আর কত অপমান হবে বাংলার সাধকের? টিআরপির জন্য রামপ্রসাদের স্ত্রীকে ব্যভিচারিণী আখ্যা দিলো!
শাক্ত সাধক ‘রামপ্রসাদ’এর জীবনী নিয়ে স্টার জলসায় হচ্ছে জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘রামপ্রসাদ’। রামপ্রসাদ, যিনি একজন শাক্ত সাধক ছিলেন, তিনি ঘরে থেকেও মাকে পেয়ে ছিলেন। মা কালী স্বয়ং মেয়ের রূপে এসে তাকে দেখা দিয়ে গিয়েছিলেন, রামপ্রসাদ কে, মা বেড়া বাঁধার কাজে সাহায্য করেছিলেন মেয়ের রূপে এসে, রামপ্রসাদ তখন মাকে চিনতে পারে নি , পরে যখন মেয়ে তাকে বলে যে সে রামপ্রসাদকে সাহায্য করেনি তখন ঘরে ছুটে গিয়ে মায়ের মূর্তি দেখে রামপ্রসাদ বুঝতে পারেন তার আরাধ্যা দেবী কতখানি কৃপা পরাবশ হয়ে মেয়ের রূপে এসে তার প্রতি কৃপা করে গিয়েছেন।
এই রকম একজন সাধকের জীবনী নিয়ে যখন স্টার জলসা ধারাবাহিক শুরু করে তখন স্বাভাবিকভাবেই দর্শকদের মধ্যে একটা উন্মাদনা শুরু হয়। শাক্ত ভক্ত এবং শাক্ত সম্প্রদায়ের মধ্যে এই ধারাবাহিকটা দেখবার জন্য একটা কৌতূহল তৈরি হয়! কিন্তু যখন দেখা যায় যে আসল জীবনীর সাথে গল্প মিলছে না তখনই দর্শক সমালোচনা করতে শুরু করেন।
রামপ্রসাদকে সাধনার পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছিলেন তার বাবা এবং অবশ্যই তার সহধর্মিনী সর্বাণীদেবী। এই বিষয়গুলো রামপ্রসাদ ধারাবাহিকে দেখানো হয়েছে এবং সেই কারণে রামপ্রসাদ ধারাবাহিক রীতিমতো প্রশংসিত হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি দেখানো হয় যে রামপ্রসাদের স্ত্রীর বিপদ বুঝে মা স্বয়ং রামপ্রসাদের স্ত্রীকে নিরুদ্দেশ করে রেখে দেন!
এরপর যখন সর্বানী ফিরে আসে তখন রামপ্রসাদ উচ্ছ্বসিত হন কিন্তু তখন সর্বাণীকে নিয়ে আবার বিচার সভা বসে। সর্বানী হঠাৎ করে নিরুদ্দেশ হয়ে গিয়েছিলো এবং সে বাড়ির বাইরে রাত কাটিয়েছিলো এই অপরাধে অভিযুক্ত করে তার চরিত্রে কালিমা লেপন করা হয়। তাকে অসতী বলা হয়। তখন সর্বাণী নিজে তার চরিত্রের ওপর আসা এই কালিমা মুছতে অগ্রসর হয় এবং সে অগ্নিপরীক্ষা দেয়।
কিন্তু মা কালী সর্বাণীর এই হেনস্থা মানতে পারেন না। ধারাবাহিকে দেখানো হয় সর্বাণী অগ্নিকুণ্ডে পা দেওয়ার সাথে সাথে অগ্নিকুণ্ডের আগুন ফুলে পরিণত হয়। সর্বাণীর সতীত্ব প্রমাণ হয়ে যায়। কিন্তু ধারাবাহিকের এই ট্র্যাক দেখে ছি ছি করতে থাকেন দর্শক। অনেকেই প্রশ্ন করতে থাকেন এই ঘটনা কবে ঘটেছে তারা জানতে চান?
সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন পোস্ট করে লিখেছেন যে,“আর কত অপমান বাংলার সাধকের হবে? স্টার জলসার রামপ্রসাদ ধারাবাহিকে trp র স্বার্থে আজ ঠাকুর রামপ্রসাদ ,স্ত্রী মাতাঠাকুরানী সর্বানী দেবীকে ‘ব্যাভিচারিনি ‘আখ্যা দেয়া হলো!”
