বাংলা সিরিয়াল

কোজাগরী সংসার আর হোটেল নিয়ে নাস্তানাবুদ!আসমান ছাড়া কাস্টমার দের খাবার দেওয়াই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে! কোজাগরী কি একা সবদিক সামলাতে পারবে?

স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক জল থৈথৈ ভালোবাসাতে দেখা যাচ্ছে যে কোজাগরী তার সন্তান টিটোকে একেবারেই মানুষ করতে পারে নি। সে শিক্ষিত হয়েছে কিন্তু সেই শিক্ষা তার অন্তরকে আলোকিত করতে পারেনি, সেই কারণেই তার মধ্যে মেল ইগো প্রচুর পরিমাণে রয়েছে এবং পাশাপাশি একজন স্ত্রীকে সে নারী হিসেবে যোগ্য সম্মানটুকু দিতে জানে না।

নিজের বিবাহিত স্ত্রী কোকোকে পর্যন্ত সে ইনকাম টাকা এই সমস্ত নিয়ে অপমান করে, অত্যন্ত আত্মমর্যাদা সম্পন্ন কোকোর সাথে তাই বারংবার সংঘাত লাগে টিটোর। আসলে টিটো নিজের বৌকে তার বসের মনোরঞ্জনের সামগ্রী হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে তার চাকরির সুবিধার জন্য, যে কারণে সে চায় কোকো তার বসের মদের আসলে তাদের মনোরঞ্জনের জন্য

গান গাক, কোকো শক্ত হাতে এর প্রতিবাদ করলে বসের সামনে টিটোর পজিশন খারাপ হওয়ার জন্য কোকোর সাথে খারাপ ব্যবহার করতে শুরু করে টিটো। অন্যদিকে আসমান চলে যাওয়ায় কোজাগরীর ভাতের হোটেলে কিছু সমস্যা তৈরি হলে, একা হাতে সমস্ত অর্ডার দিতে কোজাগরীর অসুবিধা হলে কোজাগরী কে সেখানে হেল্প করতে আসে কোকো এই বিষয়টা নিয়েও টিটো রীতিমতো সিনক্রিয়েট শুরু করে।

আরও পড়ুন : “কার কাছে কই ন্যাকামোর কথা”, একি কাণ্ড! পাল্টে গেলো কি ধারাবাহিকের নাম?

টিটোর চেহারা যত আস্তে আস্তে বুঝতে পারে কোকো তত সে কষ্ট পেতে থাকে, সে বুঝতে পারে তাদের সম্পর্কটা ভাঙতে শুরু করেছে। একই সাথে টিটোর এই রূপ দেখে কোকো কষ্ট পায় , কোকো বুঝতে পারে না টিটো কিভাবে এমন আচরণ করতে পারে তার সাথে! কোথাও গিয়ে জীবনের সমস্ত হিসেব যেন তার ওলট-পালট হয়ে গেছে! দর্শক কোকো-টিটোর এই জীবনেও একটা ভাঙ্গনের ইঙ্গিত খুঁজে পান!

সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন এই ধারাবাহিক টি দেখে লিখেছেন যে,“আজ কোকোর বলা কথাগুলো বড়োই কষ্টে র। এতো বছর ধরে ভালোবেসে বিয়ে করেছে,আর বিয়ের রাত থেকেই কোকোর মনে ক্রমাগত একটা টানাপোড়েন চলে ই যাচ্ছে, সংসারটা করবে কি করে।

আদৌও কি কোকো সংসারটা করতে পারবে
টিটোর কথা শুনে ক্রমাগত একটা মনের মধ্যে ভয়ের বাসা বাঁধছে।আজ কি বললো এইগুলো—————বশেরা সাবর্ডিনেটদের উপর যা খুশি তাই করে।

টিটোর উপর কাজের উপর কাজ চাপিয়ে দেওয়া হয়,নানা রকম প্রজেক্টের কাজ চাপিয়ে দেওয়া হয়,তাই এতো কাজের চাপ টিটো নিতে পারছে না।তাই বশকে খুশী করতে পারলে টিটো একটু হাল্কা হোতে পারবে,কোকোর সাথে হানিমুনের ছুটি কাটাতে পারবে
টিটো কি ধরনের মানুষ,তাহলে টিটোর শিক্ষার কি দাম আছে
শিক্ষার জোরে যা আদায় করতে পারে না,তা নিজের বৌকে বশের পাশে এগিয়ে দিয়ে আদায় করতে চাইছে।
কি ঘৃণ্য মানুষিকতার মানুষ এই টিটো

আরও পড়ুন : ‘প্রোমো দেখে বুঝিইনি খেয়ালি অনুভব জুটি এত সুন্দর ক্লিক করবে!সাইলেন্ট লাভারের চরিত্র অনুভব ছাড়া কারোর পক্ষে করা অসম্ভব!’মিলি দেখে অনুভবের প্রশংসায় পঞ্চমুখ দর্শক!

কোজাগরী আজ সংসার আর হোটেল নিয়ে নাস্তানুবাদ হয়ে পরছে।কাজের লোকেরা ঠিক মতন কাজ করছে না।কাস্টমারদের সময় মতন খাবার দেওটাই এখন চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।তাহলে কোজাগরী কি একা সব দিক সামলাতে পারবে”

Related Articles