বাংলা সিরিয়াল

নেশায় আসক্ত রয়েছেন রানী রাসমণির “পদ্মমণি” চরিত্র খ্যাত অভিনেত্রী দিয়া চক্রবর্তী! নেশার আসক্তিতে রাতে ঘুম কেড়ে নিয়েছে অভিনেত্রীর

জি বাংলার একসময়ের জনপ্রিয় ধারাবাহিক ছিল “করুণাময়ী রানী রাসমণি”। এমন কিছু ধারাবাহিক থেকে যায় যা দর্শকের এতটাই মনের কাছের হয়ে ওঠে যে মানুষ ধারাবাহিক চলাকালীনও তাদের ভালোবাসার প্রমাণ দেন। এমনকি ধারাবাহিক শেষ হয়ে গেল সে ধারাবাহিকের প্রতি মানুষের যে ভালোবাসা তা ফুটিয়ে তোলেন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। এমন একটি ধারাবাহিক হলো “করুণাময়ী রানী রাসমণি”। আবার ধারাবাহিকে বেশ কিছু চরিত্র থাকে যা খুব অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই মানুষের মনের কাছে হয়ে ওঠে। সেই চরিত্রে যে অভিনেতা বা অভিনেত্রী অভিনয় করছেন তাঁর কাজ মানুষ এতটাই পছন্দ করেন যে ধারাবাহিক শেষ হয়ে গেলেও সেই অভিনেতা বা অভিনেত্রীকে মানুষ মনে রাখেন। এমন একজন অভিনেত্রী হলেন “করুণাময়ী রানী রাসমণি” তে পদ্মমণির চরিত্রে অভিনয় করা অভিনেত্রী দিয়া চক্রবর্তী।

এ চরিত্রে অভিনয় করার মাধ্যমে অভিনেত্রী খুব কম সময়ের মধ্যে মানুষের মনের কাছের অভিনেত্রী হয়ে উঠেছিলেন। যদিও এটা তাঁর প্রথম অভিনয় নয় এর আগেও আমরা দিয়ার কাজ দেখেছি। তখনো মানুষ তাঁর কাজ বেশ পছন্দ করেছিলেন। কিন্তু এবার রানী রাসমনির বড় মেয়ে পদ্মমণির চরিত্রে অভিনয় তাঁকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে তুলে দিয়েছিল। প্রসঙ্গত জি বাংলার হাত ধরেই অভিনয় ক্যারিয়ারে এসেছিলেন দিয়া। জি বাংলার আরও এক জনপ্রিয় ধারাবাহিক যা মানুষ এখনো ভুলতে পারেনি তাহলেও “সুবর্ণলতা”। এই ধারাবাহিকে অভিনয় করার মাধ্যমে অভিনেত্রী তখনই মানুষের মনে নিজের জন্য জায়গা করে নিয়েছিলেন। কিন্তু তখন তিনি ছিলেন একজন শিশু শিল্পী। মাত্র ক্লাস সেভেনে পড়া কালীন তাঁর অভিনয়ে চোখে ধাঁধা ধরিয়েছিল দর্শক মহলের। করুণাময়ী রানী রাসমনি ধারাবাহিক শেষ হওয়ার পর বেশ একটা বড় সময়ে আমরা অভিনেত্রীকে কোন কাজ করতে দেখতে পাইনি। তবে বর্তমানে গোধূলি আলাপ ধারাবাহিকে একটি বিশেষ চরিত্রে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে অভিনেত্রীকে। “গোধূলি আলাপ” ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্র অরিন্দমের বোন তৃষার চরিত্রে অভিনয় করছেন দিয়া। একদিকে করুণাময়ী রানী রাসমণি ধারাবাহীকে রানী রাসমনির বড় মেয়ে পদ্মমনি যেমন ছিলেন রাগী, তেজী, ঝগড়ুটে একটি মেয়ে ঠিক তেমনি উল্টোদিকে “গোধূলি আলাপ” ধারাবাহিকের তৃষা একেবারে শান্ত, সিষ্ট, ঠান্ডা একটি মেয়ে। যদিও দুটি বিপরীত চরিত্রে বেশ সাবলীল অভিনয় করছেন অভিনেত্রী।

বর্তমানে এই অভিনেত্রী নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েছেন। এবার এখানে প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক যে কি নেশা? আবার এও শোনা যায় যে অভিনেত্রী নাকি রাত তিনটে চারটে পর্যন্ত জেগে থাকেন সেই নেশার আসক্তির মধ্যে। এ বিষয়েও পাঠকের প্রশ্ন আসার স্বাভাবিক যে এমনকি নেশা করেন অভিনেত্রী যা তাঁকে মধ্যরাত অবধি জাগিয়ে রাখে? অভিনেত্রী দিদি নম্বর ওয়ান এর মঞ্চে নিজের মুখে স্বীকার করেন যে তিনি কোন মদ গাঁজা বা অন্য কোন নেশার জিনিসের প্রতি আসক্ত নন। অভিনেত্রী এখন যে নেশায় আসক্ত সেই নেশায় প্রায় সব মানুষই কম বেশি আসক্ত হয়ে রয়েছেন। তাঁর একমাত্র নেশা হলো মোবাইল ফোন। আর তার জন্যই তিনি সারারাত নিজের ঘুম নষ্ট করে মোবাইল ফোনের নেশায় আসক্ত হয়ে জেগে থাকেন। বিষয়টি মোটেই ভালো নয়, দর্শকের জন্য কিন্তু বিষয়টি সত্যি যে অভিনেত্রী নিজের মুখে এ কথা স্বীকার করেছেন।

এবার দর্শকের মনে প্রশ্ন ছিল যে অভিনেত্রীরা তিনটে অবধি ফোনে কি করেন? উত্তর হলো গেইম। অভিনেত্রী নিজেই জানান যে তিনি পাবজি খেলতে বড্ড ভালোবাসেন। তাই সারারাত জেগে জেগে ফোনে ভিডিও গেম খেলেন তিনি। যদিও অভিনেত্রী বলেন প্রথমে তিনি স্বাভাবিকভাবেই গেম খেলা হিসেবেই শুরু করেছিলেন। কিন্তু ধীরে ধীরে যে সেটা নেশায় পরিণত হয়ে যাবে সেটা বুঝতে পারেননি তিনি। আর এই সত্যি তিনি স্বীকার করেছেন দিদি নম্বর ওয়ান এর মঞ্চে সকলের সামনে। অভিনেত্রীর সহকর্মীরাও বলেন যে দিয়া নাকি এতটাই গেমে মগ্ন থাকেন যে যখন তিনি গেম খেলেন তখন তাঁর আশেপাশে কি হচ্ছে, কে ডাকছে, কোথায় কি হয়ে গেল, কোন বিষয়তেই কোন ভ্রুক্ষেপ থাকে না তাঁর। এ সমস্ত গল্প শুনে জি বাংলার জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো দিদি নাম্বার ওয়ান এর সঞ্চালিকা রচনা ব্যানার্জি আফসোস করে জানান তাঁর ছেলেও এই পাবজি গেমের নেশায় মত্ত।

Related Articles