বাংলা সিরিয়াল

‘ছেলের সমস্যায় একজোট হ‌ওয়া মিত্র পরিবারের মেয়েই শ্বশুর বাড়িতে নির্যাতিতা! মেয়েবেলা সমাজের বাস্তব চিত্রকে তুলে ধরল!’ ডোডোর নির্যাতিতা দিদিকে নির্যাতিতা দেখে লিখলেন নেটিজেনরা!

স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক মেয়ে বেলা। এই ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে যে, মিত্র পরিবারের সবাই একজোট হয়েছে ডোডোকে বাঁচানোর জন্য, যেভাবেই হোক 2 কোটি টাকা জোগাড় করবার চেষ্টা করছেন তারা। এই চেষ্টায় শামিল হয়েছে বাড়ির সবথেকে ছোট সদস্য থেকে শুরু করে বাড়ির সবথেকে বয়স্ক সদস্য ঠাম্মি পর্যন্ত। অথচ এরই মধ্যে আরও একটি ট্র্যাক দেখানো হয়েছে যা দেখে দর্শকরা শিহরিত হয়ে উঠছেন।

ভাই ভাই ক্লাবের লোকরা ডোডোকে হুমকি দিয়েছে যে দুই কোটি টাকা না দিলে তারা ডোডোর তৈরি করা আবাসন থেকে পড়ে যাওয়া দুটো লোকের চিকিৎসা শুরু করতে দেবে না, সেই কারণে দু কোটি টাকা জোগাড় করতে যখন মিত্র পরিবারের সবাই হিমশিম খাচ্ছে, তারই মধ্যে দেখানো হচ্ছে ডোডোর জেঠিমার মেয়ে শ্বশুর বাড়িতে নির্যাতিতা!

তার গোটা গায়ে আঘাতের চিহ্ন, সে দুদিনের জন্য তার ভাইয়ের বিয়েতে এসেছে, বলা যেতে পারে সে তার শ্বশুরবাড়ির যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে দুদিনের জন্য স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে এসেছে! এই পর্ব দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনরা বলছেন, বাড়ির ছেলের সমস্যা নিয়ে সবাই চিন্তিত অথচ মেয়ের দিকে কেউ ফিরেও তাকায় না! কেন তার গায়ে এই চিহ্ন আঘাতের তা নিয়ে কারোর কোন প্রশ্ন উঠল না মনে? কোথাও না কোথাও এখানে আমাদের চিরাচরিত বাস্তব জীবনযাত্রাকেই তুলে ধরা হলো।

সোশ্যাল মিডিয়ার আরেকজন আবার লিখেছেন,“ ডোডোর দিদি তার শশুর বাড়িতে নির্যাতিত.
পুরো শরীরে কাঁটা দাগ নিয়ে সে ভাইয়ের বিয়েতে এসেছে।

* ডোডোর বৌভাত অবধী এ বাড়িতে থাকার জন্য ও মায়ের কাছে সাহায্য চাইছিলো। মা যেনো ওর শশুড় বাড়িতে ফোন করে ওর এখানে কটা দিন থাকার ব্যবস্থা করে দেয়।
মনে হলো যেনো ও কটা দিন এখানে একটু শান্তিতে থাকতে চায় পালাতে চায় শারীরিক মানসিক নির্যাতন থেকে।
সমাজের আরোও একটা বাস্তব দিক অসম্ভব সুন্দর ভাবে তুলে ধরা হলো মেয়েবেলাতে।

বাই দ্যা ওয়ে দুজনকে কিন্তু সত্যি সত্যি মা-মেয়ে মনে হচ্ছিলো। চেহারায় মধ্যে অদ্ভুত মিল আছে।”

Related Articles