লালন কে মেরে ফেলার প্রতিদান হিসেবে চুরুইকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করাতে চায় শ্রীরূপা! সবটা জেনেও এখন আর কিছুই করতে পারবে না চান্দ্রেয়ী, প্লট ইনটারেসটিং করতে প্রমো আনা হোক চাইছেন নেটিজেনরা
খড়কুটো ধারাবাহিকের মতো ধুলোকোনা ধারাবাহিকের লেখিকাও লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। আমরা সব সময়ই দেখেছি উনি সমাজের বাস্তব দিকটি তুলে ধরেন দর্শকের সামনে। অন্যান্য গল্পে যেমন গুলি খেয়েও মানুষ সুস্থ থাকে, অথবা মরা মানুষও বেঁচে ওঠে সেখানে লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের গল্প কিছুটা হলেও বাস্তবচিত হয়ে ওঠে। যেমন তাঁর গল্পের নায়ক নায়িকাও কোন কারনে মারা যেতেই পারেন। ঠিক যেমন খড়কুটো ধারাবাহীকে গুনগুন ব্রেন টিউমার হয়ে মারা গেল। আর ধুলোকোনা ধারাবাহিকে লালন সত্যিই রয়েছে হাসপাতালে। তাইতো এই ধারাবাহিকগুলি মানুষের বেশ পছন্দের।
ধুলোকণা ধারাবাহিকের নায়ক অর্থাৎ লালন কে মেরে ফেলার কাজের দায়িত্ব চান রেই দিয়েছিলেন তার বেস্ট ফ্রেন্ড শ্রীরুপাকে। কিন্তু তখন দর্শকের মনে প্রশ্ন ছিল শ্রীরূপা হঠাৎ করে কেন এরকম একটা ঘৃণ্য কাজ করতে রাজি হলেন? এর পিছনে কি তার অন্য কোন মতলব ছিল? হ্যাঁ দর্শকের আশঙ্কাই সত্যি হলো। লালনের ক্ষতি করার প্রতিদান হিসেবে শ্রীরুপা চাইল চন্দ্রের একমাত্র মেয়ে চুরুইকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করাতে। কিন্তু সবটা জেনেও চন্দ্রে এই নিরুপায়। সে কিছুই করতে পারবে না। কারণ সে যদি এখন কিছু করে তাহলে তার সমস্তটা চলে আসবে মানুষের সামনে। অর্থাৎ এই প্লটের মাধ্যমে আমরা বুঝলাম অন্যের ক্ষতি করলে নিজেরও ক্ষতি হওয়াটা একেবারে ধর্মের কলের মতো করে রেখেছে ঈশ্বর। তবে এই ধারাবাহিকের বাস্তবিকতা বেশ পছন্দ করেছেন মানুষ।
যেমন ধূলোকণা ধারাবাহিকের এক অনুরাগী ধারাবাহিকটি সম্পর্কে বেশ বিস্তারিত একটি মন্তব্য করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তিনি লিখেছেন, “ধূলোকণার স্টোরি বর্তমানে খুব ইন্টারেস্টিং পয়েন্টে এসে দাঁড়িয়েছে-মিনির কাহিণী ছেড়ে লেখিকা চড়ুইকে নিয়ে এমন একটা সাবপ্লট ভাববে এটা এক প্রকার চমকই ছিল।শ্রীরূপা চান্দ্রেয়ীর কথায় এমনি এমনি লালনের ক্ষতি করবে?কেউ স্বার্থ ছাড়া কোন কাজ করেনা।যতই প্রিয় বান্ধবী হোক।চান্দ্রেয়ীর এটা বুঝা উচিত ছিল। শ্রীরূপা কাজের প্রতিদান হিসেবে চড়ুইকে চায়ছে এখন।চড়ুই সুন্দরী এবং নাচটাও ভাল করে।তাই মার্কেটে চড়ুই এর চাহিদা বেশি হবে।প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবে।হোটেলে রাতে গিয়ে গিয়ে নাচবে।ক্লাইন্টদের সন্তুষ্ট করবে।
এমন কথা শুনে চান্দ্রেয়ীর মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো।এরচেয়ে লোমহর্ষক বিষয় একজন মায়ের কাছে আর কি হতে পারে!পরের মেয়ের ক্ষতি করলে যে সেটা নিজের মেয়ের উপর দিয়েও যায় লেখিকা সেটাই দেখাচ্ছে।
চড়ুইও ফুলের কম ক্ষতি করেনি।তারপরও আমার খারাপ লাগছে।চড়ুই যখন সত্যিটা জানতে পারবে তখন ওর কি অবস্থা হবে ভাবতেই পারছি না।ও তো খুশিমনে নাচের তালিম নিতে এসেছে।এখন বাকি মেয়েদের মত রাতে কাজ আর দিনে ঘুমাতে হবে।
শ্রীরূপা একজন নামকরা নৃত্যশিল্পী এবং জাজ।তার টাকার অভাব নেই তারপরও কি শুধু টাকার জন্যই মেয়েদের ধরে এনে ব্যবসা করায়?এখানেও একটা টুইস্ট আছে।শ্রীরূপার স্বামী ঠিক এভাবেই তাকে বিক্রি করেছিল।সেজন্য নিজের পিঠ বাঁচাতে বাকি মেয়েদের দিয়ে কাজ চালাচ্ছে!
অন্যদিকে ফুলঝুরি এসেছে হসপিটালে সেবিকার কাজ করতে।গেলেই যে কাজ পাওয়া যায় আসলেই কি তাই?একজন মেয়েকে একটা কাজের জন্য কতগুলো প্রশ্ন আর লজ্জার ভিতর দিয়ে যেতে হয় সেটাই দেখালো লেখিকা।বড়লোক মায়ের সন্তান হয়ে,নামকরা গায়িকা হয়ে কেন এই কাজ করতে হচ্ছে সেটা এপিসোড দেখলেই ক্লিয়ার হওয়া যায়।এখানেও একটা টুইস্ট। লালন যে হসপিটালে কোমায় রয়েছে ফুল সেখানেই কাজে এসেছে।
সবমিলিয়ে এই ট্র্যাকটা খুব ইন্টারেস্টিং লাগছে আমার।কিন্তু কোন প্রমো বা এপিকাট আসছে না।প্রমোশন করুক একটু”।