‘ইন্দ্রানী মেয়েটা কিউট ওকে বাজে লুক দেওয়া হয়েছে! দেখতে কুৎসিত লাগলেও বাঘা বাঘা অভিনেত্রীদের লিড করার মতো ক্ষমতা রাখে!-চিনি চরিত্রে নায়িকার মুখ বদল নিয়ে কী বলছেন দর্শক?
স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক চিনি। এই ধারাবাহিক সদ্য শুরু হয়েছে স্টার জলসার পর্দায়। ধারাবাহিক শুরু হওয়ার পর থেকেই দেখা যাচ্ছে এই ধারাবাহিকের গল্প প্রেম, প্রতিজ্ঞা, রহস্য, নিয়ে তৈরি।
দ্রোন এবং চিনি দুজনের মধ্যে কিছু একটা কানেকশন আছে যা তাদেরকে বারবার কাছাকাছি নিয়ে আসছে আবার দ্রোনও যেমন স্বপ্নের মধ্যে অনেক কিছু অদ্ভুত জিনিস দেখতে পাই ঠিক একই রকম ভাবে চিনিও অনেক অদ্ভুতুড়ে জিনিস দেখতে পায়, আসলে ধারাবাহিক একটি পুনর্জন্মের আর সেই কারণেই একে অপরের সাথে একটা কানেকশন ফিল করতে পারে দ্রোন আর চিনি, গল্পে যদিও এখনও অবধি সেই বিষয়টা ক্লিয়ার করে দেখায়নি, তবে দর্শকরা সেটাই অনুমান করছেন পর্ব দেখে।
ধারাবাহিক সদ্য কিছুদিন হল শুরু হয়েছে এর মধ্যেই শোনা যাচ্ছে যে ধারাবাহিকের নায়িকা ইন্দ্রানী ভট্টাচার্যকে চেঞ্জ করে দেওয়া হচ্ছে। শোনা যাচ্ছে যে সোমবার অর্থাৎ আজ থেকেই চিনির জায়গায় আসবেন নতুন মুখ।
চিনির চরিত্রে আমরা বিজয়লক্ষী চ্যাটার্জী কে দেখতে পাবো বলে শোনা যাচ্ছে, বিজয়লক্ষ্মীর আগের কাজ সংসার সুখের হয় রমণীর গুনে, দ্বিরাগমন ও রানু পেল লটারী।
জলসা কন্যা আবার নতুন কাজে জলসায় ফিরে আসায়, জলসার ভক্তরা যেমন খুশি, তেমনি ইন্দ্রানী ভট্টাচার্যকে আর চিনি চরিত্রে দেখতে পাওয়া যাবেনা শুনে আহত হয়েছেন দর্শক। অনেকেই বলছেন প্রথমে তারা ইন্দ্রানী কে চিনি হিসেবে মানতে না পারলেও ধারাবাহিক যখন এগোতে শুরু করে এবং ধারাবাহিক যখন তারা দেখতে শুরু করেন তখন তারা ইন্দ্রানীকে মেনে নিয়েছিলেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“ইন্দ্রানী ভট্টাচার্য্য
প্রথম যখন শুনি ওকে কাস্ট করা হয়েছে
আমি মন থেকে মেনে নিতে পারেনি! অনেক ট্রল করেছি ওকে নিয়ে
আমার ধারণা ছিল , ওর নায়িকা হবার কোনো যোগ্যতা নেই! তাছাড়া ওর লুকস এর একটা ব্যপার ছিলো
বাট আমি ভুল! সৌন্দর্যতা কখনোই নায়িকা হবার মাপকাঠি হতে পারে না
ইন্দ্রানী মেয়েটা অনেক কিউট আর সুন্দর,ট্যালেন্টেড ,ওকে বাজে লুক দেওয়া হয়েছে তাছাড়া ও
ও কুৎসিত হলেও , ও যে অভিনয় করছে তাতে বাঘা বাঘা অভিনেত্রীদের লিড করবে!
ইন্দ্রানী তার কাজ দিয়ে আমার সমস্ত রকমের দ্বিধা দূর করে দিয়েছে!! একসময় বলেছি ওকে কাস্ট করা সাহানা ম্যাম এর ভুল ছিলো এখন আমি বলছি ওকে কাস্ট করা জলসা এবং সাহানা ম্যাম এর সবথেকে বড় সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল!
চিনি চরিত্র কে জীবন্ত করে তুলেছে , আর চরিত্র টাকে দিগুন ইন্টারেস্টিং বানিয়েছে!
সিরিয়ালের কথায় আসি , জলসার মোস্ট ইউনিক সিরিয়ালের মধ্যে
তুমাদের রাণী কথা চিনি
একটা সিরিয়াল তখন বেস্ট হয় যখন সাইড রোল কে সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়
চিনিতে এতোগুলো চরিত্র রেখেছে সাহানা মাসি আর সব চরিত্রের আলাদা শেড এমনকি কাজের লোকদেরও , প্রতিটা চরিত্র ওয়ার্কিং
এটাই হচ্ছে সিরিয়াল টা ভালো লাগার একটি কারণ
সিরিয়ালরটার গল্প বেশ ইন্টারেস্টিং !
বিজিএম গুলো পারফেক্ট, কোনো এক্সট্রা ক্যাচাল বিজিএম নেই এটা ভালোলাগার আরেকটি কারণ!
আর সবথেকে বড় কারণ: স্ক্রিনপ্লে স্ট্রং ,, একটা সিনের সঙ্গে আরেকটা সিন খুবই স্মুদলি এডজাস্ট পূর্ণ
আমি সিরিয়াল বা মুভি দেখতে যে বিষয় গুলি খুব ফলো করি এই কারণ গুলো, আর এগুলোতেই বাজিমাত করেছে সাহানা মাসি
এজন্যই এতো পছন্দ চিনি
আরও পড়ুন : কথা ৭.১!খুব শীঘ্রই গরিবের সিআইডিকে স্লটহারা করবে কথা!-কথা জগদ্ধাত্রীকে হারাবেই আশাবাদী দর্শক!
যাইহোক মন দিতেচাই শুরুর দিকে এতো আহামরি টিআরপি পায়নি
একটু সময় লেগেছিল , এখনো আহামরি টিআরপি পাচ্ছে না,,
টিআরপি টিআরপি করে করে সবাই ভুলে গেছে সিরিয়াল আসলে আমরা বিনোদনের জন্য দেখি টিআরপির জন্য নয় , আমার কাছে যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে
দর্শক দেরও ভালো লাগবে , একটু সময় লাগবে কিন্তু ভালো লাগবে,
টিআরপির পিছনে না দৌড়ে জলসা
এই একটা সিরিয়াল কে মন দিয়ে চালাক এই সিরিয়াল টা
টিআরপি দিয়ে বিচার করার মতো নয়,
দিন শেষে এই সিরিয়াল টা দেখে অনেক মানসিক শান্তি পাই”