এবারে নিজের বাস্তব জীবনের প্রেম নিয়ে মুখ খুলেন অভিনেত্রী অরুনিমা হালদার, অর্থাৎ আপনাদের সকলের প্রিয় ‘আয় তবে সহচরী’ ধারাবাহিকের বরফি
প্রথম থেকেই আমরা দেখে এসেছি শাশুড়ি বৌমার সম্পর্ক মানেই প্রতিটি সংসারে কোনো না কোনো অশান্তি, ঝামেলা লেগেই রয়েছে। এমন খুব কম শাশুড়ি বৌমার সম্পর্ক আমরা বাস্তবে বা টেলিভিশনের পর্দায় দেখেছি যেগুলি অতি মধুর। বেশিরভাগ সময়ে শাশুড়ি বৌমার মধ্যে একটা দ্বন্দ্ব চলে। তবে সেই তথ্য কেই ভুল প্রমাণিত করি স্টার জলসার পর্দায় আজ থেকে বেশ কয়েক মাস আগে শুরু হয়েছিল ‘আয় তবে সহচরী’ ধারাবাহিক। এই ধারাবাহিকের মাধ্যমে নতুন করে শাশুড়ি এবং বৌমার সম্পর্ক তুলে ধরা হয়েছিল দর্শকের সামনে।
শাশুড়ি বৌমার সম্পর্ক যে এতটা বন্ধুত্বপূর্ণ হতে পারে তা সত্যি এই ধারাবাহিক না দেখলে বোঝা যেত না। ধারাবাহিকের সেই শাশুড়ি মা চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অভিনেত্রী কনিনীকা বন্দ্যোপাধ্যায়। টেলিভিশন জগতে তিনি ভীষণই জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রী। আর বৌমার চরিত্রে দেখা গিয়েছিল নবাগতা অভিনেত্রী অরুনিমা হালদার কে। ইন্ডাস্ট্রিতে অরুনিমা এক্কেবারে নতুন। ধারাবাহিকে কনীনিকার চরিত্রের নাম ছিল সহচরী এবং অরুনিমার চরিত্রের নাম ছিল বরফি।
উল্লেখ্য ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন হলেও অরুনিমা অভিনয় জগতের সঙ্গে ছোট থেকেই যুক্ত। ছোট থেকেই নাটকীয় থিয়েটার গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তিনি। তবে বাংলা ধারাবাহিকে অভিনয় করার আগে অরুনিমা বেশ কিছু ওয়েব সিরিজ এবং ছবিতে অভিনয় করেছেন। বর্তমানে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করছেন তিনি। ‘তৃতীয় অধ্যায়’ এবং ‘বেলাশেষে’ এই দুটি ছবিতে অরুনিমাকে পার্শ্ব চরিত্র দেখা গেছে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী নিজের বাস্তব জীবন নিয়ে সরাসরি কথা বলেছেন।
সামনেই আসছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব। আর পুজো মানেই ঘোরাঘুরি, আড্ডা, খাওয়া দাওয়া আর তার সাথে প্রেম। কেউ নতুন নতুন প্রেমে পড়ে। আবার কেউ নিজের পুরনো প্রেমিক এর সাথেই পুজো কাটায়। অরুণিমার পুজোর প্রেম কেমন সেটাই তিনি জানিয়েছেন সাক্ষাৎকারে। অভিনেত্রী জানিয়েছেন তার জীবনে পুজো স্পেশাল প্রেম এখনো পর্যন্ত হয়নি। তবে কিছুদিন আগে অবধি শোনা যাচ্ছিল যে অভিনেত্রী নাকি তার সহ অভিনেতা ইন্দ্রনীল চ্যাটার্জীর সঙ্গে প্রেম করছেন। অর্থাৎ আমরা যাকে ধারাবাহিকির টিপু চরিত্রে অভিনয় করতে দেখেছি। তবে ধারাবাহিক শেষ হওয়ার সাথে সাথেই নাকি সেই সম্পর্কে ভাঙ্গন ধরে। এইসব শুনে অরুনিমা জানিয়েছেন তিনি পুরোপুরি ভাবে সিঙ্গেল। তবে পুজোর প্রেম নিয়ে বিশেষ কোনো প্ল্যান নেই পুজোতে কলকাতাতেই কাটাতে চান তিনি। লোকজনের ভিড় পছন্দ না করার কলকাতায় কোন প্যান্ডেলে যাওয়া হয় না তার। বাড়িতে বন্ধু-বান্ধব পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আড্ডা গল্প ইত্যাদি চলতে থাকে।