বাংলা সিরিয়াল

যে ল্যাপটপ দিয়ে সব প্রমাণ হল,সে ল্যাপটপটাকেই দেখা যাচ্ছে!এটা কীভাবে সম্ভব?-নিম ফুলের মধু দেখে বললেন দর্শক!

জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো ‘নিম ফুলের মধু’। এই ধারাবাহিকে দেখা যায় যে, পর্না যৌথ পরিবার নিয়ে অনেক কিছু ভেবে রেখেছিলো, যৌথ পরিবার মানে ভালো, যৌথ পরিবার মানে একসাথে থাকা, এই ভাবে যৌথ পরিবার নিয়ে তার একটা সুখের কল্পনা ছিলো কিন্তু সেই কল্পনা বাস্তবে ভেঙে যায়, যখন সে দত্ত বাড়িতে বউ হয়ে আসে! দত্ত বাড়িতে বউ হয়ে আসার পরে পর্না বুঝতে পারে,তার স্বপ্ন আর বাস্তব কতটা আলাদা!

তখন দত্ত বাড়ির একটার পর একটা অর্গল ভাঙতে শুরু করে সে, কখনো দত্ত বাড়ির মেয়েদের নাচ করা করায়, কখনো দত্ত বাড়ির মেয়েদের ছেলেদের আগে খেতে বসা করায়, কখনো বা দত্ত বাড়ির বউ হয়ে বাইরে বেরিয়ে চাকরি করে- এইভাবে একটার পর একটা সংস্কার ভাঙতে শুরু করে সে।

আরও পড়ুন : কিঞ্জলের মনের কথা জেনে গেল শ্যামলী!কীহবে এরপর?কোন গোপনে মন ভেসেছের প্রোমো!

কিছুদিন আগে এই ধারাবাহিকে দেখা গিয়েছিলো যে,ঈশা একটা ভয়ংকর ষড়যন্ত্র করছে এবং সেই ষড়যন্ত্রের শামিল হয়েছে বাবুর মা কৃষ্ণা এবং পর্ণার জা মৌমিতা‌। মদ খেয়ে সৃজন যখন ঘুমন্ত অবস্থায় ঘরে শুয়ে ছিল তখন, তার পাশে গিয়ে শুয়ে পড়ে ঈশা এবং তারপর ভয়ংকর সিনক্রিয়েট করতে শুরু করে, সৃজনকে ব্ল্যাকমেইল করতে শুরু করে এবং সেই ভয়ে সৃজন পর্নাকে ডিভোর্স দিয়ে ঈশাকে বিয়ে করতে পর্যন্ত রাজি হয়ে যায়! কিন্তু শেষ মুহূর্তে পর্না যখন নিজে নিজের একটা বিয়ের নাটক করে তখন সমস্ত সত্যি সামনে আসে!

সৃজন তখন বিয়ে ভেঙে উঠে পড়ে এবং পর্না কে সবটা বলে, পর্না এরপর সত্যের হদিশ পায় আর ঈশাকেও উপযুক্ত শাস্তি দেয়! দেখা যায় ল্যাপটপের মধ্যে সমস্তটা রেকর্ডিং হয়ে আছে। কিন্তু এখানে এই ধারাবাহিক নির্দেশনায় একটা মস্ত বড় ভুল হয়ে গেছে যা নিয়ে সবাই হাসি ঠাট্টা শুরু করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন লিখেছেন যে, যে ল্যাপটপ দিয়ে সবকিছু প্রমাণ হলো সেই ল্যাপটপটাকে কিভাবে দেখা যেতে পারে!

আরও পড়ুন : ছেলেকে জুতোপেটা করলো ধ্যাষ্টামো’ জ্যেঠু,প্রকাশ্যে এলো অবাক করা পর্ব

সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“এসব কি ধরনের ধ্যাস্টামো বলো দেখি

ওমাগো টুরু ল্যাপটপ-সেইদিন দেখাইলো ঈশার করা শয়তানী সবকিছু ল্যাপটপে রেকর্ড হয়েছে।এখন দেখাচ্ছে ল্যাপটপ নিজেই বসে বসে তাহাদের ফুলসজ্জা দেখছে থুড়ি পাহারা দিচ্ছে।একেই বলে ডিজিটাল যুগের ডিজিটাল পরিচালকের ডিজিটাল বুদ্ধি।হেতেরে গোবর থুড়ি নোবেল ছুঁড়ে মারা হোক।

এখন আমার মনে একটাই প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে ল্যাপটপ যেহেতু সামনেই বসে তাহাদের দেখছে সেহেতু তাহাদেরকে কোন ক্যামেরায় রেকর্ড করা হলো।এখন মনে হচ্ছে এসবকিছু হয়তো আলোর ভুতের কাজ নয়তো পারোর ভুতের কাজ নয়তো আমি নিজে বাংলাদেশ থেকে ইন্ডিয়া গিয়ে এই মহান কাজটা করে এসেছি।এখন এসব জানার পর জাতি কি আমাকে থাংকু দিবে নাকি পরিচালক কে নোবেল দিবে?
ফ্যাক্ট বাংলা সিরিয়াল এখানে সব কিছুই সম্ভব।সব অসম্ভব কে সম্ভব করাই জলিল কাক্কু থুক্কু বাংলা সিরিয়ালের কাজ।”

Related Articles