বাংলা সিরিয়াল

টিআরপি ফিরিয়ে আনতে নতুন মোড় গাঁটছড়ায়! চিঠি পাঠিয়ে খড়ি কে জেঠুর মৃত্যুর রহস্য নিয়ে কৌতুহল বাড়িয়ে দিল ডি! তবে কি এবার সত্যিই বড় ঝড় উঠতে চলেছে সিংহরায় বাড়িতে

জমজমাট পর্ব চলছে গাঁটছড়ায়। ভট্টাচার্য বাড়িতে পাঁচ বছর পর দুর্গাপুজো শুরু করল ঋদ্ধিমান সিংহ রায়। খড়ির জেঠুর মৃত্যুর পর পাঁচ বছর টানা বন্ধ ছিল এই দুর্গাপুজো। এবার ঋদ্ধিমান সিংহ রায়ের উদ্যোগে আর খড়ির তুলির টানে মা দুর্গার আগমন ঘটল ভট্টাচার্য বাড়িতে। সাথে সাথে সব দিকে খুশির আমেজ। খড়ির জেঠিমা দাদা সকলেই রয়েছে ভট্টাচার্য বাড়িতে। অন্যদিকে মেয়ের শ্বশুর বাড়ির সকলে এসে আনন্দে উৎসবে হইচইতে মাতিয়ে রেখেছে ভট্টাচার্য বাড়ি।

সবটা মিলিয়ে সিংহরায় বাড়িতেও খুশির আমেজ। ছোট পিসেমশাই ভালো হয়ে গেছেন। নিজেকে শুধরে আর ঋদ্ধির জীবন বাঁচিয়ে একেবারে পজেটিভ চরিত্রে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে প্রসুনকে। এই বছরের পূজো সেই কাটাচ্ছে তার পরিবারের সাথেই। অন্যদিকে দ্যুতিও রাহুলকে ছাড়িয়ে নিয়ে এসেছে জেল থেকে। রাহুল নাকি নিজের ভুল বুঝতে পেরে শুধরে যেতে চেয়েছে। ভট্টাচার্য বাড়িতে ঢুকে সবার কাছ থেকে ক্ষমাও চেয়েছে রাহুল। আর এমনটাও কথা দিয়েছে যে সে নিজেকে পাল্টে নেবে। আর সে এখন নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে। তাই সে দ্যুতির সাথে তাদের সম্পর্কটাকেও ঠিক করে নিতে চায়।

সবটা মিলিয়ে সিংহরায় এবং ভট্টাচার্য দুই বাড়িতেই খুশির আমেজ। কিন্তু এত কিছুর মধ্যেও খড়ির মনে এখনো একটা দোটানা। কারণ পুজোর দিন সে একটা চিঠি পায়। যেখানে লেখা ছিল খড়ির সবথেকে প্রিয় জেঠুর মৃত্যু কোন অ্যাক্সিডেন্টে হয়নি। তার জেঠুকে খুন করা হয়েছিল। আর এই ষড়যন্ত্রের পিছনে রয়েছে খড়ির সবথেকে কাছের মানুষ। যাকে সে অন্ধের মত বিশ্বাস করে। এইসব দোটানার মধ্যে থেকেই খড়ি সিদ্ধান্ত নেয় যে সে তার জেঠুর পুলিশ কেসটাকে আবার রিওপেন করতে চায়। সেইমতো সে পুলিশের কাছে সাহায্যও চায়। এছাড়াও খড়ির মনে আরো একটা সন্দেহ আছে যে এই ডি তাদের পরিবারের খুব কাছের কেউ। এবার এটাই দেখার যে খড়ি কি এই ষড়যন্ত্রের পিছনে কে রয়েছে তা বার করতে পারবে? ডি অক্ষরের আড়ালে যে এত কান্ড করছে সে কে সেটা কি বার করতে পারবে? মোটকথা সবটা নিয়ে বেশ জমজমাট পর্ব চলছে গাঁটছড়ায়।

Related Articles