ধুলোকনায় জমজমাটি পর্ব! স্মৃতিশক্তি হারিয়ে পরিবারের সবার থেকে দূরে সরে আছে লালন, এবার কি সে ঘরে ফিরবে নাকি বিয়ে করবে ডাক্তারের মেয়েকে?
ধারাবাহিক দৈনন্দিন জীবনের একটা অংশ হয়ে উঠেছে। ধারাবাহিকের গল্প দেখার জন্য দর্শক বেশ উৎসাহ নিয়ে থাকেন সারাটা দিন। এ সমস্ত ধারাবাহিকগুলির মধ্যে কিছু ধারাবাহিক আছে যা যথেষ্ট জনপ্রিয়। তার মধ্যে অন্যতম একটি ধারাবাহিক হলো “ধূলোকণা”। এই ধারাবাহিক স্টার জলসা সম্প্রচারিত হয় এবং লেখিকা লীনা গঙ্গোপাধ্যায় লিখেছেন ধারাবাহিকের উপর গল্প। ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্র লালন এবং ফুলঝুরি। এদের ভালোবাসা বিয়ের পরিনিতি পাবে এমনটা চাহিদা ছিল দর্শকের। ধারাবাহিকে দেখানো হয়ে গিয়েছে এই পর্ব। অনেক সাধ্য সাধনা করে লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের হাত থেকে নায়ক নায়িকার বিয়ে লেখা হয়েছিল। শেষে ধারাবাহিকে বিয়ে হলো নায়ক নায়িকার।
লালন আর ফুলঝুড়ির বিয়ের চাহিদা এতটাই ছিল যে বিয়ের ট্র্যাক দেখাতে না দেখাতেই ধারাবাহিকের টিআরপি হুর মুড়িয়ে বেড়ে গিয়েছিল। এমনকি সেই ট্রাকে সেরা ধারাবাহিকের তকমা জুটে ছিল ধুলোকনার মাথায়। এই ধারাবাহিকের যারা নিয়মিত দর্শক তারা জানেন বর্তমানে কি মর্মস্পর্শী ট্র্যাক দেখানো হচ্ছে। বিয়ের পর হানিমুন কাটাতে লালন আর ফুলঝুরি গিয়েছিল পুরীর সমুদ্র সৈকতে। সেখানে চান্দ্রেয়ীর ষড়যন্ত্রতে সেখানে গিয়েই বিপর্যয় ঘটে লালনের। ফুলঝুরি সহ গোটা পরিবার মনে করে লালন মারা গিয়েছে।
তারপরেও ঘটে গিয়েছে অনেক ঘটনা। দুই ষড়যন্ত্রকারী শ্রীরূপা এবং চান্দ্রেয়ী রয়েছেন পুলিশের হেফাজতে। আর সমুদ্রে দুর্ঘটনার জেরে নিজের স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলেছে লালন। এমনকি ফুলঝুরিকেও চিনতে পারছে না সে। নিজের মা-বাবা দিদি এমনকি ফুলঝুরির পরিবারের লোক কাউকেই চিনতে পারছে না। অন্যদিকে একজন চিকিৎসকের বাড়িতে রয়েছে সে চিকিৎসাধীন।
যেহেতু সে নিজের সমস্ত স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলেছে তাই লালনের যে আগে বিয়ে হয়ে গিয়েছে সেটা মনেই পড়ছে না তার। অন্যদিকে ডাক্তারের স্ত্রী এবং মেয়ে তিতির ঠিক করেছে লালনের বিয়ে হবে তিতিরের সাথেই। নিজের বিয়ে নিয়ে বেশ ভাল রকম আনন্দে মশগুল হয়ে রয়েছে লালন। তবে তিথির সবটাই জানে যে লালনের সাথে ফুলঝুড়ির বিয়ে হয়েছিল।
এরই মধ্যে ফুলঝুড়ির পরিবার লালনের পরিবারকে জানিয়ে দেয় যে লালন মারা যায়নি। বেঁচে আছে এবং সুস্থ সবল ভাবে রয়েছে এক ডাক্তারের বাড়িতে। তবে স্মৃতিশক্তি সম্পন্ন হবে হারিয়ে ফেলেছে। প্রথমবার বউমনি সবটা জানতে পেরে লালনের কথা জানায় ডাক্তার বাবুকে। দ্বিতীয়বারের জন্য ফুলঝুরি আর বৌমনির সাথে লালনের পরিবারের মা-বাবা দিদি এবং ফুলঝুরির পরিবারেরও লোকজন আসে লালনকে দেখতে। কিন্তু তাদের কাউকেই চিনতে পারেনা লালন। এবার শুধু এটাই দেখার যে ধারাবাহিক পরবর্তীকালে কি মোর নিতে চলেছে। লেখিকা ঠিকই দেখাতে চলেছেন, লালন কি নিজের স্মৃতিশক্তি ফিরে পেয়ে পরিবারের সাথে বাড়ি যাবে? নাকি তৃতীয়বার ডাক্তারের মেয়ে তিথির কে বিয়ে করবে? আরো একটা সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে যে তিতিরের সাথে বিয়ের আসরেই কি মনে পড়বে লালনের? সব প্রশ্নের উত্তর দেবে সময়।