“জাস্ট বলার ভাষা নেই! এতটাই হৃদয়বিদারক ইচ্ছে পুতুলের শেষ পর্ব!”-ইচ্ছে পুতুল নিয়ে আবেগপ্রবণ দর্শক!
জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ছিল ইচ্ছে পুতুল এই ধারাবাহিকে দেখানো হয়েছিল যে মেঘ সব সময় ময়ূরীর ভালো চাইলেও ময়ূরী প্রথম থেকে মেঘের ক্ষতি চাইতো। যেনতেন প্রকারে সে মেয়েকে কষ্ট দিতে চাইতো, মেঘ এসে হিংসা করত আর সে মনে করত মেঘ তার জীবনটা নষ্ট করেছে কারণ ময়ূরী যাকে ভালোবাসতো তাকে ভালোবেসে বিয়ে করেছে মেঘ যদিও এতে মেঘের কোন দোষ ছিল না কারণ মেঘ বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছিল তার বাবার আদেশে।
আর তার বাবা তাকে আদেশ দিয়েছিলেন কারণ জানতেন সৌরনীল ময়ূরীকে নয় মেঘকে ভালোবাসে। একটা সময় দেখা যায় ছোট বোনের প্রতি থাকা হিংসা ময়ূরীর মনে এতটাই বিষাক্ত একটা জায়গা করে নেয় যে ছোট বোনকে খুন করতেও তার হাত কাঁপে না। কিন্তু ধারাবাহিকের শেষ পর্বে দেখা যায় ময়ূরীকে গলায় জড়িয়ে ধরছে মেঘ। ময়ূরীও বোনকে পেয়ে আশ্বস্ত হচ্ছে।
ধারাবাহিকের শেষ পর্বে দেখানো হয় ময়ূরী এবং মেঘ একে অন্যের জন্য বাঁচতে চাইছে এবং মেঘ স্বনামধন্য গায়িকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে আর মেঘের একরত্তি মেয়েকে বুক দিয়ে আগলে রাখছে ময়ূরী, মেঘের মেয়ের সব থেকে বড় বন্ধু সব থেকে বড় কাছের মানুষ হলো তার মাসি!
একটা ধারাবাহিকের এর থেকে ভালো এন্ডিং আর কি হতে পারে একটা নেগেটিভ ক্যারেক্টার কে পুরোপুরি পজেটিভ করে দেওয়া যদিও কেউ কেউ মনে করেন ময়ূরী নেগেটিভ ছিল না তার সাথে যা হয়েছিল, তাই তাকে নেগেটিভ করেছিল। দিনশেষে ময়ূরী হয়ে উঠেছিল ইচ্ছে পুতুল
তবে ধারাবাহিকের শেষ পর্ব দেখে অনেকেই বলেছেন এই ধারাবাহিকের শেষ পর্ব এতটাই হৃদয়বিদারক যে বলার ভাষার বাইরে। একজন যেমন সোশ্যাল মিডিয়ায় সরাসরি লিখেছেন যে
,“জাষট বলার ভাষা নেই কোনো সিরিয়ালের শেষ পর্ব এতটা হৃদয়বিদারক হতে পারে সেটা ইচ্ছে পুতুল না দেখলে জানতে পারতাম না।
আরও পড়ুন : লীনা গাঙ্গুলীর সিরিয়াল মিঠিঝোরা,এত সহজ হবে না! শৌর্য সত্যি জানবে এবং রাইয়ের দিকেই ঝুঁকবে!
টিভিতে শেষ এপিসোড দেখছি আর চোখ দিয়ে অঝোরে জল বেরোছে আর তারপর ময়ুরির ভালো হওয়া এক নিমেষে যা কলপনার বাইরে ছিল। শেষ পরবে দুই বোনের মিলন ঠোঁটের কোনে এক বিন্দু হাসি এনে দেয়। আর শেষে মেঘের এটকি ছোটো মেঘকে দেখাল কি কিউট বাচাটা
অরগানিক পোডাকশন এর সেরা ধারাবাহিক ইচ্ছে পুতুল অমর হয়ে রয়ে যাবে চিরকাল সকলের মনের গভীরে ”
