বাংলা সিরিয়াল

লাবুর ক্ষমা না পেয়ে কি ফুলকির ক্ষতি করবে রুদ্র? ফুলকিতে এলো নতুন টুইস্ট!

জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো ‘ফুলকি’।
এই ধারাবাহিকে দেখা যায় যে, ফুলকি একজন হাঁপানির রোগী। কিন্তু সে বক্সার হ‌ওয়ার স্বপ্ন দেখে। তার স্বপ্ন পূরণে তাকে সহায়তা করে তার বর রোহিত।তবে রোহিতের জীবনটাও কালিমালিপ্ত।

যে বছর সে বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপ জেতে,সেই বছর‌ই ড্রাগ টেস্টে তার রেজাল্ট পজিটিভ আসে, এরপর বক্সিং খেলা চিরতরের মত তার জীবন থেকে মুছে যায়। বর্তমানে এই ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে যে এই ধারাবাহিকের ভিলেন সবার সামনে হাতেনাতে ধরা পড়েছে। হ্যাঁ রুদ্রর কথাই বলছি।

এই ধারাবাহিক টি যারা শুরু থেকে দেখছেন, তারা জানেন রুদ্র সবসময় চেষ্টা করেছে রোহিত আর ফুলকি সম্পর্কে ভাঙ্গন ধরানোর, কিন্তু প্রত্যেকবার‌ই তার চেষ্টা বিফল হয়েছে। যতবার সে বিফল হয়েছে ততবার তার রাগ গিয়ে পড়েছে তার নিজের স্ত্রী লাবুর উপর। লাবু হলো রোহিতের দিদি।

আরও পড়ুন : বদলাবার নয় সূর্য!যা হয়েছে ঠিক হয়েছে! অনুরাগের ছোঁয়া দেখে বলছেন দর্শক!

তবে রুদ্র যেমন কালপ্রিট এটা বুঝতে পারলেও কোন প্রমাণের অভাবে ফুলকি কোনদিনও কিছু বলতে পারে নি। বর্তমানে এই ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে যে এতদিন প্রমাণের অভাবে মুখ না খুললেও বর্তমানে প্রমাণ জুটিয়েছে ফুলকি।

বর্তমানে এই ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে যে, রোহিতকে নিয়ে সোজা রুদ্রর বাড়িতে গিয়ে সমস্ত বিষয়টা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় সে। এরপর রুদ্র বুঝতে পারে যেটা হয়েছে সেটা একদম ভালো হয় নি। রুদ্র একই সাথে এটাও বুঝতে পারে যে তাকে ক্ষমা চাইতে হবে না হলে পুরো বিষয়টা হাতের বাইরে বেরিয়ে যাবে।।

পুরো পরিস্থিতিকে কন্ট্রোলে আনতে ক্ষমা চায় সে, কিন্তু তার ক্ষমা চাওয়াতে কোন কাজ হয় না। রুদ্রকে সকলে খারাপ চোখে দেখতে শুরু করে আর রুদ্রকে দেখে রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে যায় হৈমন্তী আর মাস্টার মশাই। তাদের মেয়েকে এমন একজনের হাতে তুলে দিয়েছে যারা তার মেয়েকে অত্যাচার করছে এটা তারা ভাবতেও পারেনি কোনদিন।

মাস্টার মশাই সরাসরি বলেন যে, “আমি যদি জানতাম রুদ্র এরকম তাহলে কখনোই আমি ওর সাথে আমার মেয়ের বিয়ে দিতাম না। এমন একটা ছেলের সাথে আমার মেয়ের বিয়ে দিলাম যে লাবুকে মেরে মুখ ফাটিয়ে দেয়।”

আরও পড়ুন : শিব শক্তি সিরিয়ালে ভুল জিনিস দেখানো হচ্ছে! আধ্যাত্মিক সিরিয়াল নিয়ে ক্ষোভ দর্শকের!

একথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। এর মধ্যেখানেই রোহিত উত্তেজিত হয়ে রুদ্রকে মারতে শুরু করে। অন্যদিকে হৈমন্তী লাবু কে আর একটা সুযোগ দিতে বললে লাবু সুযোগ দেয় না।
রুদ্র এই ঘটনায় বলে যে,“একবার সবটা ঠিক হয়ে যাক তার পরে আমি ফুলকি আর রোহিতকে মজা দেখাবো।”

Related Articles