রাজ্য

১১ বছরের মেয়ে মমতার সভায় গেলো ই বা কেন! অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার পর জল দিয়ে সিমপ্যাথি নিচ্ছেন মমতা!-বিস্ফোরক দাবি দিলীপ ঘোষের

বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ সব সময় বিতর্কিত মন্তব্য করবার জন্য হেডলাইন হয়ে যান। সম্প্রতি আবার‌ও তিনি মুখ খুলেছেন। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে শুরু করে কেকের মৃত্যু, রোদ্দুর রায় এবং পঞ্চায়েত ভোট সমস্ত কিছু নিয়েই বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা গেছে দিলীপ ঘোষকে। কিছুদিন আগেই আলিপুরদুয়ারে সভা করতে গিয়েছিলেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন তার সভায় একজন অসুস্থ হয়ে যান এবং মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী নিজের সভা থেকে তার উদ্দেশ্যে জলের বোতল ছুঁড়ে দেন।‌ এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “সভায় এসে বাচ্চা অসুস্থ হয়ে পড়লো। মমতা খুব লাইভ ছবি তুললেন। জল খাওয়ালেন। ১১ বছরের কিশোরী পলিটিকাল মিটিংয়ে এলো কেন? তার মানে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। সবুজ সাথীর সাইকেল পেয়েছে বলে তাকেও আসতে হবে?”

দিলীপ ঘোষ এর পাশাপাশি বলেন, “মরুক বাঁচুক সবাইকেই আসতে হবে? মা পরিবার বাচ্চা সবাই কেই আসতে হচ্ছে। কারণ সবুজসাথী অথবা লক্ষীর ভান্ডার পেয়েছে। জল খাইয়ে সিম্পাথি তৈরি করছেন। এটা নাটক বাজি।” এখানেই শেষ নয় কেকে প্রসঙ্গেও দাবি করেছেন দিলীপ ঘোষ। তার বক্তব্য, “একইরকমভাবে কেকে-কেও নিয়ে এসেছিল তৃণমূল। চূড়ান্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তাকে নিয়ে আসা হয়। মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে এবং এটি বন্ধ হওয়া উচিত।”

পঞ্চায়েত ভোট প্রসঙ্গে বিস্ফোরক দাবি করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন,“ গত পঞ্চায়েতে ভোটের সময় 34% আসনে বিজেপিকে প্রার্থী দিতে দেওয়া হয়নি। এইবার বোধহয় সেটাই 50% বেঁধে দেওয়া হলো।” এর পাশাপাশি দিলীপ ঘোষ আরো বলেন যে,“ পশ্চিমবঙ্গের যেকোনো লোকাল বডি ইলেকশন এইভাবেই হয়। পুলিশ তৃণমূলের মিটিং মিছিলের লোক নিয়ে আসে এবং বিরোধীদের কেস দেয়।”

এদিন রোদ্দুর রায়ের প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “তৃণমূলের লোকেরা যেরকম কটুকথা ব্যবহার করে এটা ওদেরই কালচার। বাম জমানায় এরকম কটুকথা হলে বুদ্ধিজীবীরা প্রতিবাদ করতো। এখন বুদ্ধিজীবীদের মেরুদন্ড নেই। রোদ্দুর রায়ের ভিডিও দেখে নিজেকে বাঙালি বলে পরিচয় দিতে মানুষ লজ্জা পাবেন।”

Related Articles