধুমিতাকে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেল করছে ময়ূরী

আরেক দিকে দেখা যায় যে, শিমুলের জ্ঞান ফিরেছে, সে শাশুড়ি মাকে বলছে যে, আমার কাছে তো কোন প্রমাণ নেই , কোন প্রমাণ ছাড়া এভাবে সন্দেহ করাটা বোধহয় ঠিক হচ্ছে না- ধারাবাহিকের এই আগামী পর্বের দৃশ্য দেখে সবাই বলছেন, শিমুল ঠিকই বুঝতে পারছে,তার বর আর দেওরের কীর্তি এটা, শুধু শুধু শাশুড়ির মুখের দিকে তাকিয়ে মহান হওয়ার জন্য এসব বলছে! যেমনটা অন্যান্য নায়িকারা করে!- বোঝাই যাচ্ছে আগামী পর্বের এই ক্লিপস দেখে বিরক্ত নেটিজেন।

Related Articles