বাংলা সিরিয়াল

বাংলা ধারাবাহিকের ইতিহাসে নতুন নজির গড়লো মিঠাই, অনলাইনে মিষ্টির ব্যবসা করবে মিঠাই – সিড! প্রথম বিজ্ঞাপনে এল প্রচুর অর্ডার

জি বাংলা তথা গোটা বাংলার সেরা সেরা ধারাবাহিক মিঠাই। চলতি সপ্তাহের টিআরপি লিস্টে প্রথম তিনের থেকে বেরিয়ে গেলেও জনপ্রিয়তায়ে একটুও ভাঁটা পড়েনি এই ধারাবাহিকের। তবে বর্তমানে বেশ খারাপ সময় চলছে মোদক পরিবারের। বাড়ি ছেড়ে তাদের উঠে আসতে হয়েছে ভাড়া বাড়িতে। কিন্তু সেখানেও আনন্দের হাঁড়ি নিয়ে উপস্থিত থাকছে মিঠাই। মিঠাই এমন এক চরিত্র যে হার মানতে জানে না। চরম পজেটিভ আর দুঃখের সময়ও আনন্দে খুশিতে মাতিয়ে রাখতে পারে নিজের পরিবারকে।

মনোহরা থেকে বেরিয়ে এসে কেউই মানিয়ে নিতে পারছে না নতুন পরিবেশকে। কিন্তু মিঠাই তো মিঠাই। আনন্দ খুশিতে মাতিয়ে রাখার প্রবল চেষ্টা করে যাচ্ছে সে। তাই মিঠাই আগে নিজে নতুন বাড়ির পরিবেশকে মানিয়ে নিয়েছে। এবার সে ধীরে ধীরে সকলকে শেখাচ্ছে এই নতুন পরিবেশে নিজেদেরকে মানিয়ে নিতে। আর মিঠাইকে দেখে সকলে ধীরে ধীরে তা মেনেও নিতে শিখছে।

এতসবের মধ্যেও এই ধারাবাহিকে শুরু হল এক নতুন উদ্যোগ। বাস্তবতাকে কাজে লাগিয়ে ধারাবাহিকের গল্প এগোচ্ছে। বর্তমানে আমরা প্রায় সবকিছু জিনিসেরই অনলাইন বিজনেস দেখতে পাই। তেমনই এই ধারাবাহিকও দেখানো হলো মিষ্টির অনলাইন বিজনেস। ধারাবাহিকের ইতিহাসে একদম প্রথম এই ধরনের বাস্তবিকতাকে তুলে ধরা হলো। মিঠাই অল্প কিছু মিষ্টি বানিয়ে ভাড়া বাড়ির সামনে বসেছিল বিক্রি করতে। কিন্তু প্রমিলা লাহা সেই মিষ্টির দোকান উঠিয়ে দেয়। আর কারণ দেখায় যে এটি একটি বেআইনি নির্মাণ।

তারপরেই বুদ্ধি বার করে মোদক পরিবারের ছোট ছেলে সিদ্ধার্থ মোদক। বুদ্ধি করে অনলাইনে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিষ্টি বিক্রির বিজ্ঞাপন দেয় সিড। বিজ্ঞাপন দেখে বেশ ভালই অর্ডার আসে। ১৫ টা পান্তুয়া আর ১০ টা মনোহরার অর্ডার পায় মোদক পরিবার। আর তাই সকলে মিলে আনন্দ করে বানাতে থাকে অর্ডারি মিষ্টি। এরপরেই এই মিষ্টির অর্ডার পৌঁছে দেওয়া হবে খোদ্দেরের বাড়িতে। হয় মিঠাই নিজে নয়তো সিট গিয়ে পৌঁছে দিয়ে আসবে মিষ্টি। এবার শুধু এটাই দেখার যে মোদক পরিবার ঠিক কতটা উদ্যমের সাথেই ঝড়ের মুখোমুখি হতে পারে।

Related Articles