বাংলা সিরিয়াল

একদিকে প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে ঋদ্ধি – খড়ি! সিংহ রায় জুয়েলার্সের অফিসেই ঘনিষ্ঠ দুজনে! আর অন্যদিকে নিজেকে প্রমাণ করার চেষ্টায় পাগল হয়ে যাচ্ছে দ্যুতি! তবে কি এবার নিজেকে প্রমাণ করতে পারবে দ্যুতি?

স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক “গাঁটছড়া”। ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্র খড়ি ঋদ্ধির জীবনে আসছে একের পর একট টুইস্ট। ঘটনা প্রবাহে ঋদ্ধিকে চক্রান্ত করে জানানো হয়েছে যে খড়ি নাকি সিংহরায়দের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে নিজের ডিজাইন বিক্রি করছে দত্ত জুয়েলার্সকে। এটা জানার পরেই কোন রকম বিচার বিবেচনা না করে খুবই রেগে যায় ঋদ্ধিমান। কিন্তু পরে খড়ি ঋদ্ধিকে সব বুঝিয়ে বলায় এখন তারা দুজন জুটি বেঁধে নেমেছে ময়দানে। ঐতিহ্যবাহী পারিবারিক ব্যবসা এবং পারিবারিক সম্পর্কগুলিকে এক সূত্রে বেঁধে রাখাই তাদের লক্ষ্য।

তারা দুজনে মিলে প্ল্যানিং করে যে তারা সম্পূর্ণ একটি নাটক করবে যেন শত্রুদের মনে হয় তারা জিতে গেছে। সেই কারণে শত্রুদের চেহারা সামনে আনতে এখনো দুজনে ঝগড়া ঝামেলা অশান্তির অভিনয় করে যাচ্ছে। অন্যদিকে খড়ি যতই নিজের মুখে নিজের অন্যায় স্বীকার করুক না কেন দাদুর বিশ্বাস কিন্তু অটল। এমনকি দাদু নিজের নাতির উপরেও রেগে যায় কারণ ঋদ্ধি খড়িকে বিশ্বাস করছে না এটা দাদু মনে করেন। কিন্তু পরে ঋদ্ধি সমস্ত কিছু প্ল্যানিং খুলে বলে দাদুকে। যে এই সম্পূর্ণ অশান্তি তাদের দুজনেরই করা প্ল্যান যেন তারা শত্রুদের খুঁজে বার করতে পারে।

যদিও এত সব সমস্যার মাঝে একেবারে নির্দ্বিধায় বহাল থাকে খড়ি ও ঋদ্ধির ভালবাসার খুনসুটি। সকলের সামনে অশান্তি প্রমাণের জন্য ঋদ্ধি এমন অনেক কিছু বলে যা শুনে খুবই প্রচন্ড রেগে যায়। এমনকি ঋদ্ধিকে এমন কথা বলতে শোনা যায় যে খড়ি নাকি ঋদ্ধিমানের যোগ্য নয়। খড়ির কোন ড্রেসিং সেন্স নেই। খড়ির মুখ ঋদ্ধি দেখতে চান না। শেষে তো এমনও বলেন যে খড়িকে জীবন থেকে বার করে দিয়ে সে নতুন একজনকে জীবনসঙ্গী করবে যে তার যোগ্য হবে।

ঋদ্ধির মুখে এসব কথা শুনে রেগে আগুন হয়ে যায় খড়ি। সিংহ রায় অফিসে বসেই রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে নিজের কাজ করতে থাকে সে। তারপর স্ত্রীয়ের মান অভিমান পর্ব চলতে চলতে নাজেহাল অবস্থা হয় সিংহরায় বাড়ির বড় নাতির। কিন্তু এরই মধ্যে দত্ত জুয়েলার্সকে টক্কর দেওয়ার জন্য রাতারাতি সিংহ রায় জুয়েলার্সের গয়নার ডিজাইন পাল্টে ফেলে খড়ি। কিন্তু এই খবর জানতে পারে অয়না। আর সে সময় মতো নিজের বাবাকে দিয়ে দেয় সব তথ্য। এরপরেই দত্তবাবু প্ল্যানিং করেন যে সিংহরায় জুয়েলার্সে ডাকাতি হবে।

পারিবারিক এত সব ঘটনার মধ্যেও চলতে থাকে সিংহরায় জুয়েলার্সের ব্যবসার প্রবাহ। মডেল নির্বাচন শুরু হয়ে যায় তাদের। সিংহ রায় জুয়েলার্স এর দুই গুরুত্বপূর্ণ অংশ রাহুল এবং কিয়ারার কাঁধে থাকে মডেল নির্বাচনের দায়িত্ব। সেই অডিশনে একরাশ মডেলদের সাথে অডিশন দিতে আসে রাহুল সেনগুপ্তের স্ত্রী দ্যুতি। কিন্তু এবারেও সে রাহুলের তরফ থেকে শুধু অপমান আর একরাশ লাঞ্ছনাই পায়। এবার শুধু এটাই দেখার যে দ্যুতি কি পারবে সব বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে ঘুরে দাঁড়াতে? অন্যদিকে ঋদ্ধি আর খড়ি কি পারবে বেস্ট জুয়েলারি হাউজ এর কম্পিটিশনের জিততে?

Related Articles