বাংলা সিরিয়াল

সংসারের হাল ধরতে এবং সকলের মুখে হাসি ফোটাতে নিজের পুরনো জীবনে ফিরে গেল মিঠাই, সঙ্গী হল তার সাইকেল মুন্নি এবং এক হাড়ি মিষ্টি

সম্প্রতি প্রমীলা লাহার চক্রান্তের শিকার হয়েছে মোদক পরিবার। মনোহারা ছাড়তে হয়েছে সকলকে, কিন্তু বাড়িছাড়া হয়েও হার মানেনি কেউ। মিঠাইয়ের উৎসাহে হৈ হৈ করে পালন করা হয়েছে গণেশ চতুর্থী। সেই দিন পূজোর অনুষ্ঠানের আমন্ত্রিত ছিলেন প্রমিলা লাহা। তাকে নিমন্ত্রণ করা হয়েছিল এটা বোঝানোর জন্য যে মোদক পরিবারে যাই হয়ে যাক না কেন তারা কখনো মনোবল হারায় না। এছাড়াও প্রমিলা লাহার কথায় যেই লোকটি কলের মিস্ত্রি সেজে মোদক বাড়িতে সোনা লুকিয়ে রেখে গেছিল তাকে দেখতে পেয়ে সিদ্ধার্থ তার পেছন করে। কিন্তু নাগাল পায় না। পরে অবশ্য রুদ্রর সাহায্য নিয়ে সিদ্ধার্থ সেই ব্যক্তিকে পাকড়াও করবে।

তদন্তের জন্য মোদক পরিবারের সকলের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। এমনকি সমস্ত সোনা গয়না নিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাই মিঠাইয়ের গলাতেও কোন গয়না নেই। নিজের স্ত্রীকে বোনেদের গয়না পড়তে হচ্ছে দেখে সিদ্ধার্থর খুবই মন খারাপ।

সে ঠিক করেই রেখেছে পরিস্থিতি সবটা ঠিক হলে স্ত্রীকে নিজের হাতে উপহার দেবে। অন্য দিকে মিঠাই ও নিজের পরিবারের দুর্দিনে পাশে এসে দাঁড়াচ্ছে। চেষ্টা করে যাচ্ছে সব রকম। তাই এবার পরিবারের পাশে দাঁড়াতে এসে আবার ঘুরে ঘুরে মিষ্টি বিক্রি করা শুরু করছে। কিন্তু এই বিষয়ে সিদ্ধার্থ কোন কিছুই জানেনা। তবে মিঠাই লুকিয়ে লুকিয়ে সব প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে।

আয় পুরোপুরি বন্ধ, অর্থের অভাব দেখা দিয়েছে, নতুন বাড়িতে সকলেই মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। সকলের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। সুখ নেই, পরিবারে। কিন্তু তার মধ্যে সকলে হাসিখুশি ভাবে একসঙ্গে বিপদের দিন কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। সংসারের হাল ধরতে এবং সকলের মুখে হাসি ফোটাতে আবারো নিজের পুরনো জীবনে ফিরে গেল মিঠাই। সঙ্গী হলো তার সাইকেল মুন্নী এবং এক হাঁড়ি মিষ্টি। এবারে দেখার অপেক্ষায় মিঠাই কি করে নিজের পরিবারকে এই বিপদের দিন থেকে উদ্ধার করে।

Related Articles