বাংলা সিরিয়াল

শিমুলের কোন ব্যক্তিত্ব নেই! একবার পরাগ তো একবার শতদ্রু এই করে যাচ্ছে!ট্রোলিংয়ের বিরুদ্ধে অবশেষে মুখ খুললেন এক শিমুল ভক্ত!

জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো ‘কার কাছে ক‌ই মনের কথা’। এই ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে যে, পুতুলের সাথে তার মাস্টার মশায়ের বিয়ে পুরো ঠিকঠাক। বিয়ের দিন‌ই ঘটে গেলো এক দুর্ঘটনা। পরাগ মিষ্টি আনতে যাওয়ার সময় তার রাস্তার মধ্যে অ্যাক্সিডেন্ট হলো এবং এই এক্সিডেন্টের খবর গিয়ে পৌঁছালো শিমুলের কাছে।

এক্সিডেন্ট কেসে বাড়ির লোকের বন্ড সই ছাড়া চিকিৎসা করা হয় না। শিমুল পরাগের ভাই পলাশকে খবর দেয় কিন্তু পলাশ হাসপাতালে না গিয়ে বাড়িতে সবাইকে সব ঘটনা বলে দেয় এবং পুতুলের বিয়ে ভেঙে যাওয়ার মুখে এসে দাঁড়ায়।

অন্য দিকে অপারেশন করতে লেট হবে আর তাতে পরাগের জীবনের আরো ক্ষতি হতে পারে এই বিষয়টা ভেবে শিমুল নিজেই বন্ড পেপারে ওয়াইফ বলে সাইন করে এর পর যখন পলাশ হাসপাতালে এসে জানতে পারে শিমুল বন্ড পেপারে সাইন করেছে তখন সে সবাইকে জানিয়ে দেয় শিমুল পরাগের বর্তমানে স্ত্রী নয় তাদের সেপারেশন হয়ে গেছে। ‌

আরও পড়ুন : সৃজন সেরা নায়ক হওয়ার উপযুক্ত! ওকে বঞ্চিত করা মানে অন্যায়!-জি বাংলা সোনার সংসার অ্যাওয়ার্ড নিয়ে শুরু হল তুমুল ট্রোল!

তখন হাসপাতালে ডাক্তার শিমুলের পাশে দাঁড়ায় এবং জানায় যে রোগীর জীবন বাঁচানো তার প্রধান কর্তব্য। অন্যদিকে কার কাছে কই মনের কথা ধারাবাহিকের শিমুলের এইরকম দোদুল্যমান চরিত্র দেখে দর্শক তুমুল ট্রোলিং শুরু করেছেন অনেকেই বলছেন যে, নায়িকা হিসেবে শিমুলের এতোটুকু ব্যক্তিত্ব নাই।

তার চরিত্রের মধ্যে কোন দৃঢ়তা নেই। সে একবার শতদ্রু আর একবার পরাগ এই করে বেড়াচ্ছে। তবে অনেকেই এই বিষয়টির প্রতিবাদ করে জানিয়েছেন যে, শিমুল আসলে যা কিছু করেছে সবটাই মানবিকতার খাতিরে করেছে,পরাগের জায়গায় অন্য কেউ থাকলেও সে এই কাজ করতো এবং এক্ষেত্রে পরাগের থেকেও বেশি মানবিকতা কাজ করেছে পুতুলের প্রতি। কারণ সবটা জানাজানি হলে পুতুলের বিয়ে ভেঙে যেতে পারে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন শিমুল ভক্ত লিখেছেন যে,“শিমুল যেটা করেছে মানবিকতার খাতিরে।কিছু পাবলিক কি চেয়েছিল পরাগ রাস্তায় মরে পড়ে থাকুক?বিনা চিকিৎসায় মারা যাক?

আরও পড়ুন : মিঠাইয়ের থেকে ভালো টিআরপি ইচ্ছে পুতুলের!যোগমায়া দিয়ে ভুল করলো! ইচ্ছে পুতুলের মত টিআরপি পাবেনা যোগমায়া!

সস্তা ফেমিনিজমের চেয়ে মনুষ্যত্ব আর মানবিকতা টা সবচেয়ে বড়।আর রয়েছে দায়িত্ববোধ যেটা সবার ভিতরে থাকেনা।

শিমুল অন্তত পারিবারিক নৈতিক শিক্ষায় বড় হয়েছে সেজন্য একজন বিপদাপন্ন মানুষকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে।পরাগের জায়গায় অন্য প্রতিবেশী হলেও তাই করতো।”

Related Articles