বাংলা সিরিয়াল

‘উফ এরা কতক্ষণ ধরে চেঁচাবে’! লাইভের মাঝে আজান নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ সুদীপার

বিতর্ক তার পিছু ছাড়ে না নাকি নিজেই তিনি বিতর্ককে গায়ে মাখেন সেটা স্বয়ং সুদীপা চট্টোপাধ্যায় (Sudipa Chatterjee)জানেন। পরিস্থিতি একটু ঠান্ডা হতে না হতেই আবার নতুন করে বিতর্কে জড়ান রান্নাঘরে(Rannaghor) সঞ্চালিকা। এই কারণে অনেকেরই চোখের বিষ হয়ে উঠেছেন তিনি। যদিও তুই একেবারে ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে অমায়িক ব্যবহার করেন ক্যামেরার সামনে। অথচ বাস্তবে তার থেকে বেশি খারাপ ব্যবহার কেউ করতে পারেন কিনা প্রশ্ন নেটিিজেনদের মধ্যেই। সেই রকমই এক বিতর্কের মুখ হয়েছেন সুদীপা।

মঙ্গলবার ২০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় নিজের বাড়ির ছাদে শাড়ির নতুন কালেকশন নিয়ে লাইভে বসেছিলেন তিনি। তার লাইভ শুরু হওয়ার কথা ছিল বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে। কিন্তু পরে সেই সময় বদলে সন্ধ্যার মুখে লাইভ করতে আসেন তিনি। তারপর থেকেই দোকানের কর্মচারীদের টিস করতে শুরু করেছেন সুদীপা। বলেন তারা ভীষণ দায়িত্বশীল তাই লাইভ করতে দেরি হল তার। উপরন্ত নিজেও ঘুমিয়ে পড়েছিলেন সেকথাও মেনেছেন তিনি।

লাইভ করতে বসেই আলো ঠিক নেই, কর্মচারীদের দায়িত্ব নেই এমন হাজারো অভিযোগ করতে শোনা গিয়েছে তাকে। তবে তার লাইভের মাঝে হঠাৎ করেই আজান শুরু হয়েছে। সুদীপা তখন বলে ওঠেন চারপাশে মাইক্রোফোনে লাউডস্পিকারে চেঁচামেচি হচ্ছে। তাই তার কথা আদৌ শোনা যাবে কিনা তিনি জানেন না। এরপরই আর কর্মচারীকে ডেকে জিজ্ঞাসা করেন তিনি, এরা কতক্ষণ চেঁচাবে। তখন কর্মচারী হেসে ফেলেন।

সুদীপা তাকে বলেন তিনি মোটেই মজা করছেন না। এরপরই সুদীপা আজানের সঠিক সময় জানতে চাইলে কর্মচারী বলেন মনে হয় ছটা। তারপর ভুল শুধরে বলেন পাঁচটা বাজে। সঞ্চালিকা এতোটুকু না ভেবে বলেন ৫:১৫ অব্দি আজান চলবে। সঙ্গে কর্মচারীকে প্রায় ধমকের সুরে বললেন এই সময়টা যেন সে মনে রাখে আর কোনদিন এমন সময় তিনি লাইভ করবেন না।

এখানেই থেমে থাকেননি সুদীপা। বলেন কোন দিন তার কর্মচারী হয়তো ছটাকে সাতটা বলবে। এর মাঝে শাড়ি নিয়ে ঘটে আরেক ঘটনা। এক কর্মচারী পিছন থেকে তাকে শাড়ি এগিয়ে দিচ্ছিলেন। সুদীপা বিরক্ত হয়ে বলেন অত দূর থেকে শাড়ি না এগিয়ে দিয়ে কাছে এসে বসুন। এত কিছু দেখার পর এতক্ষণে নেটিজেনদের একাংশ বেশ খেপে উঠেছেন। বলতে থাকেন অকারণে তার কর্মচারীদের অযথা অপমান করছেন।

সুদীপা উত্তর দেন এই কর্মচারীদের জন্যই তিনি সঠিক সময় লাইভে বসতে পারেননি। এরপর এক কর্মচারীকে ডেকে নেটিজেনদের জিজ্ঞাসা করা হয় তিনি আদৌ অপমানিত বোধ করছেন কিনা। সুদীপা জানান, তিনি নাটক করতে পারেন না স্বচ্ছ থাকতে পছন্দ করেন। কারণ এসব সমালোচনার ঊর্ধ্বে তিনি।

তবে ছেড়ে কথা বলেনি নেট নাগরিক। তিনি যে স্পষ্ট নাটক করছেন সেটাই বারবার দেখিয়ে দিয়েছে সঞ্চালিকার চোখে আঙুল দিয়ে। আজানের সময় তার কথা স্পষ্ট শোনা যাচ্ছিল। তারপরেও তাকে চেঁচানো বলা হয়েছে। এছাড়া কর্মচারীদের সঙ্গে যে ব্যবহার তিনি করছিলেন তা কেবলমাত্র নিজের লাইভকে প্রাধান্য দেওয়ার জন্য একটি নাটক। অথচ তিনি বলেছেন তিনি নাটক করতে পছন্দ করেন না।

Related Articles