বাংলা সিরিয়াল

‘এই প্রথম কোন বাংলা সিরিয়ালে এত মনোমুগ্ধকর রবীন্দ্রজয়ন্তী হল!যেখানে বীথি স্ত্রীর পত্রের মৃণাল আর আম্মা দুই বিঘা জমির উপেন!-প্রশংসায় পঞ্চমুখ দর্শক

স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক মেয়েবেলা। সম্প্রতি এই ধারাবাহিকে রবীন্দ্র জয়ন্তী অনুষ্ঠান পালিত হয়েছে আর তারপর থেকেই এই ধারাবাহিকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠছেন দর্শক। কারণ রবীন্দ্রজয়ন্তী প্রত্যেকটা ধারাবাহিকেই কম বেশি পালিত হয়েছে কিন্তু এই ধারাবাহিকের মতো করে কোথাও পালিত হয় নি এটাই মনে করছেন অধিকাংশ মানুষ। প্রথমে দেখানো হয় রবীন্দ্রজয়ন্তী অনুষ্ঠান পালনের জন্য এই ধারাবাহিকে প্রত্যেকের একটা ড্রেস কোড করা হয়েছিল সবাই মোটামুটি একই রকমের পোশাক পড়ে এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন, এই রবীন্দ্রজয়ন্তী অনুষ্ঠানে ৩০ বছর পরে বীথি আবার গান ধরে, একটা গান পাগল মানুষ আবার গান ফিরে পায় এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে।

কিন্তু তার থেকেও বড় কথা এই ধারাবাহিকে প্রত্যেকটি চরিত্র যেন অজান্তেই হয়ে ওঠে রবীন্দ্রনাথের লেখা একেকটি চরিত্রের মত। স্ত্রীর পত্রের অবহেলিত মেজ বৌমা মৃনাল যেন মেয়ে বেলার বিথী, বহু কষ্ট এবং সংকটের মধ্যে পড়ে নিজের একতলা লিখতে বাধ্য হওয়া আম্মা যেন দুই বিঘা জমির সেই অসহায় উপেন, যিনি বাধ্য হন তার জমি ছেড়ে দিতে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“এই প্রথম কোন বাংল সিরিয়ালে এত মনোমুগ্ধকর রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন হল।

কুলোর মোটিফ দিয়ে রবীন্দ্রনাথ লেখা হোক বা পোশাকে নীল সাদা আর সবুজের ছোঁয়া।
ছোট্ট মিনির সাথে স্মর‍ণজিতের কাবুলিওয়ালার অংশ প্রর্দশন। প্রাণ চায় চক্ষু না চায় গানে এক সদ্য বিবাহিত দম্পতির লাজুক দৃষ্টি বিনিময়। স্ত্রীর পত্র পাঠে বিথীর ত্রিশ বছরের জমে থাকা অভিমানের উদযাপন। আবার সেই বিথীর সব অভিমান ভুলে ছেলে ও ছেলের বউয়ের সাথে ত্রিশ বছর বাদে গান গেয়ে ওঠা।
এক বৃদ্ধার বাস্তু হারানোর ক্ষোভ আম্মার কন্ঠস্বরে “দুই বিঘা জমি” কবিতায় ফুটে উঠেছে।
এমনিতে যে টিটো সবসময়ই ঠাট্টা মজায় সবাইকে মাতিয়ে রাখে সে দাদার প্রাক্তনীর ফোন এলে তাকে বুঝিয়ে দেয় যে যা অতীত তাকে পেছনে রেখে এগিয়ে যেতেই হবে। যা ছিল তা থেকে যাক নীরবে। টিটো প্রকারন্তরে চাঁদনিকে এটাই বোঝায় যে এবার থেকে তাকে ‘মৌঝরকে যুগলে চলতে দেখতে অভ্যস্ত হতেই হবে।
মৌয়ের অজান্তেই বিথী স্নেহের হাত রাখে তার মাথায়। এ শুধু পারেন একমাত্র রবিঠাকুর।
একদিকে শুরু হয় মৌ – ডোডোর বন্ধুত্বের। অন্য দিকে খুলে যায় মৌ এর জন্য বিথীর স্নেহের গোপন দরজা।”

Related Articles