বাংলা সিরিয়াল

‘ইষ্টি কুটুম, বধূ কোন আলো লাগলো চোখে, মা ইত্যাদি সিরিয়ালগুলি এক‌ই স্লটে সাড়ে তিন বছর ধরে চলতো কিন্তু এখন খুব সাত তাড়াতাড়ি ধারাবাহিক শেষ হয়ে যায়!কেন?’ধারাবাহিক দ্রুত শেষ হওয়া নিয়ে নিজের ক্ষোভ উগরে দিলেন নেটিজেন!

যুগের সাথে সাথে সব কিছুর পরিবর্তন হয়, একটা সময় যেমন বাড়িতে ল্যান্ড ফোন ছিল পরবর্তীকালে বাড়ি বাড়ি ল্যান্ড ফোনের বদলে এলো মোবাইল ফোন। তেমনই একটা সময় টিভিতে একটা কি দুটো চ্যানেল ছিল আর বেশিরভাগ বাড়িতেই সাদাকালো টিভি ছিল। কিন্তু এখন প্রতি বাড়ি বাড়িতেই কালার টিভি আর টিভিতে অসংখ্য চ্যানেল কিন্তু মানুষ কতগুলো চ্যানেল দেখে কটা সিরিয়াল দেখে সেটাই প্রশ্ন!

স্টার জলসা ও জি বাংলার মতো ধারাবাহিক গুলো যখন প্রথম দিকে বিনোদন জগতে উঠে এসেছিল তখন খেয়াল করলে দেখবেন এক একটা ধারাবাহিক দীর্ঘ সময় ধরে চলতো হয়তো একটা ধারাবাহিক দু’বছর তিন বছর চার বছর ধরে চলছে কিন্তু তবুও মানুষ সেটা কে গ্রহণ করছেন, ক্রমাগত সেটি দেখছেন এবং সেটার জনপ্রিয়তা ও ব্যাপক। মানুষ কখনোই ভাবছেন না এই ধারাবাহিকটা পরিবর্তন করে অন্য একটা ধারাবাহিক নিয়ে আসার কথা।

কিন্তু বর্তমানে এত চ্যানেলে এত ধারাবাহিকের ছড়াছড়ি তাতেও মানুষের বিরক্ত কাটে না কোন একটা ধারাবাহিক কয়েক মাস ভালো না হলেই ধারাবাহিক বন্ধ করে দেওয়ার দাবি তোলা হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন যেমন এই বিষয়টার উপরই দাবি তুলে বলেছেন যে একটা সময় একটা ধারাবাহিক যে দীর্ঘ কাল ধরে চলতো এখন আর তা চলে না।

সোশ্যাল মিডিয়ার একজন নেটিজেন পোস্ট করে লিখেছেন,“আচ্ছা আমার একটা প্রশ্ন অনেক দিন ধরে মাথায় ঘুরছে।আগের যে সিরিয়াল গুলো চলতো সেগুলো তো অনেক দিন ধরে চলতো যেমন, ইষ্টিকুটুম,বধু কোন আলো লাগলো চোখে, ভালাবাসা ডট কম,মা, টাপুর টুপুর, আঁচল,সঙসার সুখের হয় রমণীর গুণে,আর অনেক সিরিয়াল। তখন কি টিআরপি দিয়ে বিচার করতো না তখন তো যে স্লট এ শুরু হতো ওই স্লট এই ৩.৪ বছর পরে শেষ হতো গল্প যেমনি হোক না কেন।”- এই প্রশ্নের উত্তরে আরেকজন আবার বলছেন যে, এর কারণ কোন জিনিস যখন প্রথম ওঠে তখন প্রচুর মানুষ সেটাকে আগ্রহ করে দেখে কিন্তু পরবর্তীতে সময় এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে সেই জিনিসটির প্রতি মানুষের আগ্রহ কমে যায় যেমনটা এখন হয়েছে। একজন আবার বলেছেন, এখন ওটিটি আসায় ইয়ং জেনারেশন ধারাবাহিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।

Related Articles