অপমান করলেও অনিকেতের মনের মধ্যেই আছে শ্যামলী! কোন গোপনে দেখে বলছেন দর্শক!
জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো ‘কোন গোপনে মন ভেসেছে।’ এই ধারাবাহিকে দেখা যায় যে, শ্যামলী পাহাড়ে একটি ভাতের হোটেল ছিলো। ভাইদের মুখে অন্ন তুলে দেওয়ার জন্য এবং পরিবারের কথা ভেবে সে সেই হোটেল একাই চালাতো। সে নিজেই ওই হোটেলে রান্না করতো এবং নিজেই হোটেলের বাসন মাজা থেকে শুরু করে সব কাজ করতো।
কিন্তু এত কিছুর পরও তার কপালে শুধুই অবহেলা জুটতো। একবার তার ভাইয়েরা তাকে মিথ্যা অপবাদ দেয় ও বাড়ির বাইরে সারা রাত রেখে দেয়। সেই রাত্রে মাস্টার মশায়ের কথাতে উদ্বুদ্ধ হয়ে শ্যামলী পরদিন সকালে কলকাতা শহরে রওনা দেয়। কলকাতা শহরে কোথায় উঠবে সেই ঠিকানা হারিয়ে ফেলে শ্যামলী তখন অনিকেত তাকে আশ্রয় দেয় নিজের বাড়িতে!
আরও পড়ুন : শিমুল আর পরাগের ভাঙা সংসারে আসছে সন্তান! তবে কি জোড়া লাগবে শিমুল পরাগের সম্পর্ক?
এই অনিকেতের ভাই কিঞ্জল আবার শ্যামলীকে ভালবেসে ফেলে। শ্যামলীকে প্রপোজ করতে যাওয়ার সময় কিঞ্জল জলের তোড়ে ভেসে কোথায় হারিয়ে যায়। কিঞ্জলের মৃত্যুর সকল দায় এসে পড়ে শ্যামলীর ওপর। শ্যামলীকে অ্যারেস্ট করে পুলিশ , এরপর শ্যামলী কোর্টে উঠলে অনিকেত তাকে নির্দোষ প্রমাণ করে।
অন্যদিকে অনিকেতের মা শ্যামলীকে অপমান করলে শ্যামলী আত্মহত্যা করতে যায়। শ্যামলীকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করবার জন্য তখন অনিকেতের মাকে অ্যারেস্ট করা হলে অনিকেত শ্যামলীকে ৬ মাসের কন্ট্রাক্টে বিয়ে করে। অন্যদিকে ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে যে, জোড়ি নাম্বার ওয়ান এর একটি খেলায় অনিকেত আর শ্যামলী পার্টিসিপেট করেছে সেখানে শ্যামলী আর অনিকেত প্রথম হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“কি বন্ধু রা অনিকেত আর শ্যামলী মিলে জোড়ি নাম্বার ওয়ান টা জিতেই নিল
যতই অনিকেত শ্যামলীকে অপমান করুক না কেনো,ওর প্রতি মনের মধ্যে একটা ভালোবাসাতো আছেই,না হলে সব বিপদে অনিকেত কেনো শ্যামলীর পাশে থাকে।শ্যামলী কিছু বললে সেটা ঘুর পথে হলেও রাখে।
অবশ্য এখন যা পরিস্থিতি তাতে ভালোবাসার বর্হিপ্রকাশ না ঘটলেও,অজান্তেই মনের কোনে তো আছেই,যার প্রকাশ এখনো ঘটে নি
কিঞ্জল ফিরে এলে সব হয়তো স্বাভাবিক হয়ে উঠবে।মামনির মনটার হয়তো পরিবর্তন ঘটবে।সেদিন মামনি নিজেই হয়তো সব কিছু মেনে নেবে।আর মামনি যদি মেনে নেয় তাহলে তো সব চিন্তা র অবসান ঘটবে”