বাংলা সিরিয়াল

নিজের কর্তব্যে অনড় থেকে তুবড়ি গ্রেপ্তার করলো শাশুড়ি এবং স্বামীকে! সমাজকে সত্যের পথে চালনা করবে এই ধারাবাহিক এমনই বক্তব্য দর্শকের, উড়ন তুবড়ি ধারাবাহিকে চলছে জমজমাটি পর্ব

সম্প্রতি বাংলা ধারাবাহিক জগতে নতুন নতুন ধারাবাহিক আসা শুরু হয়েছিল। আর সেই স্লটেই এসেছিল জি বাংলার নতুন ধারাবাহিক উড়ন তুবড়ি। জি বাংলার সন্ধ্যে ছটার স্লটে প্রথম সম্প্রচারিত হওয়া শুরু হয় এই ধারাবাহিক। কিন্তু সেই স্লটে ভালো ফলাফল করতে না পারায় রাত দশটার স্লটে দেওয়া হয় এই ধারাবাহিককে। তারপরে আবার টাইম চেঞ্জ করে দেওয়া হয় রাত সাড়ে দশটায়। এর মূল কারণ ছিল ধারাবাহিকের গল্পের একঘেয়েমি।

মূলত চপ বিক্রি করে একটি মেয়ের পরিবার চালানো। এবং নিজের পুলিশ হবার স্বপ্ন নিয়েই শুরু হয় এই ধারাবাহিক। পরবর্তীকালে আমরা সকলেই জানতাম যে অর্জুনের সাথে বিয়ে হতে চলেছে আমাদের তুবড়ির। আর স্বাভাবিকভাবে আর পাঁচটা ধারাবাহিকের মতো শ্বশুরবাড়িতে এসে সকলের মন জয় করবে তুবড়ি। কিন্তু এরপর অর্জুন তুবড়িকে জোর করে বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে আসে। আবার মায়ের কথায় বারবার ভুল বোঝে তার স্ত্রীকে। যার কারণে খুবই বিরক্তকর হয়ে ওঠে অর্জুন চরিত্রটি দর্শকদের কাছে। তাছাড়াও নিশার চরিত্রও বেশ বিরক্তিকর হয়েছিল দর্শকের কাছে।

তবে বর্তমান গল্প বেশ তরতরিয়ে এগোচ্ছে। পুলিশ কনস্টেবলের চাকরি পেয়েছে তুবড়ি। আর একদিন আইপিএস অফিসার হবে তুবড়ি এটাও দেখতে চায় দর্শক। সত্যের পথে থাকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ সে। এর আগেও শাশুড়ি এবং পিসি শাশুড়ির চরম অত্যাচার সহ্য করেছে তুবড়ি। তখন সে সবটা সহ্য করলেও এখন আইনের রক্ষক হিসেবে সেসব আর সহ্য করবে না। তবে বর্তমানে আইনের রক্ষক হিসেবে সে যা করছে তাতে বেশ খানিকটা অবাক হয়েছেন দর্শক।

ধারাবাহিকে দেখানো হয়েছিল অর্জুনের মা অঞ্জলি বোস বিভিন্ন সব অসামাজিক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত। ড্রাগ পাচারের মতো অসামাজিক কাজকর্ম করছেন তিনি। নিজের ছেলে অর্জুন কে দিয়ে ড্রাগ পাচার করান অঞ্জলি। যাতে এই সন্দেহ ছেলের ওপর না পরে। কিন্তু এর পরেই তুবড়ি ট্রাক সার্চ করে ড্রাগের সন্ধান পায়। এরপরেই ওর জন্য জানতে পারে তার মায়ের অসামাজিক কাজকর্মের ব্যাপারে। এই কারণের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনরা অর্জুনকে নাম দিয়েছেন “বিশ্ব ন্যাকা”।

কিন্তু সকলকে অবাক করে তুবড়ি নিজের স্বামী এবং শাশুড়িকে লকাপে আটক করে। আর এই বিষয়টি বেশ ভালই পছন্দ করছেন দর্শক। কারণ সকলেই ভাবছিলাম যে তুবড়ি হয়তো আবেগের বশে নিজের কর্তব্য ভুলে যাবে। কিন্তু সে সব কিছুই হয়নি। বরঞ্চ আইনের রক্ষক হিসেবে আইনের প্রতি দায় দায়িত্ব ও কর্তব্য সবটাই পালন করেছে সে। এই কারণেই বেশ তরতরিয়ে জনপ্রিয়তা বাড়ছে এই ধারাবাহিকের।

Related Articles