জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো নিম ফুলের মধু। এই ধারাবাহিকে দেখা যায় যে, বিয়ের পরই দুই বৌকে একসাথে নিয়ে পালালো সৃজন। হ্যাঁ নিম ফুলের মধু ধারাবাহিকে অবশেষে সৃজনের দ্বিতীয় বিয়ে হয়েই গেলো। আসলে অন্যান্য ধারাবাহিকের মতো এখানেও দেখা যায় যে গ্রাম বেড়াতে গিয়ে সেখানকার লোকেরা জোর করে সৃজনের সাথে সুইটির দিয়ে দেয় কিন্তু এই বিয়েটা পুরোটাই আসলে পরিকল্পনা মাফিক তাও আবার সুইটির পরিকল্পনা, যেটা বুঝতে পারে না পর্না নিজেও।
ধারাবাহিকে দেখা যায় যে, সৃজন সুইটির সীঁথিতে সিঁদুর লাগাতে মানা করে,এরপরে ঠিক হয় যে সৃজন সিঁদুরটা সুইটির সিঁথির কাছে ধরবে কিন্তু তাকে পরাবে না, সেই মতো সে সিঁদুরটা সুইটির কপালের কাছে নিয়ে গেলে সুইটি নাটক করে পড়ে যাওয়ার মতো ঢঙ করে সিঁদুরটা মাথায় লাগিয়ে নেয় আর ব্যস এভাবেই হয়ে গেলো দুজনের সামাজিক বিয়ে।
তারপর শুরু হলো সেই একই কনভারসেশন,যা প্রায় সব ধারাবাহিকের ক্ষেত্রেই কমন।
আমি তো বিয়ে করিনি, আমাকে জোর করে বিয়ে দিয়েছে! আমার বৌ আছে ইত্যাদি ইত্যাদি, অন্যদিকে পর্নার মনে সন্দেহ হতে থাকে, সে আর থাকতে না পেরে ছুটে আসে আর এসে দেখে যে, সৃজন সুইটিকে বিয়ে করে ফেলেছে।
এরপর পর্ণা সুইটিকে চার্জ করতে গেলে, সুইটি তার নাটক চালু করে দেয়, আর সেই সাথে তাদের গ্রামের লোকেরাও নাটক শুরু করে, তখন পর্না ভাবে যে, সুইটি তো বেচারি, সে তো এই পুরো ষড়যন্ত্রের শিকার। তবে এই বিয়ে সৃজন মানতে চায় না, আর পর্নাও মানে না, কিন্তু সুইটির দুঃখে দুঃখী হয়ে পর্না আবার সুইটিকেও ছাড়তে পারে না।
এরপর গ্রামের লোক রেগে গিয়ে সুইটিকে মারতে গেলে পর্না সুইটি ও সৃজনকে নিয়ে পালিয়ে যায়। গ্রামের লোকেরাও লাঠি নিয়ে তাদের পিছনে দৌড়ায়। সৃজনরা শেষে একটা বাসে উঠে পড়ে, কিন্তু সুইটি পড়ে যায়, এটা দেখে সৃজন বাবুর মনে দয়া হয় আর সে হাত বাড়িয়ে সুইটিকে তুলে নেয়। তো এইভাবেই দত্ত বাড়িতে এন্ট্রি হচ্ছে সুইটির।
ইতিমধ্যেই ধারাবাহিকের নতুন প্রোমো দিয়ে দিয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে যে, পর্ণা কৃষ্ণার সামনে সুইটির পরিচয় দিচ্ছে সৃজনের বৌ হিসাবে। এরপর কী হবে সেটাই দেখার!
