দেশ

‘শোভনের রাজনীতিতে আরো অনেক কিছু দেওয়ার আছে’মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে বৈঠক শেষে বললেন বৈশাখী! জোড়ায় তৃণমূল কংগ্রেসেই আবার ফিরছেন দুজনে!

রাজনৈতিক সভা হোক অথবা দূর্গা পূজার মঞ্চ সব সময় জোড়ায় জোড়ায় একই পোশাকে ঘোরেন শোভন বৈশাখী। একইসাথে কোন দলে ঢোকা বা সেই দল থেকে বেরোনোর ব্যাপারটাও দুজনে একসাথেই করেন। বৈশাখী যেখানে নেই সেখানে শোভন নেই আবার শোভন না থাকলে বৈশাখী ও থাকেন না বিষয়টা এমন জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে সম্প্রতি শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় দুজনে মিলে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার জল্পনাকে যেন আরও একবার উস্কে দিলেন।

নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে বৈঠক করার পর শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী বৈশাখী সংবাদ মাধ্যমে জানান তাদের মধ্যে রাজনৈতিক আলোচনায় হয়েছে। তবে তারা দুজনে মিলে আবার কবে আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরবেন সেই বিষয়ে এখনও তিনি মুখ খুলতে নারাজ। এই দিন নবান্নতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে বৈঠক সেরে প্রাক্তন মেয়র শোভন চ্যাটার্জি বলেন,“ আমাদের মধ্যে আবেগের বহিঃপ্রকাশ হয়েছে। ছোটবেলা থেকে এদিন পর্যন্ত ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমি। তবে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত প্রায় সব সময় মমতাদি নিয়েছেন। তার চিন্তা-ভাবনা কথা ইচ্ছা বাস্তবায়িত করায় আমার কর্তব্য বলে মনে করেছি। আমার রাজনৈতিক জীবন এবং অন্য কিছু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেন্দ্রিক। মমতাদির কাছে আসবো, চা খাব, গল্প করব , মত বিনিময় হবে নির্দেশ আদেশ থাকবে, সেটাই বাঞ্ছনীয়।” দলে ফেরার বিষয়ে প্রশ্ন উঠলে শোভন বলেন,“সক্রিয়তা এবং নিষ্ক্রিয়তা ব্যক্তিবিশেষের ওপর নির্ভর করে। অন্যদিকে বৈশাখীর কথায়,“ শোভন ও মমতা দুজনেই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তাই রাজনৈতিক আলোচনায় হয়েছে। আমি ভাই দিদির মিষ্টি মধুর আলোচনা হয়েছে সেগুলো উপভোগ করলাম। আগামী দিনে নিশ্চয়ই দেখা যাবে। শোভনের রাজনীতিতে দেওয়ার আরো অনেক কিছু আছে। দ্রুত কাজে ফিরুক আমি চাই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। মাঝে অভিমানের প্রাচীর তৈরি হয়েছিল তবে আমি খুশি অভিমানের প্রাচীর ভেঙে গিয়েছে।”

অন্যদিকে শোভন-বৈশাখীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে বৈঠক প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন,“ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া রাজনীতিতে যে আর কেউ থাকতে পারেন না তা শোভন-বৈশাখী বুঝতে পেরেছেন।”

Related Articles