বাংলা সিরিয়াল

ধুনোর গন্ধ ছড়াতেই প্রকাশ পেল পঞ্চমীর গায়ে সাপের আঁশ ফুটে উঠলো! প্রকাশ পেলো পঞ্চমীর আসল রূপ!

স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাগ পঞ্চমী, এই ধারাবাহিক একটা দুর্দান্ত রহস্য রয়েছে । কুড়ি বছর আগে পঞ্চমীর মা নাগ রানীকে কেউ হত্যা করে, নাগ রানী মৃত্যুর আগে নীলকন্ঠ বাবার মন্দিরে নিজের সন্তান পঞ্চমী কে প্রসব করে মারা যান।

পঞ্চমীর জন্ম রহস্য সকলের কাছে গোপন রাখেন মন্দিরের পুরোহিত ঠাকুর মশায়, তিনি সকলকে বলেন পঞ্চমীকে কেউ মন্দিরে ফেলে রেখে গেছে। এরপর পঞ্চমী বড় হয়ে ওঠে, তার মধ্যে আস্তে আস্তে সাপের লক্ষণ প্রকাশ পেতে থাকে এবং সে সাপেদের ফিসফিস করে বলা কথা শুনতে পায়।

কথাতেই আছে একেই মা মনসা তাতে ধুনোর গন্ধ। অর্থাৎ দেবী মনসা ধুনোর গন্ধ একবিন্দুও সহ্য করতে পারেন না তাই এই প্রবাদ বাক্যটা প্রচলিত। সম্প্রতি স্টার জলসার পঞ্চমী ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে সেই প্রবাদ বাক্যের‌‌ই প্রতিফলন ঘটেছে।

কিঞ্জলদের বাড়ির গুরুদেব বলছেন, ওই মেয়ে যদি সত্যি সাপ হয় তাহলে ধুনোর গন্ধ একবারের জন্য‌ও সহ্য করতে পারবে না। – তাই ধুনো দেওয়া হয়। অন্যদিকে দেখা যায় পঞ্চমীকে যখন ধুলো দেওয়া হচ্ছে তখন পঞ্চমী জানতে পারে কিঞ্জল কে সাপেরা কাটতে আসছে।

আসলে পঞ্চমীর মা নাগ রানীর মৃত্যুর পিছনে দায়ী হিসেবে যে ব্যক্তির বর্ণনা করা হয়েছিলো, সেই ব্যক্তির গলায় একটি সোনার শঙ্খ ঝুলছে, তাই কিঞ্জল কে দেখে নাগ মাতা ভাবেন এই সেই ব্যক্তি যে নাগরানীর খুনি। অন্যদিকে পঞ্চমী ধুনো নিয়ে ছুটে যায় কিঞ্জলকে বাঁচাতে, ধুনো ছড়িয়ে ছড়িয়ে সাপ তাড়ায় সে কিন্তু ধুনোর গন্ধে সেও নিজেও অজ্ঞান হয়ে পড়ে, তার গায়ে সাপের খোলস আস্তে আস্তে গজিয়ে ওঠে, এই সময় কিঞ্জল তাকে কোলে করে তুলে নিয়ে যায়। প্রোমো এপিসোডে বলা হচ্ছে কিঞ্জল কি জানতে পারবে পঞ্চমী আসলে সাপ নাকি পঞ্চমী ই হবে কিঞ্জলের রক্ষা কবচ?

Related Articles