মনের কথা স্লটটাকে লালকুঠির মতো ধ্বংস করে দেবে! কার কাছে কই মনের কথার টিআরপি কমার চারটি কারণ রয়েছে!
![](https://www.calcuttastory.com/wp-content/uploads/2024/04/Kar-kache-koi-moner-kotha-Zee-BanglA-2.jpg)
জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথা। এই ধারাবাহিকে দেখা যায় যে বেশ কিছুদিন ধরে ধারাবাহিকের নায়ক পরাগ অসুস্থ ছিলো, এরপর একটা সময় পরাগ নিখোঁজ হয়ে যায় তখন সবাই মিলে পরাগকে খোঁজাখুঁজি করতে শুরু করে দেয়। এরপর জানা যায় পরাগের অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে এবং পরাগ একটি হাসপাতালে ভর্তি।
পরাগকে যখন হাসপাতাল থেকে ছাড়িয়ে আনা হয় তখন জানা যায় স্মৃতি হারিয়ে গেছে। কিন্তু আদপে তার স্মৃতিশক্তি হারায় নি। আসলে পরাগ স্মৃতিশক্তি হারানোর অভিনয় করছে, যাতে শিমুলের বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করেছে তাদেরকে সে ধরতে পারে।
এই ধারাবাহিকের টিআরপি কিন্তু এতকিছু করার পরও বাড়ছে না বরং ক্রমশ কমে যাচ্ছে। আস্তে আস্তে এই ধারাবাহিকের টিআরটি কমছে। গত সপ্তাহের টিআরপি লিস্ট বেরোলে দেখা যায় যে, অনুরাগের ছোঁয়ার কাছে হেরে যায় এই ধারাবাহিক। কিন্তু কেন এই ধারাবাহিক স্লট হারাচ্ছে শুধু? এই ধারাবাহিকের টিআরপি কম হওয়ার পিছনে কী কারণ আছে জানেন? দর্শকরা মনে করেন মাত্রাতিরিক্ত সংলাপ ছাড়াও আরো কতগুলি কারণ আছে যে কারণে এই ধারাবাহিকের টিআরপি দিন দিন কমছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“কার কাছে কই মনের কথা সিরিয়ালটা এবার বন্ধ করে দেওয়া উচিৎ!
আরও পড়ুন : 5+ কে 4+ এ নামালো অনুরাগের ছোঁয়া!অর্জুন দীপার বিয়ের আনন্দেই চড়চড় করে উঠছে টি আর পি!
* প্রথম কারণ হচ্ছে যতদিন যাচ্ছে টিআরপি কমেই যাচ্ছে। 7.9 থেকে 4.4 এ নেমে এসেছে এবং এই downfall দিনদিনই বেড়েই যাবে কারণ দর্শক ভালো ক্যামেরা ডিরেক্টিং ধামাকাদার BGM ছাড়া সংলাপ শুনতে বোরিং ফিল করে যেটা মনের কথার ডোবার প্রথম কারণ।
* গল্প নিজের অনন্যতা হারিয়েছে। সিরিয়ালটির প্রথম পর্বের ১ কোটিরও বেশি ভিউজ এবং সবার ইতিবাচক সাড়াই সিরিয়ালের অনন্যতা যাচাইয়ের জন্য যথেষ্ট। কিন্তু যখন থেকেই লীনা দি অফিসিয়ালভাবে লিখা শুরু করলো তখন গল্পটা সম্পূর্ণ কুসুমদোলা, জলনুপূর মানে ইত্যাদি যত লীনাদি টাইপ গল্প ছিল তেমন হয়ে যায়। একটা সামাজিক গল্পে সেসব প্লট দর্শক গ্রহণ করেনি বলেই টিআরপি কমে যায়।
* মাত্রাতিরিক্ত সংলাপের জন্য এই সিরিয়ালটা বরবাদ হয়ে গেল। গীতা LL.B সিরিয়াল/ নিম ফুলের মধু দেখলেই বুঝবেন সেখানে ক্যামেরা ডিরেক্টিং এর ধরণ আর প্রতিটি কথার পেছনে অনন্য সাউন্ড দর্শককে বেশি আকর্ষণ করে। অথচ মনের কথা সিরিয়ালে মনে হয় একটা টুলে ক্যামেরা বসিয়ে সবার সংলাপগুলো collage করে টিভিতে দেখিয়ে দেয়! এসব কি মানা যায়? আর একটা কথাকে টানতে টানতে ১০মিনিট গড়িয়ে নেয়।
* এই সিরিয়াল একটা পারফেক্ট ভিলেন তৈরি করতে পারেনি। যদিও মনের কথা টাইপ গল্পে ভিলেন দরকারই হয়না। কিন্তু লীনা লেখার পর গল্পে এমন সব টুইস্ট আনা হলো যেখানে জুন আন্টির মতো ভিলেন দরকার ছিল যেটা তৈরি করতে পারলো না।
মনের কথা ৯:৩০ য় শুধু শুধু নিলো। মিঠিঝোরা যথেষ্ট উন্নতি করেছিল নতুন সিরিয়াল দিলে অনুরাগের ছোঁয়ার বিরুদ্ধে লড়াইটা ভালো হতো। কিন্তু মনের কথা এই স্লটটাকে আবার লালকুঠির মতো ডেস্ট্রয় করে দিবে(মনে হাজার দুঃখ রেখে বলতে হলো!)
ভাগ্য ভালো মনের কথা দুইবার টপার হয়েছিল নয়তো কিছু ব্যক্তি ফ্লপের তকমা দিতে বাধতো না। মানালিদির গোটা ১৮ বছরের ক্যারিয়ারে কোন সিরিয়ালের স্লট পরিবর্তন হয়নি যেটা এই সিরিয়ালটার জন্য হলো!
আরও পড়ুন : লীনা গাঙ্গুলীর সিরিয়াল মিঠিঝোরা,এত সহজ হবে না! শৌর্য সত্যি জানবে এবং রাইয়ের দিকেই ঝুঁকবে!
এটা হলো একমাত্র লীনার জন্য। উনি না আসলে মনের কথা নিজের সামাজিক প্লট দিয়ে দর্শকদের ঘরে ঘরে জায়গা করে নিত এবং প্রচুর টিআরপি পেয়ে জি বাংলার অন্যান্য প্রথম সারির সিরিয়াল গুলোর মতোই এগিয়ে যেত!
একজন বাজে পরিচালক আর বাজে লেখিকা একটা সুন্দর কনসেপ্টকে কিভাবে আকাশ থেকে নামিয়ে মাটিতে গড়াগড়ি খাওয়াতে পারে তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ কার কাছে কই মনের কথা!”