রাজ্য

একাই একশো মহুয়া! আবার‌ও দলের প্রতারণাচক্রের বিরুদ্ধে সরব সাংসদ মহুয়া মৈত্র

‘মোটা টাকা দিলেই মিলবে সরকারি চাকরি’ এরকম কথা বলে প্রায়ই একদল মানুষ চাকরিপ্রার্থীদের বোকা বানিয়ে আনে টাকা হাতিয়ে নেন। যখন চাকরি প্রার্থীরা টাকা দেওয়ার পর নিজেদের ভুল বুঝতে পারেন তখন অনেক দেরি হয়ে যায়। চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা হাতানোর অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা করার এই অভিযোগ তাই প্রায়শ‌ই শুনতে পাওয়া যায়। সম্প্রতি নদিয়ায় চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা চক্র চালানোর অভিযোগ উঠলো‌। তবে এই ক্ষেত্রে জনসাধারণকে আশ্বস্ত করে তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন সাংসদ মহুয়া মৈত্র।
জনগণের উদ্দেশ্যে সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বক্তব্য ও পরামর্শ,“ কেউ টাকা চাইলে আমাকে বলুন”। সাংসদ জানিয়েছেন অন্যায়ের মোকাবিলা করতে তিনি সব সময় প্রস্তুত।

নদিয়ার পলাশি পাড়ায় এই প্রতারণা চক্র গড়ে উঠেছে বলে অভিযোগ। শাসক দলের নেতাদের একাংশের বিরুদ্ধে অভিযোগ যে, তারা প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি দেওয়ার নাম করে একটি প্রতারণা চক্র দীর্ঘদিন ধরে চালাচ্ছেন।

অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের নেতাদের একাংশ সাধারণ মানুষকে বলছেন, আদালতের নির্দেশে তৈরি হবে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের নতুন প্যানেল আর মোটা টাকা ঘুষ দিলেই সেই প্যানেলে নাম উঠে যাবে অর্থ প্রদানকারী ব্যক্তির। এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে বহু যুবক জমি বিক্রি করে প্রতারকদের হাতে টাকা তুলে দিচ্ছেন।

সাংসদ মহুয়া মৈত্র এই খবর পেতেই তিনি বলেন, “এলাকাবাসীকে আমি সতর্ক করেছি, বলেছি কোন প্রতারকের খপ্পরে পড়লে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। দুর্নীতির সঙ্গে কোনো আপস করবো না।”

গত ২৮শে এপ্রিল সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি পোস্ট করে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র লেখেন মুখ্যমন্ত্রীর দুর্নীতির বিরুদ্ধে বলা কথাগুলো। সাংসদ মহুয়া মৈত্র বলেন যে, “ মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলেছেন দলকে সামনে রেখে কোনরকম তোলাবাজি করা যাবে না। চাকরি দেওয়ার নাম করে টেট প্যানেলভুক্ত করার নাম করে সরকারি কাজ করিয়ে দেওয়ার নাম করে কেউ বা কারা যদি মানুষকে প্রতারণা করেন, তবে নির্ভয়ে এক্ষুনি পুলিশ বা আমার অফিসে লিখিত অভিযোগ করুন। ভয় পাবেন না। ভয় করার কোনো কারণ নেই, যতই প্রভাবশালী হোক না কেন একদিন না একদিন ধরা পড়বেই। তাই দয়া করে এগিয়ে আসুন, চলুন এই চক্রগুলিকে বন্ধ করি।”

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন তেহট্টের বিধায়ক তাপস সাহা আপ্ত সহায়ক প্রবীর কয়াল।

Related Articles