বাংলা সিরিয়াল

“অ্যানিভার্সারি দিনেও নতুন ড্রেস দিতে পারল না জি কাকু” – অ্যানিভার্সারির দিনে পুরনো শাড়ি আর পুরনো শার্ট দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিযোগ করছেন দর্শকরা

বাংলা টেলিভিশন জগতে বর্তমানে সব থেকে জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো মিঠাই। ৫৪ বারের বেশি বাংলার সেরা সেরা ধারাবাহিক হিসেবে নিজেকে প্রমাণিত করেছে এই ধারাবাহিক। প্রায় দেড় বছর আগে এই ধারাবাহিক শুরু হলেও শুরু হওয়ার পর থেকেই এখনো অবধি সমানতালে বজায় রেখেছে নিজের জনপ্রিয়তা। মিঠাই ধারাবাহিকের মূল চরিত্র মিঠাই এবং সিদ্ধার্থ জুটি সবথেকে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে বাংলা ধারাবাহিক জগতের অন্যান্য জুটির মধ্যে।

ধারাবাহিক শুরু হওয়ার পর থেকেই মোদক পরিবারের সাথে বেশ একটা আত্মার সম্পর্ক হয়ে গেছে দর্শকের। মোদক পরিবারের উপর দিয়ে যখন বিপদের কালো মেঘ বয়ে যায় তখন সেই মেঘের কষ্ট যেন অনুভব করতে পারে দর্শকও। কিন্তু বর্তমানে মনোহরায় চলছে বেশ আনন্দের সময়। প্রথমে মোদক পরিবারের শত্রু ওমি আগরওয়াল এর মৃত্যু। তারপর সে মৃত্যু অভিযোগ থেকে বেরিয়ে এসেছে সিদ্ধার্থ। তারপরেই বেশ ভালোমতোই পালন করা হয়েছে জন্মাষ্টমী। আর এখন মনোহরায় চলছে মিঠাই ও সিদ্ধার্থের বিবাহ বার্ষিকীর অনুষ্ঠান।

বলা যায় অনেকদিন পর মিঠাই সিদ্ধার্থের রোমান্টিক মোমেন্ট পেয়েছে দর্শকরা। রীতিমত প্লানিং করে মিঠাই কে বিবাহ বার্ষিকীর সারপ্রাইজ দেয় সিড। প্রথমে তো তাকে দেখে মনে হচ্ছিল সে একেবারে ভুলেই গেছে এই দিনের কথা। হল্লা পার্টি সহ বাড়ির বড়দেরও মিথ্যে বলে বাড়ির বাইরে কিছুক্ষণ রাখার জন্য বের করে সিদ্ধার্থ। আর তারপরেই পুরো মনোহরা সাজিয়ে ফেলে সিড। তারপর মিঠাইকে নিজের হাতে শাড়ি, গয়না পরিয়ে সাজিয়েছে সে।

চারপাশে মোমবাতি, বেলুন, ছবি দিয়ে সাজিয়ে তার মাঝে বসে গিটার বাজিয়ে মিঠাইকে গান শুনিয়েছে। ফুলশয‍্যায় না দেওয়া আংটি উপহার দিয়েছে এদিন। তেমনি সিডকে চমকে দিতে কালো শাড়িতে মোহময়ী আবেদনের নাচ করে দেখিয়েছে তার উচ্ছেবাবুকে মিঠাই। মিঠাইয়ের জমজমাটি পর্বে মেতে উঠেছে দর্শকের মন। কিন্তু এত কিছু পরেও দর্শকের মধ্যে একটা অভিযোগ রয়েই গেল।

আসলে বিবাহ বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে মিঠাই ও সিডের পরনে যে পোশাক ছিল তার সবটাই পুরনো। আর সেটা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে রীতিমত অভিযোগ জানাচ্ছেন দর্শকেরা। প্রথম বিবাহ বার্ষিকীর মত এত সুন্দর একটি অনুষ্ঠানে কেন পুরনো পোশাক পরানো হল তাদের? প্রোডাকশন কি নতুন পোশাক দিতে পারত না? একজন লিখেছেন, “একটা স্পেশাল ওকেশনে দুজনকে ভালো শাড়ি আর শার্ট আসার দিচ্ছ না…আপনারা কি ভুলে যাচ্ছেন ওরা লিড পেয়ার। একদিন তো কস্টিউম দেওয়া উচিত। কেন এত কঞ্জুসি করছো”

এছাড়াও আরেকজন লিখেছেন, “অ্যানিভার্সারি দিনেও একটা নতুন ড্রেস দিতে পারল না জি কাকু”, এছাড়াও, “জি কাকু কিপটে টাকা খরচা করতে চায় না” এমন মন্তব্যও শোনা গেছে। যদিও অনেকেই বলেছেন মিঠাইয়ের ব্লাউজটা পুরনো হলেও শাড়িটা নতুন বলেই মনে হয়। আর তাছাড়াও সৌমিতৃষা নিজে লাল হলুদ শাড়িতে সাজতে পছন্দ করেন তাই ঠিক থাকে সেই ভাবেই সাজানো হয়। মিঠাইয়ের এই রূপ সাজ দেখে একজন মন্তব্য করেছেন, “একদম জীবন্ত পুতুল মনে হচ্ছে”।

Related Articles