পর্ণার পর এবার ঠাম্মি শাশুড়ির সতীন কাঁটা ব্রত!ঠাম্মীর সতীনকাঁটা ব্রত করে সতীন উপড়ে ফেলার ভিডিও পেয়ারিকে পাঠায় যেন তারা দেখতে পায় কিভাবে সতীনের ঝাঁটাপেটা হচ্ছে বাড়িতে!’-নিম ফুলের মধু দেখে হাসতে হাসতে শেষ হয়ে যাচ্ছেন দর্শক!
জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক নিম ফুলের মধুতে দেখা যাচ্ছে বর্তমানে পর্ণার ঠাম্মি শাশুড়ির সতীন এসে হাজির হয়েছে দত্ত বাড়িতে! তবে সতীন নয় তাকে রক্ষিতা বলা চলে, আসলে হেমনলিনী দেবীর স্বামীর চরিত্র ভালো ছিলেন না, তিনি বাড়ির মধ্যে বাইজি নাচ করতেন সেই বাইজি আজ এতগুলো বছর পর দত্ত বাড়িতে এসে বলছেন যে তিনি দত্ত বাড়ির আসল বউ আর হেমনলিনীর সাথে আসলে সৃজনের দাদুর বিয়েই হয় নি! এত বড় অপমান স্বাভাবিকভাবেই ঠাকুমা মেনে নিতে পারেন না তিনি ভেঙে পড়েন, কিন্তু দেখা যায় এই কঠিন পরিস্থিতিতেও দত্ত বাড়ি দুই ভাগ হয়ে গেছে।
কৃষ্ণা দত্ত হেমনলিনীর বড় ছেলের কাছে দত্ত বাড়ির সম্মানের কোন পরোয়া নেই তাদের কাছে দত্ত বাড়ির টাকাটাই আসল তাই তারা চাইছে হেম নলিনীর সাথে কোনভাবে মিটমাট করে বাড়ির আধা সম্পত্তি পেতে। অন্যদিকে নিজের সিদ্ধান্তে অটল হয়ে রয়েছে পর্ণা, সে জানিয়েছে গোটা পৃথিবীর বিপক্ষে গিয়ে হলেও সে হেমনলিনীকে তার যোগ্য সম্মান ফিরিয়ে দেবে, সে প্রমাণ করবেই যে হেমনলিনী দত্ত বাড়ির বৈধ বধূ।
এরপর এই সত্যি মিথ্যার কেস দিয়ে ওঠে কোর্টে, সেখানে পিয়ারী একটি নকল সাক্ষী কে এনে হাজির করেন। কিন্তু হেমনলিনীর তরফ থেকে কোন সাক্ষী হাজির করাতে পারেনা দত্ত পরিবার। তাই কোর্টের অর্ডার অনুযায়ী হেমনলিনীকে প্রমাণ করতে হবে তিনি দত্ত বাড়ির বৈধ বধূ, নিজের বিয়ের বৈধতা প্রমাণ করতে না পারলে তাকে ছাড়তে হবে দত্ত বাড়ি, সমস্ত চলে যাবে পিয়ারীর কাছে। এই জায়গায় দাঁড়িয়ে দত্ত বাড়ির বড় ছেলে এবং মেজ বৌমা তার শাশুড়িকে বলে পিয়ারির সাথে আপোষ করে নিতে কিন্তু রাজি হয় না পর্না। বাড়ির সম্মানের প্রশ্নে কোন আপোষে যেতে সে রাজি নয়।
এরই মধ্যে পিয়ারী হেমনলিনীর মনোবল ভাঙ্গার জন্য নানান রকম কাণ্ডকারখানা করতে থাকে, কিন্তু পর্নাও তো পিছিয়ে থাকার মেয়ে নয়, পর্নার কাজ অনুসরণ করে তাই হেমনলিনী দেবীও এবার সতীন কাটাব্রত অনুসরণ করেন এবং তার ভিডিও করে পিয়ারিকে পাঠাতে বলেন উদ্দেশ্য একটাই, শত্রুর মনোবল ভাঙ্গা এবং তার মনে ভয় ধরানো।
আর এই এপিসোড দেখে দর্শক রীতিমতো হাসছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,
“নিম ফুলের মধু দেখে আজকে হাসতে হাসতে শেষ!
ঠাম্মীর সতীনকাটা ব্রত করে সতীন উপ্রে ফেলবে আবার সেটা ভিডিও করে পেয়ালিকে পাঠাতে বলছে যেন তারা দেখতে পায় কিভাবে সতীনের ঝাঁটাপেটা হচ্ছে বাড়িতে -!
এই বাড়িতে নাকি সতীন আর ঘুরেও তাকাবেনা যেভাবে সতীনের পিন্ডি চটকানো হয়!”
