বাংলা সিরিয়াল

মাথায় নেই পাকা ছাদ, বিপদের মধ্যেও সেজেগুজে গণেশ পুজোয় মেতে উঠেছে মোদক পরিবার! দেখে প্রমিলা লাহা অবাক, সঙ্গে নেটিজেনরাও

২০২০ সালের ৪ ঠা জানুয়ারি জি বাংলায় প্রথম শুরু হয় মিঠাই সিরিয়ালটি। শুরুর প্রথম থেকে এই সিরিয়ালটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। প্রথম থেকেই আমরা দেখছি যে মনোহরার ওপর থেকে যেন বিপদের ছায়া কাটছে না। প্রথমে ওমি সিদ্ধার্থ কে খুন করতে চায়। তখন সিদ্ধার্থ অনেকদিন ছদ্মবেশ ধারণ করে ফিরে আসে মনোহরাতে। এরপরে আবার রাখি পূর্ণিমার সময় ওমি সিদ্ধার্থকে গুলি করতে গেলে স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে মিঠাই এর গুলি লাগে। সে অনেকদিন হাসপাতালে অজ্ঞান অবস্থায় ভর্তি থাকে। এরপর মিঠাই সুস্থ হতে না হতে মনোহারায় টাইম বোম ফিট করে দেয় ওমি।

পুলিশের সাহায্য নিয়ে অবশেষে মিঠাই সিদ্ধার্থ সেই টাইম বোমের তার কেটে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। তারপর পুলিশ ওমিকে ধরতে গেলে ওমি নিজের ডেরা থেকে পালিয়ে যায়। সিদ্ধার্থ ওমিকে ধরে ফেলে ওমির সাথে সিদ্ধার্থের ধস্তাধস্তি হয়। অবশেষে ওমি নিজের গুলিতে নিজেই নিহত হয়। কিন্তু সেখানে পুলিশ না থাকায় পুলিশরা ভাবেন যে সিদ্ধার্থ ও ওমিকে খুন করেছে। পুলিশ সিদ্ধান্তকে অ্যারেস্ট করে নিয়ে যায়। তারপর গোপালের আশীর্বাদে সিদ্ধার্থ কোট থেকে বেকসুর জামিন পায়। এইসব ঝামেলা মিটে, শান্তির মুখ দেখতে চলেছিল মনোহরা।

এর মধ্যে আবার পুরনো শত্রু ওমীর দাদা আদিত্য আগারওয়াল ফিরে আসে তার ভাইয়ের মৃত্যুর বদলা নিতে। তাদের ব্যবসাকে মোদক পরিবারের হতে না যেতে দেওয়ার জন্য মনোহরার বিরুদ্ধে চক্রান্তের জন্য আদিত্য হাত মেলায় কাউন্সিলর প্রমিলা লাহার সাথে। প্রমিলা লাহা মনোহরা টাকে প্রমোটিং এ দিয়ে একটি ফ্ল্যাট বানানোর প্রস্তাব রাখে সিদ্ধেশ্বর বাবুর কাছে। কিন্তু তাতে মোদক পরিবারের কেউই রাজি হয় না।

মোদক পরিবারের সকলকে জোর করে প্রস্তাব মানানোর জন্য প্রমিলা মনোহরাতে কিছু বেআইনি সোনার বাট রেখে আসে। সেগুলো পুলিশের হাতে ধরা পড়ে এবং পুলিশ মনোহারাকে নিজেদের কবজায় নিয়ে আসে। এইজন্য মোদক পরিবারের সদস্যদের বাড়ি ছাড়তে হয়। এখন দেখা যাচ্ছে যে মোদক পরিবারের সকলের মন খুব খারাপ। সিদ্ধার্থ নিজের পরিবারের জন্য কিছু করতে না পারায় অপরাধবোধে ভুগছে। তবে এরই মধ্যে চলছে গণেশ চতুর্থীর প্রস্তুতি।

এত বড় বাড়ি ছেড়ে মদক পরিবারের সকলকে একটা ছোট জায়গায় থাকতে হচ্ছে। ফলে পরিবারের সকলকে বেশ অসুবিধার মধ্যেই পড়তে হচ্ছে। এই বিষয়ে কথা বলতে বলতে মিঠাইয়ের মনে হয় যে যে ব্যক্তি কল সারাতে এসেছিলেন তিনিই কি তবে সোনা গুলো রেখে গেলেন? কিন্তু সিদ্ধার্থ বলেন যে ওই লোকটি তাদের অনেক দিনের পরিচিত।তবে মিঠাই বলে যে আমাদের পরিচিত মানুষরাই আমাদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে। তবে সেখানে প্রমিলা উপস্থিত হয়ে বলতে থাকেন যে মোদক পরিবারের সকলকে এত অসুবিধা ভোগ করতে হচ্ছে কিন্তু তারা যদি প্রমিলার প্রস্তাবটি মেনে নেন তবে তারা বেশ ভালো থাকবেন। সেই সময় মিঠাই বেশ কিছু কথা শুনিয়ে প্রমিলাকে সেখান থেকে বের করে দেন।

পাড়ার পুজোর মণ্ডপে পুরো মোদক পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত হয়েছে। তবে সেখানে প্রমিলাকে উপস্থিত হতে দেখে পরিবারের সকলে বেশ অবাক হয়ে যান। প্রমিলা বলেন যে সমরেশ বাবু তাকে এখানে আসতে বলেছেন।সমরেশ বলেন, আমি ওনাকে এটা দেখাতে ডেকেছি যে উনি বলেছিলেন আমরা কিছুই করতে পারব না কিন্তু আমরা যে কত ধুমধাম করে গণেশ পূজা পালন করছি সেটা যেন উনি দেখে যান। । আর তারপরে সবাই আবার আনন্দে মেতে ওঠে। আর এটা দেখে প্রমিলা লাহার সব চক্রান্তের আগুন নিভে যায়।

এখানে ক্লিক করে ভিডিওটি দেখুন 

Related Articles