জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো কার কাছে কই মনের কথা। এই ধারাবাহিককে দেখা যায় যে পরাগ শিমুলকে বিয়ে করার পর থেকেই শারীরিকভাবে নির্যাতন করতো , শিমুল সেই সমস্ত নির্যাতন মুখ বুজে সহ্য করেছিলো, কারণ তার যাওয়ার আর কোন জায়গা ছিল না, বাপ মরা মেয়ে সে!
বাপের বাড়িতে ফিরে গেলে দাদা,ভাইদের গলগ্রহ হয়ে বেঁচে থাকতে হতো তাকে! কিন্তু একটা সময় পর শিমুল বুঝতে পারে দীর্ঘ সময় ধরে মুখ বন্ধ করে এই অত্যাচার সহ্য করা তার পক্ষে সম্ভব নয় তাই সে মুখ খোলে। পরাগের বিরুদ্ধে সে রীতিমত কমপ্লেন করে। এরপর তার উপর অত্যাচার আরো বাড়তে থাকে এবং তার প্রাণ নেওয়ার চেষ্টা পর্যন্ত হয়।
পরাগ আর শিমুলের সম্পর্কের মধ্যে তিক্ততা যত বাড়তে থাকে,তত এই সম্পর্কটার মেয়াদ ফুরোতে থাকে। একসময় শিমুল আর পরাগের মধ্যে ডিভোর্স হয়ে যায়। এরপর পরাগ তার পছন্দের পাত্রী তার ছাত্রী প্রিয়াঙ্কাকে বিয়ে করবে বলে ঠিক করে।
ডিভোর্সের পরও শাশুড়ি মা এবং পুতুলদির অনুরোধে শিমুল নিজের শ্বশুর বাড়িতেই রয়ে যায় এবং নিজের বরের বিয়ের যাবতীয় জোগাড় আয়োজন নিজের হাতেই করে। এরপর দেখা যায় যে বিয়ের রাত্রে পরাগ বিষ খেয়ে পড়ে আছে, পরাগকে এরকম অসুস্থ অবস্থায় দেখে সবাই মিলে ঝগড়া করতে থাকে এবং শিমুলকে দোষারোপ করতে থাকে।
আরও পড়ুন : ব্রেকিং! জি বাংলায় দেবী মহা সরস্বতী সিরিয়ালে লিড ভূমিকায় আসবেন দীপান্বিতা রক্ষিত!
সব থেকে আশ্চর্যজনক ব্যাপার হলো যে শাশুড়ি শিমুলকে সবসময় নিজের কাছে আটকে রেখেছিলো, শিমুল বাড়ি ছেড়ে যেতে চাইলেও যাকে যেতে দেয় নি।সেই শাশুড়ি পুলিশের সামনে বলে বসে কার মনে কি আছে সে তো জানে না হতেও পারে বৌমা এই কাজ করেছে! অর্থাৎ শিমুলের মত মেয়ে যে তার ছেলে পরাগকে বিষ দিতে পারে না এই কথা পরিষ্কার করে পুলিশের সামনে বলতে পারেননি মধুবালা দেবী। অন্যদিকে প্রিয়াঙ্কা থেকে শুরু করে তার বাড়ির লোক প্রতীক্ষা থেকে শুরু করে পলাশ সকলেই শিমুলকে দোষ দিতে থাকে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“শুধুমাত্র স্লট পাচ্ছেনা বলে মনের কথা নিয়ে আলোচনা কম।কিন্তু এ যাবৎ কালের সবচেয়ে জমজমাট ট্র্যাক চলছে মনের কথাতে।
আমি ১০০% শিউর এই ট্র্যাকগুলোতে মনের কথা রিকভার করবে।
গীতা L.L.B জলসার চ্যানেল টপার।তার বিপরীতে মনের কথা কিন্তু ভালো ফাইট দিচ্ছে।এই মুহূর্তে ৭+ কোনদিক থেকে খারাপ টিআরপি না।
স্লটটাই সবকিছু না।রেটিং ম্যাটার করে।
বর্তমানে সেরা এপিসোড গুলো চলছে মনের কথাতে।”
