রাজ্য

মঙ্গলে ঊষা বুধে পা! মঙ্গলের পর বুধেও অনুব্রত কে তলব করল সিবিআই! এবার‌ও হাজিরা এড়াতে পারেন অনুব্রত!

বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল গরু পাচার মামলা থেকে শুরু করে বগটুই কান্ডে রীতিমত ফেঁসে গিয়েছেন। এই দুই কেলেঙ্কারি রাজনীতির ময়দানে কোনঠাসা করে দিয়েছে পোড় খাওয়া এই রাজনীতিবিদকে। বর্তমানে তার সময়টা অত্যন্ত খারাপ যাচ্ছে, একে শারীরিক অসুস্থতার জন্য এসএসকেএমের উডবার্ন ব্লকে ভর্তি হতে হয়েছে তাকে, তার‌ ওপর মাঝেমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআই এর তরফ থেকে তাকে ডাক পাঠানো হচ্ছে! এ যেন একা রামে রক্ষা নেই সুগ্রীব দোসর এর মত অবস্থা অনুব্রতর!

মঙ্গলবার ভোট-পরবর্তী হিংসা মামলার জন্য সিবিআই মুখ্যমন্ত্রীর অত্যন্ত স্নেহধন্য কেষ্ট মন্ডল ওরফে অনুব্রত মণ্ডলকে তলব করেছিলো। মঙ্গলবার এর পরে এইবার বুধবার‌ও সিবিআইএর তরফ থেকে ডেকে পাঠানো হলো তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। মঙ্গলবার ভোট-পরবর্তী হিংসা মামলার পর বুধবার গরু পাচার মামলায় তাকে তলব করা হয়েছে। মঙ্গলবার তিনি হাজির হননি অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে, দলীয় সূত্রের খবর অনুযায়ী শোনা যাচ্ছে, মঙ্গল বারের মতো বুধবারও অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাজিরা এড়াতে পারেন বীরভূমের প্রতাপশালী এই নেতা।

অসুস্থতার কারণে এসএসকেএমের উডর্বান ওয়ার্ডে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হলে সেখানকার চিকিৎসকরা অনুব্রত মণ্ডলকে ১৫দিন সম্পূর্ণ বিশ্রামের পরামর্শ দেন। চিকিৎসকের সেই নির্দেশের কথা এখন অনুব্রত মণ্ডলের হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে বলে বিশেষ সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। অনুব্রতর আইনজীবী সিবিআইকে অনুব্রত মণ্ডলের অসুস্থতার কথা লিখিতভাবে জানাবেন বলেও শোনা যাচ্ছে। তবে মঙ্গলবার অসুস্থতার কথা বলে হাজিরা এড়িয়ে গেলেও সিবিআই দপ্তর অনুব্রতর আয়ের হিসাব চেয়ে আয়কর দপ্তরের কাছে নোটিশ পাঠিয়েছে। একই সাথে তারা তৃণমূলের অপর দুই মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর আয়ের হিসেবেও চেয়েছেন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ এই নেতার কাছ থেকে অনেক আগেই তাদের আয়ের হিসাব চেয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা, সেই সকল নথি তারা সিবিআই দপ্তরে জমাও করেছেন। এইবার নেতাদের বলা কথার সাথে তাদের আসলে কোনও রকম অসঙ্গতি রয়েছে কিনা তা তদন্ত করে খুঁটিয়ে দেখবার জন্য আয়কর দপ্তর এর কাছে নোটিশ পাঠিয়েছে সিবিআই।

উল্লেখ্য, অনুব্রতর এইভাবে হাজিরা এড়িয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রসঙ্গে বিজেপির দিলীপ ঘোষ অনেক আগেই বলেছেন যে, “ওনার খালি সিবিআই দেখলেই শরীর খারাপ হয়ে যায়। তবে এইভাবে বেশি দিন চালানো যায় না। আজ হোক কাল হোক যেতে তো হবেই।” এখন দেখা যাক দিলীপ ঘোষের এই বক্তব্য সত্যি করে অনুব্রত মণ্ডল কবে হাজিরা দিতে যান!

Related Articles