বাংলা সিরিয়াল

ভেবেছিলাম বাড়ির সবাই এক হয়ে লড়াই করবে, কিন্তু সেই আবার‌ও ভয় পেয়ে পিছিয়ে এলো সৃজন! বারবার কি একই কাহিনী হবে লড়াই হবে পর্নার একার?-একসাথে লড়াই করার প্রমিস করে ও পিছিয়ে আসছে সৃজন,দেখে বিরক্ত দর্শক!

জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক নিম ফুলের মধুতে দেখা যায় দত্ত বাড়িতে বিয়ে হয়ে আসার পর থেকে পর্ণা একাই সমস্ত বিপ্লব নিজে থেকেই করেছে, বাড়ির সমস্ত কুসংস্কারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে লড়াই করা হোক, অথবা বাড়ির মেয়েদের চাকরি করা, বাড়ির মেয়েদের নাচ করা, বাড়ির বউদের নাইটি পরা- এইসকল ক্ষেত্রে সে একাই লড়াই করেছে, ছোটকার বিয়ে থেকে শুরু করে তার বাড়ির কোন সদস্য বিপদে পড়লে সে একাই ঝাঁপিয়ে পড়েছে! এই প্রথম যখন চয়ন মন্ত্রীর ছেলের হাতে মার খেলো তখন সৃজন বলেছিল সে তার পাশে দাঁড়াবে এবং বাড়ির সবাইও একটা পর্যায়ে গিয়ে বলেছিলো তারা চায় অপরাধীর শাস্তি হোক! এইসব এপিসোড এবং প্রোমো দেখে দর্শক স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে ভেবেছিলেন এবার ধারাবাহিক টা একটু অন্যরকম হবে সবাই মিলে একসাথে লড়াই করবে কিন্তু কাকস্য পরিবেদনা, ভয় পেয়ে আবার‌ও পিছিয়ে গেল সৃজন লড়াই হয়ে দাঁড়ালো পর্নার একার।

তাহলে কি নিম ফুলের মধুতে সেই ঘুরেফিরে আবার‌ও একাই লড়াই হবে পর্নার? সৃজনকে কি সে কখনোই তার পাশে পাবে না?

সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“এতদিন সবাই চাইছে অপরাধী ধরা পড়ুক। বিশেষ করে জেঠু ও। বেশ ভালো লাগছিল যে বাড়ির সবাই এক হয়ে কাজ করবে হয়তো এই প্রথমবার প্রথম থেকেই। একটু ইউনিক কিছু হবে ।

কিন্তু সেই একই বিষয় হলো ঘুরে ফিরে,,,even সৃজন ও ভয় পাচ্ছে। প্রোমো অনুযায়ী সব হচ্ছিল,সৃজন পরনার পাশে থাকার প্রমিজ করলো,,আবার আজকে বললো কথা ফিরিয়ে নিচ্ছেএই লড়াইটা আজকে থেকে নাকি পরনার একার।

আরও পড়ুন : দেবকে ডিয়ার বলায় জেলাস পারো!পারোর পজেসিভনেস দারুন উপভোগ করছেন দর্শক!

এখন পরনা বিপদে পড়বে বা বিপদজনক কাজ করতে যাবে সবাই আটকাতে চাইবে।দরকারে সৃজন যাবে বাঁচাতে,,,,কিন্তু কাহিনী সেই একই থাকবে যে সৃজন পরনার সাথে মিলে একসাথে লড়াই করবে না,রাজি ও হবে না। বারবার সরে আসতে বলবে”।

আবার সৃজন এর প্রমিস করে সরে আসা দেখে মানুষ যেমন বিরক্ত তেমনি পর্নার দুঃসাহসিক আচরণ দেখেও দর্শক মুগ্ধ। সোশ্যাল মিডিয়ায় একজনের যেমন বক্তব্য,“

উফ টাকা দিয়ে দামাচাপা দিতে চাইলে,পর্ণা তার বুদ্ধি দিয়ে ওই মন্ত্রী কে ধরে ফেলে, আর তার মুখে ঝামাা ঘষে দিল,,যদিও তাকে শুট
করতে যাচ্ছিল,ঠিক সেই সময় ইশারা দিয়ে না করে দেয়!
এবার হবে রাজনীতির ময়দানে অসৎ মন্ত্রীদের মুখোশ খুলে দেওয়ার লড়াই.. তাদের অসৎ সন্তানদের শাস্তি দেওয়ার যোগ্য সময়
সবসময় ইউনিক বাস্তবের সাথে মিল রেখে কনসেপ্ট আনায় অসাধারণ লাগে”

আরও পড়ুন : তারার কি আর পড়াশোনা নেই? সন্ধ্যা তো চাষ করে না তাহলে এখন ওর বাড়ির লোক কি খায়? তারার সাথে কি আকাশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক হয়েছিল?

Related Articles