বাংলা সিরিয়াল

বিয়ের প্রথম রাত্রেই নববিবাহিত কনের জীবনের সব স্বপ্ন ভেঙ্গে দিলো টিটো! বৌভাতের রাত্রেই টিটো কোকোর অসফল দাম্পত্যের শুরু দেখে টিটো চরিত্রের সমালোচনায় মুখর দর্শক!

স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো জল থৈ থৈ ভালোবাসা। এই ধারাবাহিকে দেখা যায় যে,কোজাগরী আসমানকে সন্তানের মত ভালবাসলেও এবং তোতা রূপকে ভুলে আসমানকে ভালবাসার দাবি করলেও
তোতা,কোজাগরী কেউই আসমানকে ঠিক মতন চিনতে পারে নি।

আসমানের প্রতি তাদের বিশ্বাসের ভিত এতটাই দুর্বল যে, আসমান রূপের থেকে টাকা নিয়ে তোতাকে ছেড়েছে এই কথা তারা অবলীলায় বিশ্বাস করতে পারে! অন্যদিকে টিটো,দর্শণা দেবী আর রূপের মধ্যে খুব একটা বেশি পার্থক্য খুঁজে পান না দর্শক! কারণ দর্শণা দেবী,রূপ আর টিটো তিনজনেই খুব নীচু মনের মানুষ, এরা প্রত্যেকেই টাকা পয়সাকেই বেশি দাম দেয়।

এদের কাছে মানুষের বা মনুষ্যত্বের কোনো দাম নেই। তাই নিজের বোনের ভবিষ্যৎ নিয়ে খেলতে টিটো দুইবার ও ভাবে না। টিটোর মত একজন মানুষের সাথে কোকোর সম্পর্ক কীভাবে সুন্দরভাবে গড়ে উঠবে তা নিয়ে প্রথম থেকেই চিন্তায় ছিলেন দর্শক!

কারণ একে অপরকে ভালোবাসলেও টিটো এবং কোকো দুই ভিন্ন ধারার মানুষ। এদের সম্পর্ক ভালোবাসার মধ্য দিয়ে গড়ে উঠলে ও দুজনের ব্যক্তিত্বের মধ্যে যে ফারকটা তা প্রতি মুহূর্তে বোঝা যাচ্ছিলো,সেটা উপলব্ধি করে এই দুজন মানুষের দাম্পত্য নিয়ে বেশ চিন্তাই ছিলেন দর্শক, অবশেষে তাদের সমস্ত চিন্তাকে সত্যি করে টিটো বৌভাতের রাত্রে নববধূর মনে আঘাত দিলো,তাকে স্কুলে স্কুলে গান শেখাতে যাওয়ার কাজে বাধা দিয়ে।

আরও পড়ুন : পালিয়ে বেড়াচ্ছে সূর্য! অর্জুন ই ঠিক আছে দীপার জন্য!বলছেন দর্শক!

সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে ,“বিয়ের প্রথম রাতেই নব বিবাহিত কনের জীবনের সব স্বপ্ন গুলো ভেঙে গুড়িয়ে যেতে দেখলাম।কি করুন এই দৃশ্য
টিটোর মতন ছেলেদের কাছ থেকে এটাই পাওনা।

এর থেকে বেশি কিছু আশা করাই যায় না।যে প্রতি নিয়ত নিজের মাকে এতো ছোটো করেছে,বোনের ভালোবাসা নিয়ে জুয়া খেলেছে,তার কাছ থেকে এটাই কাম্য।
মেয়েদের কে র্নিবুদ্ধিতার আখরা বলে মনে করে।বিবাহিত বৌ রুপে লক্ষী, গুণে স্বরস্বতী,জৌলুষতা ও আছে,এই রকম বৌকে বাড়িতে রবিবার করে একদিন গানের ক্লাস করানো যেতে পারে,ভালো শিক্ষকের কাছে গান শেখানো ও যেতে পারে,প্লেব্যাক singer ও বানানো যায় কিন্তু স্কুলে স্কুলে গান শেখাতে দেওয়া যায় না,নানা প্রোগ্রামে ও অংশ গ্রহণ করানো যায় না,আর চাকরি
সে তো করতে দেওয়া ই যায় না।কারণ স্বামীর salary তো যথেষ্ট ভালো।তার উপর সুন্দরী বৌ এর গ্লামার নষ্ট হয়ে যাবার চান্স থাকে
আসলে বৌকে বাড়ির মধ্যে বেঁধে না রাখলে যদি স্বামী কে ছাঁপিয়ে যায় তাহলে তো সর্বনাশ।

আর প্রোগ্রাম করলে বেহাত হবার চান্স থেকে যায়। আসলে বৌকে বাড়ির মধ্যে আটকে রাখলে,বৌ এর দ্বন্ড মুন্ডের কর্তা হয়ে বৌ এর উপর ছড়ি ঘোড়ানো খুব সহজ তাই না।কিন্তু সেটা তো হবে না সোনা কারণ তোমার বৌ এর জীবনে অনেক স্বপ্ন যা তাকে সাকার করতে ই হবে।এতে তুমি বাধ সাধতে কোনো মতেই পারো না।

বৌ কোনো সামগ্রী নয় যে তুমি তোমার মতন করে সাজিয়ে রাখবে বৌ কে বিয়ে করে আনা হয় জীবন সংগিনী করে,যে হবে সুখ দুঃখের সাথী।একে অপরের পরিপূরক হয়ে।

তাকে ঘরে বন্দিনী করে রাখার জন্য নয়। টিটো তোমার মানুষিকতার পরিবর্তন না করলে,তুমি কোকোর মতোন বৌ বলো,বন্ধু বলো হারাবে
আসমানের উপর কোজাগরী র অভিমান জানি না কবে মিটবে,তবে আজ তোতাকে একটা দারুণ কথা বললো যে বিয়ে টা এতো তড়িঘড়ি করে করা যায় না।

আজ মনে করলাম বিয়ে করে নিলাম,পরে আবার অন্য কিছু ভাববো এটা ঠিক নয়
তবে জানি না হয়তো শেষ মেশ বিয়ে টা হতে যাচ্ছে।এই বিয়ের পরিনতি কোনো মতেই ভালো হতে পারে না,কারণ যে বিয়ে টা মিথ্যার উপর দাঁড়িয়ে আছে তা কোনো দিনও ভালো হতে পারে না।আর যখন আসলটা জানতে পারবে তখন সব কিছু হাতের বাইরে না চলে যায়”

Related Articles