বাংলা সিরিয়াল

‘পাঁচালী কোনদিন না শুনেও তোর্সা চেষ্টা করেছে অথচ হল্লা পার্টি ওকে লেগপুল করছে মিঠাইয়ের গুনগান গাইছে! বিষয়টা বিরক্তিকর!’মিঠাইতে তোর্সাকে সবসময় লেগফুল করার বিরুদ্ধে সরব হলেন নেটিজেনরা!

জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক মিঠাই। এই ধারাবাহিকে অন্যতম চরিত্র তোর্সা। এই চরিত্রটি কে এক সময় খলনায়িকা হিসেবে দেখানো হয়েছিল সে মিঠাই আর সিদ্ধার্থর মধ্যে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা করেছিলো কারণ সে একসময় সিদ্ধার্থকে ভালোবাসত পরবর্তীকালে সে যখন বুঝল যে সিদ্ধার্থ আর কখনোই তার হবে না তখন সে সিদ্ধার্থর বড় দাদা সোমের সঙ্গে বিয়ে করে নিলো। এরপর এই ধারাবাহিকে তোর্সা মিঠাইয়ের আর কোনো ক্ষতি করেনি। চরিত্রটা বদলে গেছে তা সত্ত্বেও এই চরিত্রটিকে নিয়ে প্রায়ই লেগ পুল করা হয় যা দর্শকদের অনেকেই পছন্দ করেন না।

যেমন এই দিন দেখানো হয়েছিল পুজো উপলক্ষে তোর্সা পাঁচালী পড়ছে, সে কোনদিন পূজার ধার কাছ দিয়ে হাঁটে নি তাও সে পাঁচালী পড়ার চেষ্টা করেছিলো কিন্তু তার উচ্চারণে কিছু ভুল হওয়ায় মনোহরা পরিবারের সদস্যরা তাকে নিয়ে মজা মস্করা করতে শুরু করে যা দর্শকরা ঠিক মেনে নিতে পারে নি।

এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লেখেন যে, “ওড়ে পাঁচালি পাঠ রে

হাসতে হাসতে শেষ

‘বৈঐঐঐঐকুউউউউউন্ঠ’ কি সোন্দর উচ্চারণ”- কিন্তু তোর্সাকে নিয়ে এই হাসি ঠাট্টা করাটা অনেকেই মেনে নিতে পারেন নি।

একজন নেটিজেন যেমন লিখেছেন,
“বড় জা কে আজ খুব সুন্দর লাগছিল। ওর পাচালি পড়ার শুরু টা শুনেই আমি আর মা খাবি খাই খাই অবস্থা। তবে মানতে হবে। আজকে বড় জা ভালোই চেষ্টা করেছে।”

আরেকজন আবার লিখেছেন,“ভালোবেসে করেছে এটাই অনেক! ঠাকুরকে ছোটো তো করেনি! এরকম অনেক বড়লোকের মেয়ে আছে যারা পুজো অর্চনার নাম শুনলে নাক সিঁটকায় কিন্তু তোর্সা সেটা করেনি! নন্দা, শ্রী , নিপারা ব্যঙ্গ না করলেও‌ পারতো! ওর সামনে সবসময় যদি মিঠাইয়ের প্রশংসা করে আর ওকে নিয়ে খিল্লি ওড়ায় তাহলে তো ওর মনে হিংসা জন্ম নেবেই!”

একজন নেটিজেন আবার লিখেছেন,
“এটাই বললাম। আজ সে চেষ্টা করেছে। অনেকে সেটাও করেনা। ও আগে কখনো শোনেনি পাচালি কীভাবে পড়ে। হ্যাঁ স্টাইল টা দেখে একটু হাসি পেয়েছে বটে তবে ও নে জেনেই যা করেছে তা অন্নেক। এটাকে হাসিঠাট্টার মধ্যে না রেখে এপ্রেশিয়েট করা উচিত। সব সময় ওকে সাসপেক্ট না বানালেও হয়।”

Related Articles