Stories

বাবার মৃত্যুর খবর পেয়েও করেছিলেন শুটিং আজ তিনিই সকলের প্রিয় খলনায়িকা চড়ুই

লীনা গাঙ্গুলীর লেখা ধুলোকণা’ (Dhulokona) সিরিয়ালে আমরা দেখেছি চড়ুই (Chorui) য়ের মাথায় সারাক্ষণ হাজারটা দুষ্টু বুদ্ধি ঘুরছে, সেইসাথে রয়েছে গা জ্বালানো সংলাপ। এই চড়ুই চরিত্রে অভিনয় করছেন টেলি অভিনেত্রী শ্বেতা মিশ্র (Sweta Mishra)। ধারাবাহিকে তার শয়তানির জন্যই কিন্তু লালন ফুলঝুরির সম্পর্কটা এত সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে।

আসলে খারাপটা যদি না থাকে তাহলে ভালোটাকে কখনোই চোখে পড়ে না। তাই এই ধূলিকণা ধারাবাহীকে এক অবিচ্ছিন্ন অঙ্গ হয়ে উঠেছে চড়ুই চরিত্রটি। খুব অল্পদিনেই দর্শকদের মন জয় করেছে চড়ুই অর্থাৎ অভিনেত্রী শ্বেতা। সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই অভিনেত্রীর ফ্যান ফলোয়ারের সংখ্যা কিছু কম নয়। তাই তার ফ্যানরা জানতে চান এই অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত জীবনের কাহিনী।

সম্প্রতি টলি টাইম চ্যানেলের সাথে আড্ডা দিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। সেখান থেকে আমরা জানতে পারি যে এই অভিনেত্রী বহরমপুরের মেয়ে। কালার্স বাংলার ‘জাহানারা’ সিরিয়ালের মধ্যে দিয়ে তিনি ক্যারিয়ার জীবন শুরু করেন। আজ তিনি একজন সফল অভিনেত্রী হলেও ছোট থেকে কিন্তু তার অভিনয় জগতে আসার স্বপ্ন ছিল না।

বহরমপুর ছেড়ে তিনি কলকাতায় আসেন গ্রাজুয়েশন করার জন্য। পড়াশুনার পাশাপাশি তিনি থিয়েটারে যোগদান করেন। এই থিয়েটার করতে করতেই তার অভিনয়ের প্রতি ভালোলাগা জন্মায়। তারপর তিনি ক্যামেরার পিছনে অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর হিসেবে কিছুদিন কাজ করেন। সেখান থেকেই তার কালার্স বাংলার জাহানারাতে অভিনয়ের সুযোগ আসে। কিন্তু সেই সময় অভিনেত্রীর জীবনে একটা দুঃখজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

জাহানারার শুটিং করার সময় এই অভিনেত্রী হঠাৎ একদিন জানতে পারেন যে তার বাবার মৃত্যু হয়েছে। সেই সময় তিনি বাবার মৃতদেহের কাছে ছুটে যেতে পারেননি। শুটিং শেষ করার পর ফিরেছিলেন বাড়িতে। আবার ঠিক পরের দিনই শুটিং-এ যোগদান করেছিলেন। তারপর ১৩ দিনের দিন তিনি বহরমপুর গিয়ে বাবার সমস্ত কাজ করেন।

তার খারাপ সময়ে অভিনেত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন তার মা এবং তার পার্টনারটা। ধুলোকণা সিরিয়ালে চড়ুই লালনের জন্য পাগল হলেও বাস্তবে কিন্তু তিনি সম্পর্কে রয়েছেন তার এক কাছের বন্ধুর সাথে। শ্বেতাকে প্রশ্ন করা হয় যে খলনায়িকার চরিত্রে তার অভিনয় দর্শকদের কতটা ভালো লাগছে? উত্তর দিতে গিয়ে অভিনেত্রী বলেন একবার ক্রসিং এর সময় গাড়িতে বসে থাকা অবস্থায় এক মহিলা তাকে ডেকে বলেছিলেন ‘চড়ুই না? আপনি মরে যান না কেন?’ শ্বেতার কাছে একজন খলনায়িকা হিসেবে এটা সেরা কমপ্লিমেন্ট।

Related Articles