বাংলা সিরিয়াল

‘সত্যি ভালোবাসার কি এমনই পরিণতি হয়?প্রোমোটা দেখে চোখে জল আসছে রোমিও জুলিয়েটের কথা মনে পড়ছে!’তুলসীকে ফেরাতে রক্তাক্ত অগ্নি ফেরারী মনের নতুন প্রোমো দেখে উত্তেজনায় কাঁদছেন দর্শক!

বেশিরভাগ সময়ই দেখা যায় জি বাংলা এবং স্টার জলসার ধারাবাহিকগুলি নিয়ে প্রচুর পরিমাণে আলোচনা হয়,কারণ এই ধারাবাহিক গুলির গল্পের মধ্যে একটা আলাদা রেষারেষি থাকে, কিন্তু বেশ কয়েক বছর ধরে colors banglaর ধারাবাহিক গুলিও সমান ভাবে আলোচিত হচ্ছে, না টিআরপির জন্য নয় বরং ভিন্ন কন্টেন্ট উপস্থাপনের জন্য।

জি বাংলা, স্টার জলসার ধারাবাহিক গুলোতে যেখানে একই রকমের গল্প, এক স্বামীর দুবার বিয়ে দেখতে দেখতে মানুষ ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলেন তখন কালার্স বাংলা ধারাবাহিক গুলোতে মানুষ ভিন্নতা খুঁজে পান, টিআরপির লড়াই এগিয়ে না থাকলেও গল্পের মোড়কে এই চ্যানেলের প্রত্যেকটা ধারাবাহিকই অভিনব, গত এপিসোড দেখে যেখানে আগামী পর্বে কী হবে তা অনুমান করা যায় না! কালার্স বাংলা এরকমই একটি ধারাবাহিক হলো ফেরারি মন, এই ধারাবাহিকে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন বিপুল এবং সন্দীপ্তা, দুজনের অভিনয় দর্শককে মুগ্ধ করেছে কিন্তু তার থেকেও বেশি মুগ্ধ করেছে এই ধারাবাহিকের গল্প।

অন্যান্য ধারাবাহিকের ক্ষেত্রে যেখানে দেখা যায় যে নায়িকা দিনের পর দিন বাড়ির মধ্যে কাজের লোকের মত পড়ে থাকে, নায়ক কখনো তাকে ভুল বোঝে কখনো তাকে কাছে টেনে নেয় কিন্তু দিনের শেষে সব সময় তার পাশে থাকে এখানে গল্পটা পুরোটাই অন্যরকম।

ফেরারি মন ধারাবাহিকে প্রথম থেকে দেখানো হয়েছে তুলসী আর অগ্নির মধ্যে শত্রুতার সম্পর্ক, যদিও তুলসী অগ্নিকে নিজের শত্রু বলে না মনে করলেও অগ্নি প্রথম থেকেই তুলসীকে নিজের শত্রু বলেই মনে করে এবং একজন শত্রুর সাথে মানুষ যেরকম ব্যবহার করে সে রকমই করতে থাকে তুলসীর সাথে, তুলসী এবং তুলসীর পরিবারকে বিপদে ফেলবার জন্য সে একটার পর একটা চক্রান্ত করে যেতে থাকে এবং তাতেও কোন কাজ না হওয়ায় তুলসীর মিথ্যে ভিডিও করে তাকে বদনাম করার চেষ্টা করে এবং তুলসীর বিয়ের রাত্রে নিজের বন্ধুকে দিয়ে টাকা পাঠিয়ে তার বিয়ে ভেঙে দিতে চায় , তুলসী যখন এরপর মিথ্যে বৌয়ের পরিচয় দিয়ে অগ্নির বাড়িতে আসে তখনও কিন্তু অগ্নি নিজের ভুল বুঝতে পারে না এবং দিনের পর দিন তুলসীর সাথে খারাপ ব্যবহার করতে থাকে এবং একজন শত্রুর মতো আচরণ করতে থাকে।

ধারাবাহিকটি যখন ১৯৪-১৯৫ পর্ব পেরিয়ে গেছে তখন দেখা যায়, অগ্নি নিজের অনুভূতি গুলো আস্তে আস্তে রিয়েলাইজ করছে, এবং তুলসীর প্রতি যে সে মারাত্মক অন্যায় করে ফেলেছে সেটাও সে বুঝতে পারছে এবং সেই অন্যায়কে শুধরে নিয়ে নিজের ভালোবাসাকে স্বীকৃতি দিতে চাইছে। নিজের সকল অপরাধ স্বীকার করবার জন্য ইতিমধ্যেই অগ্নি একটা প্রেস কনফারেন্স করেছে এবং সেখানে তুলসীর সকল অপবাদের দায় যে একান্তই তার নিজের তা স্বীকার করেছে, অন্যদিকে অগ্নির মায়ের চক্রান্তের শিকার তুলসী, তুলসী অগ্নির মাকে বলেছে অগ্নি সকল দোষ স্বীকার করে নিলেই তুলসী তার জীবন থেকে চলে যাবে, সেই অনুযায়ী যখন প্রেস কনফারেন্স করে নিজের সকল অপরাধ স্বীকার করার পর তুলসীকে স্বীকৃতি দিতে যাবে অগ্নি, তখনই তুলসী তার থেকে চলে যাবে‌।

এই গল্পটা অন্যান্য ধারাবাহিকের থেকে অনেকটাই আলাদা।- এতদূর অবধি গল্প দেখার পর দর্শক যখন ভেবেই ফেলেছেন যে, এবার তুলছি এবং অগ্নির মধ্যে বেশ মান অভিমান দেখানো হবে, তখনই নতুন একটা চমক দিয়ে ফেরারি মনের নতুন প্রোমো এলো চ্যানেলে।

সেখানে দেখানো হচ্ছে যে তুলসীর বাবা প্রতাপ রাতারাতি বড়লোক হয়ে গেছে আর সে বলছে সে কোন ভিখারীর সাথে তার মেয়েকে যেতে দেবে না অন্যদিকে অগ্নি হাতে ফুল নিয়ে এসেছে তুলসীকে নিয়ে যেতে সে বদ্ধপরিকর। এই অবস্থায় প্রতাপ গুন্ডাদের লাগিয়ে দেয় এবং তারা তুলসীর চোখের সামনে অগ্নিকে ধরে পেটাতে শুরু করে, রক্তাক্ত অগ্নিকে দেখে ছুটে আসে তুলসী, কিন্তু প্রতাপ বলে, তুলসী অগ্নির কাছে গেলে তুলসী তার বাবার মরা মুখ দেখবে!

এই প্রোমো দেখে রীতিমত উত্তেজনা কাঁদছেন দর্শক, সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,
“সত্যি ভালোবাসার কি এমন ইই পরিণতি হয়??
সত্যি এই প্রমো টা দেখে নিজের চোখের জল ধরে রাখতে পারিনি, অজান্তেই জল বেরোছে চোখ দিয়ে। কেন তুলসী সব ছেড়ে নিজের বাপের বাড়িতে ফিরলো?? কেন এখন অগ্নি কে এ ভাবে অগ্নি পরীক্ষা দিতে হচ্ছে বার বার??
প্রেম কাহিনী পড়েছিলাম রোমিও জুলিয়েট এর, তবে তাঁদের ভালোবাসার পরিণতি এতো টা কাদায়নি, যত টা গতকাল এই প্রমো দেখে ভেঙে পড়েছি।।
চাই এই প্রমো যেন তুলসীর স্বপ্ন হয়, যখন সে অগ্নির নিষ্পাপ ভালোবাসা বুঝতে পারবে, তখন আবারো কাছাকাছি আসবে তারা।।
আশা করবো যেন সেটাই তাড়াতাড়ি হয়।।

Bipul Rishi
Sudipta Roy”

Related Articles