রাজ্য

মেয়ের পর ছেলের ডাক্তারি ডিগ্রি নিয়েও প্রশ্ন! মাধ্যমিকে তিন চার বার ফেল করা পরেশপুত্র কোন জাদুতে রাতারাতি ডাক্তার হয়ে উঠলেন!

এস এস সি দুর্নীতির বিষয় নিয়ে এখন উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। যে উচ্চপদস্থ নেতা তার মেয়েকে বেআইনিভাবে চাকরিতে ঢুকিয়েছিলেন, তার কান্ড শুধু সবার সামনেই চলে আসে নি, একই সাথে বেআইনিভাবে পাওয়া চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে মন্ত্রী কন্যাকে। সরকারি চাকরীজীবী থেকে বেকার হয়েছেন মন্ত্রীকন্যা অঙ্কিতা। গত ২০ শে মে বেআইনিভাবে নিজের মেয়েকে সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য সিবিআই অফিসে হাজিরা দিতে হয়েছে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে।

বেআইনিভাবে পাওয়া চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছেন অঙ্কিতা এবং এতদিনের পাওয়া সমস্ত বেতন তাকে ফেরত দিতে বলা হয়েছে। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা নিয়ে যখন রাজ্য রাজনীতি সরগরম হয়ে উঠেছে তখন‌ই তৃণমূল নেতা পরেশ অধিকারের ছেলেকে নিয়ে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এ যেন একা রামে রক্ষা নেই; সুগ্রীব দোসর এর মত অবস্থা! মেয়ের বেআইনিভাবে পাওয়া চাকরির কথা এমনিতেই ফাঁস হয়ে গিয়েছে, এইবার তার ছেলের ডাক্তারি ডিগ্রি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে !

পরেশ অধিকারীর পুত্র হীরক জ্যোতি অধিকারী একজন ডাক্তার। বর্তমানে কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ চ্যাংড়াবান্ধা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে অস্থায়ী ডাক্তার হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন পরেশ অধিকারীর পুত্র হীরক জ্যোতি। কিন্তু মন্ত্রীপুত্রের এই ডাক্তারি ডিগ্রী কোথা থেকে এলো তা নিয়েই এক প্রকার প্রশ্ন তুললেন বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক দধিরাম রায়। জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির বিজেপি সাধারণ সম্পাদক দধিরামবাবু প্রকাশ্যে বলেছেন যে, মন্ত্রীপুত্র হীরক জ্যোতির মাধ্যমিক পরীক্ষায় তিন চার বার ফেল করার ঘটনা! আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আবার‌ও।

হীরক জ্যোতি রামকৃষ্ণ মঠ শিশু বিদ্যাপীঠে পড়তেন, এই স্কুলের তরফ থেকে একটি অনুষ্ঠানে এই দিন হীরককে আমন্ত্রণ করা হয় এবং স্কুলের তরফ থেকে হীরককে পুরস্কার দিয়ে সম্মান জানানো হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদ করেন দধিরাম বাবু। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে লেখেন যে, “মাধ্যমিকে তিন থেকে চারবার ফেল করেছিলো হীরক। সেই এখন ডাক্তার হয়ে গিয়েছে।”একই সাথে ফেসবুক পোস্টে তিনি আরো লেখেন যে, “তেল মনে হয় একটু কম পড়েছে। হীরককে স্মারক দিয়ে ছোট করা হলো। ওকে নোবেল শান্তি দেওয়া উচিত ছিল। ওটাই ওর প্রাপ্য সম্মান।”

স্বাভাবিকভাবেই এই পোস্টের প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, মাধ্যমিকে বার বার ফেল করা হীরক কীভাবে ডাক্তারি পরীক্ষার ডিগ্রি অর্জন করল এবং কেনই বা স্কুল সবটা জেনেও তাকে সম্মান দিলো? আর মেয়ের চাকরি চলে যাওয়ার পর ছেলের ডাক্তারির বিষয়ে প্রশ্ন ওঠাই এইবার আরো অস্বস্তিতে পড়েছেন পরেশ অধিকারী।

Related Articles