“গরিবের পেটে লাথি না মানলেই চলছিল না?” দিদি নাম্বার ওয়ান এর সঞ্চালিকার কাজের পাশাপাশি নিজের বুটিকের ব্যবসা খুলে নেটিজেনদের সমালোচনার মুখে পড়লেন রচনা ব্যানার্জি
বর্তমানে বাংলার সবথেকে জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো হলো দিদি নাম্বার ওয়ান। একসময় টলিউডের পর্দা কাঁপানো অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জী এই রিয়ালিটি শো এর সঞ্চালিকা। তার সঞ্চালনায় এক্কেবারে জমজমাট এই শো। বড়পর্দা থেকে সরে এসেছেন বেশ কয়েক বছর আগে। তবে এখনও যে তিনি ফুরিয়ে যাননি সেটাই তিনি বারবার বুঝিয়ে দেন এই রিয়েলিটি শো এর মাধ্যমে। প্রতিদিন বিকেল ৫ টা বাজলেই এই শো শুরু হয়ে যায় জি বাংলার পর্দায়। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সেলিব্রিটিরা প্রত্যেকেই এই শো ভীষণভাবে পছন্দ করেন।
দিদি নাম্বার ওয়ান এর সঞ্চালিকার পাশাপাশি রচনা ব্যানার্জির নিজস্ব একটি বুটিক রয়েছে। ২০২১ সালে ‘রচনা’স ক্রিয়েশন’ বুটিক শুরু করেছিলেন তিনি। অভিনেত্রী এই কাজ থেকে অনেকেই অনেক ধরনের সমালোচনা করেছিলেন। অনেকেই বলেছিলেন গরীবের পেটে লাথি মারছেন কেন? অনেকেই বলেছিল রচনা ব্যানার্জীর শাড়ির দাম ৬০০০ টাকার সেই শাড়ি গড়িয়াহাটে ৬০০ টাকা। আসলে করোনাকালীন পরিস্থিতিতে লকডাউনে সকলেই প্রায় কাজ হারিয়েছেন তাই বাড়িতে বসে অনেক মহিলারাই শাড়ি, গয়না ইত্যাদির ব্যবসা শুরু করেছেন। তারা লাইভে এসে সংসার চালানোর জন্য এই ধরনের কাজ করে থাকেন কিন্তু অনেকেরই দাবি সাধারণ মানুষের লাইভ দেখতে যেখানে লোকজন বিরক্তি বোধ করে সেখানে লাইভ দেখার জন্য ভিড় উপচে পড়ে এখানে গরীবের পেটে লাথি মারা হচ্ছে।
তবে এই সম্পর্কে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, ‘আমি এসব ট্রোলারদের নিয়ে ভাবি না। কারণ কেউ তো আমাকে এক পয়সা দিয়ে হেল্প করবে না। প্রথম কাজে মাত্র ৪০০ টাকা পেয়েছিলাম। আজ আমি যেখানে তার জন্য নিজেই সবটা করেছি। আমি একটা জিনিস বিশ্বাস করি যে একটা বয়সের পর বিনোদনের জগতে কাজ কমে যাবে। তখন আমাকে তো রোজগার করতে হবে। তাই এখন থেকেই কেন বাছব না বিকল্প পথ।’