বাংলা সিরিয়াল

তথাকথিত নায়ক চরিত্রের বাইরে থেকে শুরু করে মেয়েদের অবস্থান সম্পর্কে ভাবনা- সব নিয়েই চিরাচরিত বদ্ধ ধারণার মূলে আঘাত হানছে রূপ সাগরে মনের মানুষ! ধারাবাহিকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠছেন দর্শক!

সান বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘রূপসাগরে মনের মানুষ’। এই ধারাবাহিকটি প্রথম থেকে সমাজের প্রচলিত ধারার ওপর একটা বড় আঘাত হানছে, সেই কারণেই এই ধারাবাহিকের নায়ক চরিত্রকে দেখে বেশিরভাগ অসুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ টোন টিটকিরি শুরু করেছেন আসলে গল্প অনুযায়ী, এই ধারাবাহিকের যে নায়ক সে তথাকথিত ভাষায় সুন্দর নয় কিন্তু মানবিক গুণাবলীতে তার চরিত্রের সৌন্দর্যে তার কথার সারল্যে সে সুন্দর, কিন্তু যেহেতু বাহ্যিক দিক থেকে সে দেখতে সুন্দর নয় সেই কারণে তাকে নানান রকম টোন টিটকারি শুনতে হয়, অন্যদিকে ধারাবাহিকের নায়িকা অসম্ভব সুন্দরী একজন মানুষ, যাকে বলা যেতে পারে ডানা কাটা পরি। এই দুটো মানুষের প্রেম ভালবাসা সম্পর্ক কিভাবে গড়ে উঠবে তাই নিয়েই এই গল্প।

যেহেতু গল্পের বিষয়বস্তু আলাদা সেই কারণে ধারাবাহিকের নির্মাতা রা নায়ক হিসেবে সেরকম মানুষকেই বেছে নিয়েছেন যার সাথে গল্পের নায়কের মিল হবে। অধিকাংশ দর্শকের মতে নায়ক নবাগত হলেও ফাটিয়ে অভিনয় করছেন এবং তার চরিত্রের মধ্যে একটা ফানি এলিমেন্ট আছে আর তাকে বেশ গোলুমোলু কিউট দেখতে কিন্তু অনেকেই বলছেন নায়িকার সাথে তাকে মানাচ্ছে না, এই ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে একটা চিরাচরিত ভাবনায় আঘাত হানা হয়েছে। কিন্তু এ ছাড়াও এই ধারাবাহিকে আরো অনেক বিষয় আছে যা চিরাচরিত ভাবনায় আঘাত করে। যেমন পূর্ণার মামী- মেয়েদের পড়াশোনার জন্য টাকা-পয়সা খরচ করা কে তিনি অপচয় বলে মনে করেন।

 

সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে ,“সমাজে এরকম অনেক মানুষ আছে যাদের ধারণা মেয়েরা ঘর-সংসারের বাইরে কিছুই করতে পারবে না। এখন যে মেয়েরাও অনেক এগিয়ে আছে তা তারা বিশ্বাস করতে চায় না। পূর্ণার মামীও ঠিক এরকম ধরণের মানুষ। তাই পূর্ণা তার মামীকে বলে “তুমি তো মেয়েদের রান্নাঘরের বাইরে ভাবতেই পারোনা” পূর্ণার মামী এই কথা শুনে রেগে তাদের আনা মিষ্টি ফেলে দেয়”

Related Articles