দত্ত বাড়ি না ঝামেলা বাড়ি বোঝা মুশকিল!-চয়ন, রুচিরা থেকে শুরু করে সৃজন,বুবাই প্রত্যেকেই সমস্যায় পড়ছেন দেখে বলছেন দর্শক!
জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক নিম ফুলের মধুতে দেখা যাচ্ছে যে, বুবাই প্রথমে মোবাইল ফোনের বায়না করে বাবার কাছে যায়, তার বাবা তার কথা না শুনলে সে পর্ণার কাছে যায় পর্নাও মোবাইল ফোনের আবদার মেটায় না, এরপর তার আবদারের ঝুলি নিয়ে সে যায় মায়ের কাছে তার মা তাকে পর্ণার বিরুদ্ধে উসকে দেয় এবং ঘোঁতনের কাছে পাঠায়।
এই ঘোঁতন তাকে বলে মোবাইল ফোন তো পাবি, সাথে টাকাও পাবি, আমরা ডাকাতি করতে যাচ্ছি আমাদের সাথে চল। এরপর দেখা যায় যে, বোম হাতে ডাকাতি করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়লো বুবাই।
অন্যদিকে পর্নার কাছে থানা থেকে ফোন যায়, যে বুবাইকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এই কথা শুনে সবাই চমকে যায়। তারপর দত্ত বাড়ির সবাই মিলে থানায় যায়। সেখানে গিয়ে তারা জানতে পারে যে, বুবাই রাত দুপুরে বোম হাতে নিয়ে ঘোষ বাড়িতে চুরি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছে। জেঠু কিছুতেই সবটা মানতে পারে না।
থানাতেই ঘোষ বাড়ির লোকেদের সাথে জেঠুর ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়,এরপর অফিসার ধমক দিয়ে দুই পক্ষকে শান্ত করে এছাড়া পর্না বলে, যে আমাদের বুবাই এটা কিছুতেই করতে পারে না,নিশ্চয় ওকে দিয়ে এটা কেউ করিয়েছে। কিন্তু পুলিশ বলে, যে বুবাইয়ের সাথে আর কাউকে পাওয়া যায় নি আর এই বিষয়ে বুবাই কোনো কথাই বলছে না, মৌমিতা আর অয়ন কান্নাকাটি করতে শুরু করে কিন্তু তারা একবারের জন্য মুখ খুলে বলে না যে, বুবাইকে তারাই ঘোঁতনের কাছে পাঠিয়েছিলো।
বুবাই কে সবাই মিলে জিজ্ঞেস করলেও সে কিছুই বলে না কারণ ঘোঁতন বলেছে যদি সে মুখ খোলে, তাহলে তারা তার বোন পুঁটিকে মেরে ফেলবে তারা। অফিসার জানায় বুবাই কোন কথা না বলায় তাকে কোর্টে পেশ করতে বাধ্য হবে তারা।
অন্য দিকে ধারাবাহিকের এই পর্ব দেখে দর্শক বলছেন দত্ত বাড়ির প্রত্যেকটি সদস্যকে কি একবার না একবার ঝামেলায় পড়তে হবে? অনেকে আবার মজা করে বলছেন যে দত্ত বাড়ি না ঝামেলা বাড়ি বোঝা মুশকিল।
