‘দুনিয়া উল্টে গেলেও ফুলকিতে রুদ্র জীবনেও ধরা পড়বে না!’অনেক আশা নিয়ে বসেও ফুলকিতে রুদ্রর পর্দা ফাঁস হলো না দেখে হতাশ দর্শক!
ধারাবাহিকে ভিলেনের পর্দা ফাঁস নিয়ে দর্শকদের মধ্যে একটা টানটান উত্তেজনা থাকে স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক অনুরাগের ছোঁয়াতে যখন মিশকার পর্দা ফাঁস হয়েছিল তখন সেটা নিয়ে দর্শকদের মধ্যে একটা টান টান উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল এবং দর্শকরাও এই বিষয়টা ভীষণ উপভোগ করেছিলেন, যার ফল সরাসরি পড়েছিল টিআরপিতে। হুরহুর করে বাড়িতে থাকে টিআরপি, ঠিক একই রকমভাবে ফুলকি ধারাবাহিক টি দর্শকদের শুরু করেছিলেন অনেক আশা নিয়ে।
ফুলকিতে ভিলেন রুদ্রর ট্র্যাক যতবার এসেছে, দর্শক ভেবেছে,এইবার ধামাকা হবে সবকিছু উল্টে তছনছ হয়ে যাবে আর রুদ্র যে আসলে কেমন তা সবার সামনে প্রকাশ হবে।
রুদ্র কে নিয়ে ফুল্কির মনে যে সন্দেহ ছিল তা ফুল্কি রোহিত কে বলে,রোহিত তো প্রতিবারের মতো এবারেও তা বিশ্বাসই করতে চায় না, এরপর ফুলকি যখন রোহিতকে অনেক অনুরোধ করে তখন রোহিত ফুলকির কথা বিশ্বাস করে এবং তারপর ফুলকির কথা অনুযায়ী ছদ্মবেশে চলে যায় রাজাবাবুকে ধরতে কিন্তু অন্যান্য বারের মতো এবারও রুদ্র জানতে পেরে যায় অংশুমান তার পেছনে পড়ে আছে এবং সে বেরিয়ে যায়।
দর্শক এই এপিসোড দেখে যার পরনায় বিরক্ত হয়েছেন। তাদের বক্তব্য প্রত্যেকবার দর্শক একটা আশা নিয়ে ধারাবাহিক টি দেখতে বসবেন যে এইবার পর্দা ফাঁস হবে আর প্রত্যেকবার হতাশ হতে হবে। এটা কেমন বিষয়?সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন দর্শক এই এপিসোড দেখে লিখেছেন যে,“ জঘন্য সিরিয়াল, জঘন্য গল্প, জঘন্য লেখক-লেখিকা, জঘন্য পরিচালক.! দুনিয়া উল্টে গেলেও এই সিরিয়ালে রুদ্র জীবনে ধরা পড়বেনা.! সত্যি বলতে কি ধরা পড়া তো দূরকি বাত, কেউ রুদ্রের একটা বাঁকা বালও সোজা করতে পারবেনা.! মানে বাঁদরামির একটা লিমিট থাকা দরকার মাইরি.!”
এখানেই শেষ নয় নিজের যাবতীয় রাগ উগরে দিয়ে ওই দর্শক আরো লিখেছেন যে, “প্রতিবার দর্শক একটা আশা নিয়ে থাকবে যে, অন্তত এইবার কিছু একটা হবে.! না সেটা আর হবেনা, বলা চলে এই মূর্খ, বিক্রিত মস্তিকের লেখক-লেখিকা বা পরিচালক-পরিচালিকা গুলো হতে দেবেনা.! আরে ভাই তোরা যদি তোদের মেইন ভিলেনকে ধরাতে নাই চাস, তাহলে গল্পটা এদিকে ঘোরানোর দরকারটা কি ছিলো.? আগে তো তোরা শালিনীর পর্দাটাই না হয় ফাঁস করাতে পারতিস.! না সেটাও করবো না.! শুধু ঐ ধরা আর ছাড়ার মাঝখানে লটকে রেখে দেবো.!
আর একটা জিনিস দেখি, রুদ্রের ব্যাপারে কেউ কিছু জানতে পারেনা.! কিন্তু রুদ্র ঠিকই জেনে যায়, যে তার পেছনে কে পড়েছে.!
এবারও যেমন রুদ্র ঠিকই জেনে গেলো, যে তার পেছনে ফিল্ডিং অংশুমান লাগিয়েছে.! আর সে ঠিকও করে নিলো অংশুকে সবার আগে তার রাস্তা থেকে সরাবে..!! সত্যি বাবা, আর কত কি দেখতে হবে কে জানে..??”