দেশ

হেঁশেল সামলাতে এবার হাতিয়ার হবে তেল!মধ্যবিত্তকে স্বস্তি দিতে কেন্দ্রের বড় সিদ্ধান্ত ভোজ্য তেল নিয়ে!

ভারতীয় রান্না মানেই তেল, ঝাল, মশলা দিয়ে মুখরোচক পদ তৈরি করা। তেল ছাড়া রান্নার কথা এদেশের মানুষ ভাবতেই পারেন না। কিন্তু যেভাবে তেলের দাম বাড়ছে দিনকে দিন তাতে সাধারণ মানুষের কপালে ভাঁজ পড়ে যাচ্ছে। তেলের দাম যেভাবে ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছে বিগত কয়েক মাস ধরে তাতে নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড় হয়েছে সাধারণ মানুষের। ভোজ্য তেলের দাম এইভাবে হুহু করে বেড়ে যেতে থাকলে কীভাবে গোটা মাস সংসার চালানো যাবে, তাই ভেবে মাথায় হাত পড়ে যায় মধ্যবিত্তের! এই তেলের দাম কমানো নিয়ে এবার যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিল কেন্দ্র।

তবে এর আগেও‌ ভারত সরকার তেলের দাম কমানোর চেষ্টা করলেও তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ হয়েছিল তার অন্যতম কারণ ছিল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। আসলে ভারত তার চাহিদার দুই-তৃতীয়াংশের‌ও বেশি ভোজ্যতেল অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করে।ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া থেকে ভারত পাম তেল আমদানি করে এবং আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, ইউক্রেন ও রাশিয়া থেকে সয়াও সূর্যমুখীর মতো অপরিশোধিত ভোজ্য তেল আমদানি করে ভারত। যুদ্ধের আবহে তাই সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভোজ্য তেলের আমদানির ব্যাপারটা। কৃষ্ণসাগর অঞ্চল থেকে সূর্যমুখী তেলের সরবরাহ কমে যায় যুদ্ধের কারণে যার ফলে ভোজ্যতেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ওঠে আর মধ্যবিত্তের হেঁশেলের ওপর তার প্রভাব পড়ে। তবে মধ্যবিত্তের কপালের ভাঁজ কমিয়ে এবার বড় সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় সরকার অপরিশোধিত সোয়াবিন তেল এবং অপরিশোধিত সূর্যমুখী তেল আমদানি সংক্রান্ত বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যার ফলে মধ্যবিত্তের হাতের নাগালে ভোজ্য তেলের দাম চলে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

২০ লাখ মেট্রিক টন পর্যন্ত আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক, কৃষি পরিকাঠামো ও উন্নয়ন সেস ছাড় দিয়েছে কেন্দ্র। জানা যাচ্ছে ২০২৪ এর ৩১ শে মার্চ পর্যন্ত এই নির্দেশিকাটি জারি থাকার কারণে ২০ লাখ মেট্রিক টন সয়াবিন তেল ও ২০ লাখ মেট্রিক টন সূর্যমুখী তেলের আমদানি ক্ষেত্রে কোন কর লাগবে না, যার প্রভাব স্বাভাবিকভাবেই মধ্যবিত্তের হেঁশেলে গিয়ে পড়বে। সরকারের এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের ফলে দেশে তেলের দাম কমবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সরকারের এই নির্দেশিকার ফলে, আগামী দুই বছরে ৮০ মিলিয়ন টন অপরিশোধিত সয়াবিন তেল ও অপরিশোধিত সূর্যমুখী তেল শুল্কমুক্তভাবে আমদানি করা যাবে দেশে, এই খবর শুনে স্বাভাবিকভাবেই মধ্যবিত্তের মুখে হাসি ফুটেছে।

Related Articles