বাংলা সিরিয়াল

মনের কথা থেকে পুরো মন উঠে গেছে! টিআরপি ক্রমশ কমতে কমতে এবার ৪.৬ হবে!’কার কাছে কই মনের কথা দেখে কী বলছেন দর্শক?

জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো কার কাছে কই মনের কথা। এই ধারাবাহিকের শুরু থেকে দেখা যায় ৫ বান্ধবী নিয়ে এক নারী শক্তির গল্প।

যেখানে সমাজ সংসারের দুর্বিপাকে জড়িয়ে গিয়ে মেয়েরা একে অন্যের জন্য ভরসার কাঁধ হয়ে উঠছে। শিমুল বিয়ে করে শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার পর থেকে দেখানো হয়েছে যে, শিমুলের ওপর তার শাশুড়ি ,বর এবং দেওরের অত্যাচারের বিরুদ্ধে সে যেমন সওয়াল জবাব করেছে, তেমনি তার পাশে দাঁড়িয়ে তার হয়ে প্রতিবাদ করেছে তার পাড়ার বন্ধু বিপাশা, সুচরিতা, শীর্ষারা।

এমনকি শিমুল জেলে গেলে ও তার পাড়ার বান্ধবীরা তৎপর হয়ে ওঠে তাকে নির্দোষ প্রমাণ করতে অথচ সেই হিসেবে শিমুলের চরিত্রের মধ্যে তেমনভাবে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার তাগিদ দেখা যায় না! সে শুধু মুখেই মারিতং জগৎ ডায়লগ দিতে থাকে। ধারাবাহিকের এরকম স্লো এপিসোড এবং কনসেপ্ট দেখে দর্শক ধীরে ধীরে বিমুখ হচ্ছেন এই ধারাবাহিকের প্রতি। যে কারণে একসময়ের জনপ্রিয় বেঙ্গল টপার হওয়া এই ধারাবাহিকের টিআরপি রীতিমতো নিম্নমুখী।

আরও পড়ুন : এই নায়ক তো গিরগিটিকেও হার মানায়!তারাকে ভুলে গেলো এক সেকেন্ডে আকাশ! সন্ধ্যা তারা দেখে বলছেন দর্শক!

অনেকে দর্শকই মনে করছেন যে এই ধারাবাহিকে পরিচালকের পরিবর্তন,পরাগের ছাত্রী প্রিয়াঙ্কার আগমন ও প্রিয়াঙ্কা শিমুলের পরাগকে নিয়ে টানাটানি,ও ওকে অপরকে ফাঁসানোর গল্প, কোর্টরুমে দুই জোড়া কাপল দেখানো, এইসব দেখাতে গিয়ে গল্পের মূল ধারার থেকে অনেকটা সরে এসেছে এই ধারাবাহিক।

যে কারণে দর্শক ও বীতশ্রদ্ধ হয়ে মুখ ফিরিয়েছেন এই ধারাবাহিকের থেকে, শিমুলের অ্যারেস্ট হওয়ার পর থেকে কোট চত্বর পর্যন্ত যেভাবে স্লো লি এপিসোড রান হতে থাকে তা দেখে দর্শকরা ধৈর্য হারান বলে মনে করছেন একদল।

সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“আমার প্রথম থেকেই বিশ্বাস ছিল যে ধুলোকণা মিঠাইয়ের সাথে পেরে উঠবেই। এমনকি মন ফাগুন, আয় তবে সহচরী, কড়িখেলা, গোধুলি আলাপ, খুকুমণি হোম ডেলিভারি এরাও যে প্রতিপক্ষকে জয় করবেই সেটা আমার বিশ্বাস ছিল

“কার কাছে কই মনের কথা” র যখন প্রথম প্রমো দেওয়া হয় তখন আমার দৃঢ় বিশ্বাস ছিল এটা ব্লকবাস্টার, বেঙ্গল টপার হবেই। এবং সেটা হয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। অনেকেই বলেছিল সিরিয়ালটা ফ্লপ হবে। কিন্তু তাদের কথা ভুল প্রমাণ করে ৫ মাস স্লটলিডার টানা রয়েছে এবং জগদ্ধাত্রী, অনুরাগের ছোঁয়া এদের দুইবার বেঙ্গল টপার হয়ে দেখিয়েছে।

কিন্তু বেঙ্গল টপারটা হওয়ার পরেই এই সিরিয়ালটা এত পরিমাণ বিরক্তিকর হয়ে গিয়েছে যেটা বলার বাহিরে। তখন সম্ভবত লীনা গঙ্গোপাধ্যায় আর পার্থ দে এর হাতে সিরিয়ালটা তুলে দেওয়া হয়েছিল।

ডিসেম্বরের মাঝখান দিয়ে, যখন ঐ প্রিয়াঙ্কার আগমন ঘটে তখন সবাইকে জানিয়ে দিয়েছিলাম এই সিরিয়ালটা আর পেরে উঠবে না এবং এর অবস্থা গাঁটছড়া/ রাঙ্গা বউ এর মতো হবে। এরপর দেখা ছেড়ে দিই।

আরও পড়ুন : মানালিকে এক সেকেন্ডও দেখায় নি! ম্যারম্যারে এপিসোড তাই স্লট পায়নি মনের কথা!

এর কিছুদিন পরে স্লট হারালো। এরপর‌ও দেখতাম তবে স্কিপ করে করে। ২৩ মিনিটের পর্ব ৩/৪ মিনিটে দেখতাম। কিন্তু মন থেকে বুঝতাম এটা আর কখনো স্লট পাবেই না। আর এখন তো পুরোপুরি দেখা ছেড়ে দিয়েছি যখন থেকে গল্পের লিড “শতদ্রু” হয়ে গিয়েছে।
আমার বিশ্বাস এই সিরিয়ালটা আর কখনোই পেরে উঠবে না। কারণ ৭+/৭.৫+ অডিয়েন্স হারিয়ে ৬.৫ এ নেমে গিয়েছে। ৬:০০ য় দিলে বড়জোড় ৪.৬+ পাবে কারণ রাণীর টিআরপি এটার থেকে বেশি।

আশা করি এই সিরিয়ালটা অতি শীঘ্রই শেষ হবে এবং মানালি নতুন সিরিয়ালে ২০২৫ এর পর ফিরবে। কিন্তু এই বিষয়টা খুবই অবাককরা যে, প্রোডাকশনের প্রথম বেঙ্গল টপার সিরিয়ালকে কেউ কিভাবে এত অবহেলা করে। এমনকি এই সিরিয়াল থেকে আমার পুরো মন উঠে গিয়েছে। আগে টিআরপি কমতে দেখলে কষ্ট লাগলেও এখন বরং রাগ হয় যে কবে এটা শেষ হবে।”

Related Articles