বাংলা সিরিয়াল

‘বাস্তবে নায়িকারা দেবী হয় না!রাইয়ের মতো সর্বস্ব ত্যাগ করার পর পরিবারে অপমানিতই হয়!’মিঠিঝোরা চরম বাস্তবিক বলছেন দর্শক

ধারাবাহিক গুলো খুললেই দেখা যায় নায়িকা গুলো সব দয়ার অবতার আর এই দয়ার অবতার চরিত্রের নায়িকাগুলোকে সবাই দেবী রূপে সিংহাসনে বসে পূজো করছেন। দর্শকদের মধ্যে সিংহভাগ মানুষের আপত্তি এখানেই, বাস্তবের মাটিতে দেখা হয় যারা সত্যি কারের প্রকৃতপক্ষে ভালো যারা অন্যের জন্য করে অন্যের জন্য ত্যাগ করে তাদেরকে দিনের শেষে অপমানিত হতে হয়।

কিন্তু ধারাবাহিকে ঠিক তার উল্টোটা দেখা যায় ধারাবাহিকে দেখা যায় নায়িকার ত্যাগের প্রশংসায় পরিবারের লোক থেকে শুরু করে নায়িকার এক্স পর্যন্ত মুখরিত। কিন্তু বাস্তবের মাটিতে একজন মানুষ নিজের জীবনের সর্বস্ব দিয়ে দেওয়ার পরেও নাম পায় না।

এই ধারাবাহিক গুলো তো বাস্তব থেকেই গড়ে ওঠে তাহলে যেখানে বাস্তবের মাটিতে চরিত্রগুলো মহান হওয়ার পরেও প্রত্যেকটা মুহূর্তে অবহেলিত হয় অপমানিত হয় সেখানে ধারাবাহিককে কিভাবে একটি মহান চরিত্রকে সবাই দেবী রূপে পূজা করে এই প্রশ্ন দর্শকের মনের মধ্যে রয়ে যায়।

আরও পড়ুন : মা কালী সাধক থেকে পরমহংস সব্যসাচী! ভক্তিস সাগরের অফার গেল রামপ্রসাদ খ্যাত সব্যসাচীর কাছে!

দর্শকদের কথায় দীর্ঘ সময় পর একটি বাস্তবসম্মত ধারাবাহিক দেখতে পাওয়া গেছে যেখানে নায়িকা পরিবারের জন্য সর্বস্ব ত্যাগ করে দিল পরিবারের লোক পারে তো তাকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলে! বাস্তবে তো এটাই হয় যারা ত্যাগ করে তাদের চিরটা কাল ত্যাগ করে যেতেই হয় আর তাদের ত্যাগের মূল্য কেউ বোঝে না।
জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক মিঠিঝোরার প্রশংসায় তাই পঞ্চমুখ হয়ে উঠছেন দর্শক।

সোশ্যাল মিডিয়ায় রাই চরিত্রের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“সত্যি দিন যত যাচ্ছে, পর্ব যত এগোচ্ছে তত রাইকে দেখে অবাক হচ্ছি, আপ্লুত হচ্ছি
লেখিকা ম্যাম ” রাই ” খুবই শক্তভাবে তৈরী করেছেন।

রাই এর জায়গায় যদি আমি থাকতাম কবেই সকলকে শান্তি দিয়ে চিরনিদ্রাই চলে যেতাম। হ্যাঁ এটা সিরিয়াল, বাস্তব না তারপরেও যাদের জন্য সব করলাম, যাদের কথা ভেবে নিজের সবকিছু উজাড় করে দিলাম, যাদের সুখের জন্য যাদের ভালো থাকার জন্য নিজের ভালো থাকা, নিজের সুখ বিলিয়ে দিলাম, নিজের বোন তার কার্যকলাপের জন্য যার বিয়েই হতো

না তার সাথে নিজের ভালোবাসার মানুষের বিয়ে দিলাম শুধুমাত্র তার কথা ভেবে তার ভালো থাকা সুখে থাকার কথা ভেবে তারপরেও দিন শেষে তাঁদের কাছ থেকে যদি অপমান,লাঞ্ছনা, নোংরা নোংরা কথা শুনি তখন আর জীবনটা রাখার ইচ্ছাই থাকতো না, রাইয়ের মতো জীবন হলে কবেই ঝুলে পড়তাম।

আরও পড়ুন : মিঠিঝোরা এত জমজমাট হয় বলার বাহিরে!এত কূটনামি পুরা আমার মনের মতো!-নীলুর জন্য‌ই মিঠিঝোরা দেখেন দর্শক

সকলকে চিরবিদায় জানিয়ে জীবনটা শেষ করে দিতাম এইদিকে নীলুও সুখী হতো আর এইদিকে নিজের পরিবারও সুখী হতো। কারণ তাঁদের অশান্তির মূল কান্ডারিতো আমি, আমি মরে গেলে কোথাও আর কোনো অশান্তি থাকতো না।

যদি ভালোভাবে খোঁজ নেওয়া যাই তাহলে দেখা যাবে রাই এর জীবনের মতো অনেক মেয়ে আছে রাইয়ের মতো রিলেটেড মেয়ে আছে অথবা রাই এর থেকেও খারাপ অবস্থাতে মেয়ে আছে যারা সব করেও নিজের পরিবারের ভালোবাসা অর্জন করতে পারেনি, শুধুই লাঞ্ছনা, অপমানিত হয় রাই চরিত্রটি তাঁদের অনুপ্রাণিত, তাঁদের শক্তি।”

Related Articles