বাংলা সিরিয়াল

“ধুলোকণা নয় বিয়েকনা” – ধারাবাহিকের গল্পে বারবার বিয়ে দেখানোতে বিরক্ত দর্শক

স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক “ধুলোকণা”। রাত আটটার স্লটে সম্প্রচারিত হওয়াই ধারাবাহিক দর্শকমহলে বেশ জনপ্রিয়। নিজের কাহিনীর জোরে এবং কলাকুশলীদের জন্য জনপ্রিয়তা অর্জন করলেও বর্তমানে ধারাবাহিকেরই কিছু দৃশ্যের জন্য বিরক্ত হচ্ছেন দর্শক। আসলে ধারাবাহিকের গল্পের স্রোত অনুযায়ী বারবার নিয়ে আসা হচ্ছে বিয়ের ট্র্যাক। আর এই ট্র্যাকের জন্যই বিরক্ত হচ্ছেন সকলে। তবে এর আগেও আমরা দেখেছি কোন ধারাবাহিকের গল্প নিয়ে যদি দর্শক বিরক্ত হন সে বিষয়ে ধারাবাহিক নির্মাতারা খুব একটা বেশি পাত্তা দেন না। ধারাবাহিক চলে নিজের স্রোতেই।

ধুলোকণা শুরু হয়েছিল একটি গরীব মেয়ের জীবন সংগ্রামের কাহিনী দিয়ে। ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্র ফুলঝুড়ি আর লালন। ফুলঝুরি লোকের বাড়িতে কাজ করে। আর সেখানেই গাড়ি চালায় লালন। ফুলঝুড়ির তেমন আলাদা করে কোন বড় স্বপ্ন না থাকলেও লালন চায় বড় সিঙ্গার হতে। এভাবে মধ্যবিত্ত সংগ্রামী জীবন দেখানো হচ্ছিল ধারাবাহিকে।

এর মধ্যে লালন ফুলঝুড়ির মধ্যে ভালোবাসা তৈরি হয়। অন্যদিকে চুড়ুইও আকর্ষিত হয়ে লালনের প্রতি। অনেক কাণ্ড করে শেষ পর্যন্ত লালন আর চুড়ুই বিয়ের দিন ঠিক হয়। বিয়ের সাজসজ্জা, সরঞ্জাম সব সম্পূর্ণ হওয়ার পরেও বিয়ে হয় না চুড়ুই এর সাথে। তারপরেই বিয়ে হয় লালন আর ফুলঝুরির। তার মাঝে রয়েছে এক গাদা গল্পের ঝাঁক।

তারপরেই আর অন্যান্য গল্পের সাথে এগোতে থাকে লালন ফুলঝুড়ির গল্প। দুজনে যায় পুরীতে মধুচন্দ্রিমা কাটাতে। আর সেখানেই চুড়ুই এর মায়ের ষড়যন্ত্রে লালন কে ডুবিয়ে দেওয়া হয় সমুদ্র। কিন্তু লালনকে মারার ষড়যন্ত্র করলেও ধারাবাহিকের নায়ক তো মরবে না। তাই এখন লালন রয়েছে এক ডাক্তারের বাড়ি। সেখানে সে ডাক্তারের ছেলে গুবলুর মতই যথেষ্ট যত্ন পাচ্ছে।

নিজের সমস্ত স্মৃতিশক্তি হারিয়ে সে এখন তার মা, দিদি, ফুলঝুরি কাউকেই চিনতে পারছে না। অন্যদিকে ডাক্তারের তিতির এর সাথে বিয়ে করার জন্য প্রস্তুত হয়ে যাচ্ছে লালন। ধারাবাহিক এত বারবার অন্যান্য মেয়েদের সাথে লালনের বিয়ের ট্র্যাক পছন্দ করছেন না দর্শক। একজন মেডিসিন যেমন মন্তব্য করেছেন, “বিয়েকনা”। তবে শেষ পর্যন্ত আদেও কি তিতিরের সাথেই বিয়ে হবে কিনা এই বিষয়টি দেখার মত। কারণ প্রত্যেকবার লালনের বিয়ে অন্য মেয়েদের সাথে ঠিক হলেও শেষ পর্যন্ত ফুলঝুড়ির সাথেই বিয়ে হয়। এবারও কি সেই একই ঘটনা ঘটবে? সময়ের সাথে সাথে বোঝা যাবে সব কিছু।

Related Articles