শুধু ইশাকে বেহায়া লিখে থামলে হবে না, সৃজনের কপালেও ভেড়া বাবু লিখে দিক-নিমফুলের মধুর নতুন প্রোমো তে পর্ণার ঈশাকে শায়েস্তা করার ভিডিও দেখে দর্শক হাসতে হাসতে শেষ!
যে কোনো ধারাবাহিকে নায়িকাদের যেরকম দেখা যায়, জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক নিম ফুলের মধুর পর্না দত্ত সেই সবের থেকে পুরো আলাদা। তার মাথার তার কেটে গেলে সে যে কী করবে? তার কোনো ঠিক নেই। অন্যান্য নায়িকারা যেখানে বরের পাশে অন্য কোনো মেয়েকে দেখলে কেঁদে কেটে একসা করে, বা প্রতিবাদ, প্রতিরোধ করার পরিবর্তে নিজেই ব্যাগ বাক্স গুছিয়ে বাপের বাড়ি চলে যায়, সেখানে পর্না যখন দেখে কেউ তার নামে মিথ্যে কথা বলে তার বরের মন বিষিয়ে দিচ্ছে তখন প্রকাশ্যেই তার মুখে জল ঢেলে দেয় , ভিলেন কে দেখে কাঁদা কাটার পরিবর্তে ভিলেনকে মুখের ওপর জবাব দেওয়ার মেয়ে পর্ণা।
আসলে নিম ফুলের মধু ধারাবাহিকে সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে যে,পর্ণার সাথে সৃজনের একটা মান অভিমানের ব্যাপার হয়ে যাওয়ায় সেই সুযোগ নিয়ে সৃজনের অ্যাসিস্ট্যান্ট হয়ে যে মেয়েটি এসেছে তার নাম ইশা কিন্তু সে আসলে পর্নার কলেজ লাইফের শত্রু, পর্নার কারণেই তাকে কলেজ থেকে বার করে দেওয়া হয়েছিলো, তাই দত্ত বাড়িতে আসার পর তার প্রধান উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে পর্ণার ক্ষতি করা, সৃজনের শাড়ির ব্যবসার ক্ষতি করবারও চেষ্টা করছে সে। সম্প্রতি যে প্রোমোটি বেরিয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে একটি ছোট পোশাক পরে এই ঈশা সৃজনের গায়ের কাছে এসে ঘেঁষে বসে এবং সৃজনকে বলে,সৃজন,এই ডিজাইন টা দেখুন তো। ঈশাকে এরকম পোশাকে দেখে পর্না প্রথমে বলে, ভদ্র পোশাক পড়ে আয় ইশা, তখন ইশা বলে, কেন তোর ভয় করছে তোর বর আমার প্রেমে পড়ে যাবে? তখন পর্ণা বলে, দিলি তো তারটা কেটে!
এরপর দেখা যায় কোথা থেকে একটা ব্রাশ নিয়ে এসে তাতে কালো রং চুবিয়ে ইশার থুতনি, কপাল, গালে একটা স্টাম্প করে দিয়েছে পর্না আর সেই স্ট্যাম্পে লেখা আছে আমি বেহায়া।
এই প্রোমো দেখে কেউ লিখছেন,‘নিম ফুলের মধুর প্রোমো দেখে হাসতে হাসতে শেষ হয়ে গেলাম’ তো কেউ আবার লিখছেন,‘একদম সেরার সেরা কাজ করেছে!’ কারোর কথায়,‘সৃজনের কপালে “ভেড়া বাবু” এটা লিখে দিক’
